উপজাতিরা নয় বাঙালিরাই আদিবাসী – একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রফেসর ড. আবদুর রব

আদিবাসী, উপজাতি, ক্ষুুদ্র নৃগোষ্ঠী, বাঙালী, পাহাড়ী, পার্বত্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভূরাজনীতি বিশ্লেষক প্রফেসর ড, আবদুর রব বলেছেন, এদেশে ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী উপজাতীয় জাতিসত্তাগুলো আমাদেরই অংশ, বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশী। এদেশের সম্পদে-সম্মানে, বিপদে-সুদিনে, সমৃদ্ধিতে-সৌহার্দ্যে সবকিছুতেই তাদের রয়েছে সমান অধিকার। কিন্তু তারা কোনোক্রমেই এদেশের আদিবাসী হতে পারে না। এটা নিতান্ত অবৈজ্ঞানিক ও ভুল তত্ত্ব। এদেশের অকাট-মূর্খ পণ্ডিতদের (জ্ঞানপাপী) জানিয়ে দেয়া উচিত, কারা উপজাতি (Tribals) আর কারা আদিবাসী (Aboriginals) আর একই সঙ্গে তথাকথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারী বিদেশি আদিবাসী শক্তির এজেন্ট এনজিও চক্রকেও আদিবাসী উপজাতীয় বির্তক না ছড়াতে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দেয়া উচিত। এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও মাত্র কিছুদিন পূর্বে এসব জাতিতাত্ত্বিক বিভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদ উস্কে দেয়ার জন্য অনেকগুলো খ্রিস্টবাদী এনজিও চক্রকে ঘাড় ধরে বের করে দিয়েছে ভারতীয় সরকার।

প্রশ্ন : আদিবাসী ও উপজাতি বিতর্কের কারণ কি?

প্রফেসর ড. আবদুর রব : উপজাতি এবং আদিবাসী। আদিবাসী বলতে ইংরেজিতে Aboriginals বা   indigenous people-ও  বলে। উপজাতি হলো Tribe এটা উপনিবেশিক শব্দ। আমাদের দেশে বাঙালি মূলধারার বাইরে যারা আছে তারা আদিবাসী নয়। তাদের আমরা উপজাতি  বলতেও নারাজ। বরং তাদেরকে বলা যেতে পারে ethnic বা নৃতাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী ।

নৃতাত্ত্বিক সংজ্ঞায় আদিবাসী বা ‘এবোরিজিন্যালস’রা হচ্ছেÑ ‘কোনো অঞ্চলের আদি ও অকৃত্রিম ভূমিপুত্র বা Son of the soil।’ প্রখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ মর্গানের সংজ্ঞানুযায়ী আদিবাসী হচ্ছে ‘কোনো স্থানে স্মরণাতীতকাল থেকে বসবাসকারী আদিমতম জনগোষ্ঠী যাদের উৎপত্তি, ছড়িয়ে পড়া এবং বসতি স্থাপন সম্পর্কে বিশেষ কোনো ইতিহাস জানা নেই।’ মর্গান বলেন, The Aboriginals are the groups of human race who have been residing in a place from time immemorial … they are the true Sons of the soil…’ (Morgan, An Introduction to Anthropology, 1972).

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, খর্বাকৃতির স্ফীত চ্যাপ্টা নাক কুঁকড়ানো কেশবিশিষ্ট কৃষ্ণবর্ণের ‘বুমেরাংম্যান’রা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী বা যথার্থ এবোরিজিন্যালস। তারা ওখানকার ভূমিপুত্রও বটে। ঠিক একইভাবে মাউরি নামের সংখ্যালঘু পশ্চাৎপদ প্রকৃতিপূজারী নিউজিল্যান্ডের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী সেখানকার আদিবাসী। আমেরিকার বিভিন্ন নামের মঙ্গোলীয় ধারার প্রাচীন জনগোষ্ঠী যাদেরকে ভুলক্রমে ‘রেড ইন্ডিয়ান’ (উত্তর আমেরিকা) বলা হয় এবং সেন্ট্রাল আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় ইনকা, আজটেক, মায়ান, আমাজানসহ আরো অসংখ্য ক্ষুদ্র বিল্প্তু কিংবা সঙ্কটাপন্ন (Extinct or Endangered Groups) জনগোষ্ঠীকে সঠিক ‘এবোরিজিন্যালস’ বলে চিহ্নিত করা যায়। তথাকথিত সভ্য সাদা, ইউরোপীয় নতুন বসতি স্থাপনকারী অভিবাসীরা (A New Settlers and Immegrants) ঐসব মহাদেশের আদিবাসীদের নির্মম বিদ্বেষ, হিংস্র প্রবঞ্চনা, লোভ আর স্বার্থপর আগ্রাসনের দ্বারা আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডসহ অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকোসহ সেন্ট্রাল ও ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ, স্প্যানিশ, ফরাসি, পর্তুগীজ প্রভৃতি উপনিবেশবাদী শক্তি বিগত ৩/৪টি শতক ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠুরতার সাথে জাতিগত নির্মূল তৎপরতার মাধ্যমে (Ethnical Cleansing) এসব মুক্ত স্বাধীন আমেরিকান আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে পৃথিবী থেকে প্রায় নির্মূল করে দিয়েছে। আজ ঐ শ্বেতাঙ্গ মার্কিন, ব্রিটিশ, অস্ট্রেলীয় এবং ইউরোপীয় তথাকথিত সুশিক্ষিত, ধ্বজাধারী সাবেক উপনিবেশবাদীদের নব্য প্রতিনিধিরা তাদের নব্য উপনিবেশবাদী অর্থাৎ তথাকথিত মুক্ত অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বার্থে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর নানা পশ্চাৎপদ রাষ্ট্রসমূহের জন্য ‘আদিবাসী সংরক্ষণ’ (Conservation of Aboriginal)-এর ধুয়া তুলে তাদের অর্থের মদদপুষ্ট এনজিও এবং মিশনারী চক্রের সুনিপুণ প্রচারণায় ও ষড়যন্ত্রে উপজাতিগুলোর জন্য মায়াকান্না শুরু করেছে। আরম্ভ করেছে ভয়ানক সূক্ষ্ম সম্প্রসারণবাদী ষড়যন্ত্র আর আধিপত্যবাদী চাণক্য চাল।

এসব উপজাতি, আদিবাসী কিংবা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর এই মায়াকান্নার পেছনে মূলত ভূ-রাজনৈতিক, সামরিক, ভূ-অর্থনীতিক এবং সর্বোপরি আধিপত্যবাদী স্বার্থই প্রবলভাবে কাজ করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় প্রকৃত আদিবাসীদের তারা যেখানে গণহত্যা, জাতিগত নির্মূলসাধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখানে তারা এখন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন সম্ভাবনাময় স্বাধীনচেতা উঠতি শক্তিÑ বিশেষ করে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে এসব  উপজাতি (Tribals) ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার পক্ষে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন, জাতিসত্তার বিকাশ, আদিবাসী সংরক্ষণ’ ইত্যাদির কথা বলে ভাষাগত, বর্ণগত, ধর্মগত, সাংস্কৃতিক বিভাজন ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার প্রেক্ষাপট তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদীদের ঐ হীন চক্রান্তের ফলশ্রুতিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ইত্যাদি এককালীন ঔপনিবেশিক শক্তিদের নিয়ন্ত্রণাধীন ও আজ্ঞাবহ জাতিসংঘের (ইউএনও) সহযোগিতায় বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার যৌক্তিক সার্বভৌম অঞ্চল তিমুর দ্বীপের পূর্বাঞ্চলকে (ইস্ট-তিমুর) বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ইস্ট-তিমুরের এই বিচ্ছিন্নতার পেছনে আসলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র কাজ করেছে এবং এখানেও আদিবাসী, উপজাতি ইত্যাদি বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে সর্বনাশা খ্রিস্টবাদী এনজিও চক্র, মিশনারি গ্রুপ এবং তথাকথিত মানবাধিকার সংরক্ষণ (Human Rights Activists) চক্র। এশিয়ার উদীয়মান ব্যাঘ্র (Emerging Tiger of Asia) ২০ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার তিমুর দ্বীপের কাছের দক্ষিণেই হালকা জনসংখ্যা অধ্যুষিত শ্বেতাঙ্গ ও খ্রিস্টান অধ্যুষিত অস্ট্রেলিয়াসহ ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং অস্ট্রেলিয়া এই কৌশলগত ও অবস্থানগত দুর্বলতাকে চিরতরে দূর করাতেই খ্রিস্টবাদী পরাশক্তিসমূহ জাতিসংঘকে ব্যবহার করে অত্যন্ত সুকৌশলে ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুরকে স্বাধীন করে দেয়। আর ঐ একই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশেও একই খ্রিস্টবাদী সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তিসমূহ তাদের আধিপত্যবাদী ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থকে (Geo-Political and Strategical Interests) সংরক্ষণ ও চরিতার্থ করার জন্য তাদের সেই কৌশলকে বাস্তবায়িত করতে চাচ্ছে। এ জন্য তারা বেছে নিয়েছে দেশের এক-দশমাংশ অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী চাকমা, মার্মা, ত্রিপুরা, মগসহ বিভিন্ন বসতি স্থাপনকারী উপজাতীয় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলোকে। একই সাথে এই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী ও তাদের অর্থপুষ্ট এনজিও চক্র বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেমন : সিলেটের খাসিয়া, মণিপুরী, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের গারো, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুরের বনাঞ্চলের কুচ রাজবংশীয় বহিরাগত ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীকে এদেশের আদিবাসী বলে প্রচার-প্রপাগাণ্ডা চালাতে শুরু করেছে এবং এর মাধ্যমে এদের এসব সংশ্লিষ্ট বৃহদায়তনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ভূমিপুত্র (Son of the Soil) বলে প্রতিষ্ঠিত করার এক হীন চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও নৃতাত্ত্বিক ও জাতিতাত্ত্বিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট ও প্রতিষ্ঠিত যে বাংলাদেশে বসবাসরত কোনো ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী এদেশের আদিবাসী নয়। বরং তারা পার্শ্ববর্তী কিংবা বিভিন্ন দূরবর্তী স্থান থেকে দেশান্তরী হয়ে এদেশের নানা স্থানে অভিবাসিত হয়ে ক্রমে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু কোনোক্রমেই বাংলাদেশে বসবাসকারী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, খাসিয়া কিংবা কুচ রাজবংশীয় সাঁওতালরা এদেশের আদিবাসী হতে পারে না।

প্রশ্ন: তাহলে বাংলাদেশে  আদিবাসী কারা?

প্রফেসর ড. আবদুর রব :  বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষীরা। কারণ তারাই প্রোটো-অস্ট্রোলয়েড (proto Astroloid) নামের আদি জনধারার অংশ বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর তারাই একমাত্র আদিবাসী এবং Son of the Soil বলে দাবি করতে পারে। এর পেছনে অনেক জাতিতাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিক যুক্তি-প্রমাণও রয়েছে। প্রোটো-অস্ট্রোলয়েড ধারার বাঙালি নামের বাংলাদেশের এই আদিবাসীরা যদিও একটি মিশ্র বা শংকর জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত সেখানে ককেশীয়, মঙ্গোলীয়, অস্ট্রিক জাতিধারার সাথে ভেড্ডাইট, নিগ্রোয়েড, দ্রাবিড়ীয় এবং অন্যান্য বহু জানা-অজানা আদি জনধারার সংমিশ্রণ ও নৃতাত্ত্বিক মিথষ্ক্রিয়া সাধিত হয়েছে। তবুও যেহেতু এসব জনগোষ্ঠীর এদেশে সুস্পষ্ট অস্তিত্বের ইতিহাস সম্পূর্ণভাবে অনুদঘাটিত ও অজানা এবং স্মরণাতীতকালের হাজার হাজার বছর আগে থেকে এদের পূর্বপুরুষরা এই নদীবিধৌত পলল সমভূমিতে এসে বসতি স্থাপন করেছে সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই একমাত্র তাদেরকে অর্থাৎ বাঙালিরাই  Son of the Soil বা আদিবাসী বলা যায়। বিশ্বের তাবৎ শীর্ষস্থানীয় নৃবিজ্ঞানী এবং গবেষকবৃন্দই এ ব্যাপারে একমত।

প্রশ্ন: এ দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো যে আদিবাসী নয় এর প্রমাণ কি?

প্রফেসর আবদুর রব : বাংলাদেশের উপজাতীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো এদেশের আদিবাসী বা ভূমিপুত্র নয়Ñ তার প্রমাণ প্রখ্যাত উপজাতি গবেষক ও নৃতত্ত্ববিদ RHS Huchinson (1906) T H Lewin (1869), অমেরেন্দ্র লাল খিসা (১৯৯৬), J. Jaffa (1989) এবং N Ahmed (1959) প্রমুখের লেখা, গবেষণাপত্র, থিসিস এবং রিপোর্ট বিশ্লেষণে পাওয়া যায়। তারা সবাই একবাক্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজাতীয়দের নিকট অতীতের কয়েক দশক থেকে নিয়ে মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে এদেশে স্থানান্তরিত হয়ে অভিবাসিত হবার যুক্তি-প্রমাণ ও ইতিহাস তুলে ধরেছেন।

খোদ চাকমা পণ্ডিত অমেরেন্দ্র লাল খিসা অরিজিনস অব চাকমা পিপলস অব হিলট্রেক্ট চিটাগংএ লিখেছেন, ‘তারা এসেছেন মংখেমারের আখড়া থেকে পরবর্তীতে আরাকান এলাকায় এবং মগ কর্তৃক তাড়িত হয়ে  বান্দরবানে অনুপ্রবেশ করেন। আজ থেকে আড়াইশ তিনশ; বছর পূর্বে তারা ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিকে রাঙামাটি এলাকায়।’ এর প্রমাণ ১৯৬৬ বাংলাদেশ জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি প্রকাশিত দি অরিয়েন্টাল জিওগ্রাফার জার্নাল।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান লোকসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই বাঙালি এবং বাকি অর্ধেক বিভিন্ন মঙ্গোলীয় গোষ্ঠীভুক্ত উপজাতীয় শ্রেণীভুক্ত। একথা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য আদিকাল থেকে এ অঞ্চলে উপজাতি জনগোষ্ঠীর বাইরের ভূমিপুত্র বাঙালিরা বসবাস করে আসছে। তবে জনবসতি কম হওয়ায় বিভিন্ন ঘটনার বা পরিস্থিতির কারণে আশপাশের দেশ থেকে বিভিন্ন ুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন এসে বসতি স্থাপন করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কুকি জাতি বহির্ভূত অন্য সকল উপজাতীয় গোষ্ঠীই এখানে তুলনামূলকভাবে নতুন বসতি স্থাপনকারী। এখানকার আদিম জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ম্রো, খ্যাং, পাংখো এবং কুকিরা মূল ‘কুকি’ উপজাতির ধারাভুক্ত। ধারণা করা হয়, এরা প্রায় ২শ’ থেকে ৫শ’ বছর আগে এখানে স্থানান্তরিত হয়ে আগমন করে। চাকমারা আজ থেকে মাত্র দেড়শ’ থেকে ৩শ’ বছর পূর্বে মোগল শাসনামলের শেষ থেকে ব্রিটিশ শাসনামলের প্রথম দিকে মায়ানমার আরকান অঞ্চল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে (Lewin 1869)। প্রখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ এবং ব্রিটিশ প্রশাসক টি. এইচ. লেউইন-এর মতে, “A greater portion of the hill tribes at present living in the Chittagong Hill Tracts undoubtedly come about two generations ago from Aracan. This is asserted both by their own traditions and by records in Chittagong Collectorate”. (Lewin, 1869, p. 28)। পার্বত্য অঞ্চলের মারমা বা মগ জনগোষ্ঠী ১৭৮৪ সনে এ অঞ্চলে দলে দলে অনুপ্রবেশ করে এবং আধিপত্য বিস্তার করে (Shelley, 1992 and Lewin, 1869)। এরা ধর্মে বৌদ্ধ মতাবলম্বী। এরা তিনটি ধারায় বিভক্ত। যেমন : জুমিয়া, রোয়াং ও রাজবংশী মারমা।

ব্যোমরা মায়ানমার-চীন পর্বত থেকে নিয়ে তাশন পর্যন্ত বিস্তৃত পার্বত্য অঞ্চল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে আগমন করে। খ্রিস্টান মিশনারি তৎপরতার ফলে এদের অধিকাংশই বর্তমানে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান। লুসাইরাও এখন অধিকাংশই খ্রিস্টান। পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্য একটি বড় জনগোষ্ঠী মুরং। এদের বেশির ভাগই এখন পর্যন্ত প্রকৃতি পূজারী এবং এদের কোনো ধর্মগ্রন্থও নেই (Bernot, 1960) চাকমারা এখন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও ভাষার দিক দিয়ে তারা ত্রিপুরা, মারমা বা অন্য যে কোনো পার্বত্য জনগোষ্ঠী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এদের ভাষা এখন অনেকটা বাংলা ভাষার কাছাকাছি। মারমা (মগ)গণ আরাকানী বর্মীয় উপভাষায় কথা বলে এবং ত্রিপুরাগণ ত্রিপুরি তিব্বতিধর্মী উপভাষায় কথা বলে। বিভিন্ন খ্রিস্টান মিশনারি সংস্থা পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের ধর্মপ্রচারের জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত-সংলগ্ন মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরার বেশিরভাগ উপজাতীয় জনগোষ্ঠী খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে ঐ অঞ্চলে ঐসব বিচ্ছিন্ন ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে খ্রিস্টধর্মের ছত্রছায়ায় একত্রিত করে বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে ভারত-বাংলাদেশের এই পার্বত্য ভূ-রাজনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর-পূর্বাংশের যুক্তরাষ্ট্রে ও পাশ্চাত্য শক্তি ইসরাইলের মতো একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

শুধুমাত্র ভাষাতাত্ত্বিক বিবেচনায়ই নয়, বরং অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের নিরিখেও দেখা যায় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐসব মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মিলের চেয়ে অমিল এবং বিস্তর অনৈক্য বর্তমান। এদের এক একটি জনগোষ্ঠীর বিবাহরীতি, আত্মীয়তা সম্পর্কে (Keenship Relations), সম্পত্তির মালিকানা বণ্টনরীতি এবং উত্তরাধিকার প্রথা, জন্ম ও মৃত্যুর সামাজিক ও ধর্মীয় কৃত্যাদি বা অন্যান্য সামাজিক প্রথা এবং রীতি এক এক ধরনের এবং প্রায় প্রত্যেকটি আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত (Denise and Bernot, 1957)। পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এসব জনগোষ্ঠীগুলোর প্রায় সবাই যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং হিংস্র দাঙ্গা-হাঙ্গামার ফলে তাদের পুরাতন বসতি স্থান থেকে এখানে পালিয়ে এসেছ। নতুবা, এক জনগোষ্ঠী অন্য জনগোষ্ঠীর পশ্চাদ্ধাবন করে আক্রমণকারী হিসেব এদেশে প্রবেশ করেছে (Hutchinson, 1909, Bernot, 1960 and Risley, 1991)। বর্তমানেও এদের পরস্পরের মধ্যে প্রচুর রেষারেষি এবং দ্বন্দ্ব বিদ্যমান রয়েছে বলে জানা যায় (Belal, 1992)। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়দের জনসংখ্যার বণ্টনচিত্রও সমান নয়। এরা গোষ্ঠী ও জাতিতে বিভক্ত হয়ে সারা পার্বত্য অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করে। তবে কোনো কোনো স্থানে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে মিশ্র জনসংখ্যা দৃষ্টিগোচর হয়। চাকমারা প্রধানত পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চলের চাকমা সার্কেলে কর্ণফুলী অববাহিকা এবং রাঙামাটি অঞ্চলে বাস করে। মগরা (মারমা) পার্বত্য চট্টগ্রামে দণিাংশের বোমাং এবং মং সার্কেলে বাস করে। ত্রিপুরা (টিপরা)গণ পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি সার্কেলে অর্থাৎ চাকমা সার্কেল, বোমাং সার্কেল এবং মং সার্কেল সকল স্থানেই ছড়িয়ে থাকলেও নিজেরা দল বেঁধে থাকে। ম্রো, খ্যাং, খুমী এবং মুরং বোমাং সার্কেলের বাসিন্দা। বাংলাভাষী বাঙালি অভিবাসীরা সারা পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও এদের বেশিরভাগই দলবদ্ধভাবে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রামগড় প্রভৃতি শহরাঞ্চলে বসবাস করে। বাকি বাঙালি জনসংখ্যা এখানকার উর্বর উপত্যকাগুলোর সমভূমিতে গুচ্ছগ্রামে বসাবস করে থাকে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়দের বাদ দিলে এখন আসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট-মৌলভীবাজারের খাসিয়া, মণিপুরী, পাত্র (পাত্তর) গোষ্ঠীর কথা। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল অঞ্চলের গারোদের কথা এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর-দিনাজপুরের কুচ রাজবংশী সাঁওতাল, ওরাও ও মুণ্ডাদের কথা। এদের সবাই সংখ্যার দিক বিচারে খুব নগণ্য ও বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে প্রামণিত যে, সিলেট অঞ্চলের খাসিয়া, মণিপুরী ও পাত্ররা তৎকালীন বৃহত্তর আসামের খাসিয়া জয়ন্তী পাহাড়, মণিপুর, কাঁচাড় ও অন্যান্য সংলগ্ন দুর্গম বনাচ্ছাদিত আরণ্যক জনপদ থেকে যুদ্ধ, আগ্রাসন, মহামারী এবং জীবিকার অšে¦ষণে সুরমা অববাহিকায় প্রবেশ করে ও সিলেটের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে বসতি স্থাপন করে। নৃ-বিজ্ঞান ও ভৌগোলিক জ্ঞানের সকল বিশ্লেষণেই এরা উপজাতীয় এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বৈ আর কিছুই নয়। এরা কোনো বিবেচনায়ই সিলেটের আদিবাসী হতে পারে না। এরা আদি আরণ্যক পার্বত্য নিবাসের (আসাম, মণিপুর, মেঘালয় ইত্যাদি) আদিবাসী হলেও যখন স্থানান্তরিত হয়ে নতুন ভূখণ্ডে আসে সেখানে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি ক্ষুদ্র উপজাতীয় গোষ্ঠী কিংবা ভিন্ন সংস্কৃতির ক্ষুদ্র জাতিসত্তা হিসেবে সমান্তরালভাবে থাকতে পারে। কিন্তু কখনো তারা নতুন জায়গায় আদিবাসী হতে পারে না। ঠিক একইভাবে, ময়মনসিংহ (হালুয়াঘাট অঞ্চল) এবং টাঙ্গাইল অঞ্চলের (মধুপুর) গারো সিংট্যানেরা ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালের পরে এদের অনেকে তাদের আদিনিবাস ভারতের উত্তরের গারো পাহাড়ে ফিরে গেলেও বেশ কিছুসংখ্যক গারো ও সিংট্যানরা বাংলাদেশের ঐসব অঞ্চলে রয়ে গেছে। গারোদের আদি নিবাস ভারতের গারোল্যান্ড।  কোনোক্রমেই ময়মনসিংহ কিংবা টাঙ্গাইলের আদিবাসী হতে পারে না। আরো বলা যায়, মাত্র ব্রিটিশ শাসনামলে আজ থেকে ৬০-৭০ কিংবা একশ’, সোয়াশ’ বছর আগে সিলেটের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং উত্তর সিলেটের কোনো কোনো নিচু পাহাড়ি অঞ্চলে চা বাগান স্থাপনের জন্য ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা বর্তমান ভারতের বিহার, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জঙ্গলাকীর্ণ মালভূমি অঞ্চল যেমনÑ ছোট নাগপুরের বীরভূম, সীঙভূম, মানভূম, বাকুড়া, দুমকা, বর্ধমান প্রভৃতি অঞ্চলÑ যা তৎকালীন সাঁওতাল পরগণাখ্যাত ছিল সেসব অঞ্চলে গরিব অরণ্যচারী আদিবাসী সাঁওতাল, মুণ্ডা, কুল, বীর, অঁরাও, বাউরী ইত্যাদি নানা নামের কৃষ্ণকায় আদিম জনগোষ্ঠীর মানুষকে শ্রমিক হিসেব স্থানান্তরিত করে অভিবাসী হিসেবে নিয়ে আসে।

একইভাবে যুদ্ধ, মহামারী থেকে আত্মরক্ষার জন্য এবং জীবিকার সন্ধানে রাজমহলের গিরিপথ ডিঙ্গিয়ে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলে (রাজশাহী, দিনাজপুর ও রংপুর) বাসবাস শুরু করে। উত্তরাঞ্চলের কুচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা থেকে দক্ষিণের রংপুর-দিনাজপুরের নদী অববাহিকামণ্ডিত সমভূমিতে নেমে বসবাস শুরু করে কুচ ও রাজবংশী জনগোষ্ঠী। এরা সকলেই তাদের মূল নিবাসের আদিবাসী হিসেব বিবেচ্য হলেও কোনো যুক্তিতে তাদের নতুন আবাসস্থল বাংলাদেশের ঐসব অঞ্চলগুলোর আদিবাসী বা ভূমিপত্র হিসেব চিহ্নিত হতে পারে না। উল্লেখ্য, রংপুর, দিনাজপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের নিম্নবর্ণের হিন্দুদের সাথে ও স্থানীয় অন্যান্য বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে কুচ রাজবংশীদের অনেকে সমসংস্কৃতিকরণ প্রক্রিয়ার (Acculturation Process) মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীতে একীভূত (Assemilated) হয়ে গেছে। এটা দোষের কিছু না বরং ভালো। মানবিক বিবেচনার মহানুভবতায়  এদেশে বসবাসকারী মানবগোষ্ঠীর সমান মর্যাদা, অধিকার ও স্বীয় জাতি, ভাষা, ধর্ম তথা সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিকাশের পূর্ণ অধিকার এবং সম্মান নিয়ে সবাই স্বকীয়তায় সমান্তরাল চলতে পারে বা মিশে যেতে পারে। কিন্তু কোন্ বিবেচনায় ুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণ বাংলাদেশের আদিবাসী নয়।

প্রশ্ন: : আদিবাসী ইস্যু নিয়ে বর্তমানে হৈচৈ-এর কারণ কি?

প্রফেসর আবদুর রব : আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তরে এ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলেছি। তারপরও আরো একটু বলার তাগিদ অনুভব করছি। এর উত্তরে আমি বলবো তিমুরের দিকে চোখ তুলেন। পূর্ব তিমুর হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত দিকে থেকে ইন্দোনেশিয়ার জন্য। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিমরাষ্ট্র। বিশ কোটি জনসংখ্যার দেশ। এরমধ্যে ১৮ কোটি মুসলমান। এ মুসলমান দেশের উপস্থিতি মাত্র তিনকোটি মানুষের দেশ অস্ট্রেলিয়া হুমকি মনে করে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার উত্তরেই হলো ইন্দোনেশিয়া। আর অস্ট্রেলিয়ার নিকটতম দ্বীপ হলো তিমুর। ইস্ট তিমুর ছিল পুর্তগীজ কলোনি আর ওয়েস্ট তিমুর ছিল দাজ কলোনি। গোটা ইন্দোনেশিয়া দাজ শুধু ওয়েস্ট তিমুর ছিল পুর্তগীজ। এই ইস্ট তিমুরের জনগণকে খ্রিস্টান করে ফেলে তারা। আর ওয়েস্ট তিমুরসহ গোটা ইন্দোনেশিয়া মুসলমান। বালিতে কিছু হিন্দু আছে। পুর্তগীজরা চলে যাওয়ার পর তিমুর ইন্দোনেশিয়ার সাথে থাকতো পারতো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া জিও পলিটিকসের মাধ্যমে এখাকার জনগণকে সংগঠিত করে বিদ্রোহকে উস্কে দিয়েছে। কারণ এখানে স্বাধীন ইন্দোনেশিয়া থাকলে যে কোন সময় ঘনবসতিপূর্ণ মুসলমানরা অস্ট্রেলিয়া দখল করে নিতে পারে এ আতংকে তারা এ ভূ-রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করে জাতিসংঘের ব্যানারে খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করে,  ইউরোপের খ্রিস্টান রাষ্ট্রগুলোর সাহায্যে পূর্বতিমুর নামে স্বাধীন খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। এখন সে রাষ্ট্র পাহারা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনী। সুতরাং ভূরাজনৈতিক কারণ এখানে নৃতাত্ত্বিক কারণের চেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ঠিক একইভাবে দেখুন সুদান বহুজাতি তাত্ত্বিক দেশ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকার একটি বড় দেশ। সেটার দারফুর অংশে উপজাতির ভিত্তিতে মুসলমানদের বিভাজন সৃষ্টি করেছে। তারপর সবচেয়ে সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ সুদান যেখানে রয়েছে তেল সমৃদ্ধ অ্যাবে অঞ্চল। এ অঞ্চলে আমেরিকার সিআইএ ও ইসরাইল অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। আশপাশের খ্রিস্ট রাষ্ট্রগুলো জনবল ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কে দিয়ে গণভোটের নাটক মঞ্চস্থ করে স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরির নামে বিচ্ছিন্ন করে দিলো। অপর দিকে পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেমন ফিলিপাইনের মুরোদের মিন্দানাও, সেখানে গোটা মিন্দানাও এর একটা অংশজুড়ে তারা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ তারা এখনকার কয়েকটা রাজ্যে যেমন সুলু মিন্দানাও, কিন্তু সেখানে তারা কোন স্বাধীনতা দিচ্ছে না। কাশ্মীরেও স্বাধীনতা দিচ্ছে না। ভাষা তাত্ত্বিক নৃতাত্ত্বিক সবদিক দিয়ে কাশ্মীরীরা আলাদা। সেখানে জাতিসংঘ ডাবলস্ট্যান্ডার্ড করছে। এভাবে চেচনিয়া, মিন্দানাওসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ ডাবলস্ট্যান্ডার্ড করছে। এসব দেশে গণভোট হলে সবাই স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিবে। আমাদের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে পূর্ব তিমুর ও সুদানের মতো ভয়ংকর খেলা চলছে।

প্রশ্ন: আওয়ামী লীগ তাদের গত টার্মে শান্তিচুক্তি করেছে, এতে কতটুকু লাভ ক্ষতি হয়েছে?

প্রফেসর আবদুর রব : আওয়ামী লীগের শান্তিচুক্তি অবশ্যই জনমতের প্রতিফলন নয়। ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগ এ কাজ করেছে তা ঠিক। কিন্তু এ বিষয়ের ওপর গণভোট হলে অবশ্যই ৯০ ভাগ মানুষ বিরুদ্ধে ভোট দিতো। এ চুক্তি আমাদের অস্তিত্ব সংবিধান ও স্বার্থের বিরুদ্ধে। এ চুক্তির কিছু কিছু ধারা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার দু’বার ক্ষমতায় আসার পরও। পারবেও না। শান্তিচুক্তি যেদিন বাস্তবায়িত হবে সেদিন এখনকার অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাস্তহারা হবে। তাদেরে সন্তু লারমার সন্ত্রাসীরা বের করে দিবে। এ চুক্তি আমাদের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের ৩৬,৩৮ ও ৪২ নং ধারার সাথে সাংঘর্ষিক।

প্রশ্ন: সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত বর্তমান সরকার নিয়েছে, তা কতটা যুক্তিসংগত।

প্রফেসর আবদুর রব : সেনাবাহিনী এদেশের রক্ষক। সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনী সমূহ দেশের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, আগ্রাসন প্রতিরোধ করবে। এখানে দুস্কৃতিকারীদের দু’টি গ্রুপ হয়ে গেছে তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি হানাহানি করছে। প্রায় প্রতিদিন মানুষ খুন হচ্ছে, রক্ত ঝরছে। সন্তু লারমা গ্রুপ আর মানবেন্দ্র লারমার গ্রুপ শান্তিচুক্তির পক্ষে বিপক্ষে যুদ্ধ করছে।

এ অস্থিরতা এবং এদের রক্ষা করতে সেখানে সেনাবাহিনী থাকা জরুরি। তাছাড়া এখানে আমাদের সীমান্ত আছে। এটা বিচ্ছিন্নতাবাদপ্রবণ এলাকা। এখান থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এমনও রিপোর্ট আছে দেশের বাইরে থেকে ট্রেনিং নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা ঢুকছে। তাদের হাতে হাজার হাজার অস্ত্র আছে। এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে এসব অস্ত্রে ভারতের ট্রেডমার্ক রয়েছে। অতএব এমন একটা অঞ্চলে সেনাবাহিনী থাকতেই হবে। যদি সিলেটে, ঢাকায়, রাজশাহীতে সেনাবাহিনী থাকতে পারে সেখানে পারবে না কেন? এটা তো আরো গুরুত্বপূর্ণ ও বিপন্ন এলাকা। আমাদের দেশের দশভাগের একভাগ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য, আমাদের পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বনজ খনিজ সম্পদের নিরাপত্তার এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অুণœ পাবর্ত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনী থাকা জরুরি। সর্বোপরি সেখানে যারা বসবাস করছেন তারাও আমাদের দেশের সম্মানিত নাগরিক তাদের নিরাপত্তা দেয়া আামদের পবিত্র দায়িত্ব। সুতরাং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই সংবিধানের অধীনেই সেনাবাহিনী এখানে থাকবে। যত সংখ্যক প্রয়োজন এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা করা দরকার করবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ভারত তার ১৪ লাখ সেনা সদস্যের ৬ লাখই কাশ্মীরে রেখেছে, ৪ লাখ রেখেছে উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে। সেদেশে এ নিয়ে কেউ কোন কথা বলছে না। অথচ বাংলাদেশের বিদেশি মদদপুষ্ট একশ্রেণীর মিডিয়া এ নিয়ে হৈচৈ করে। এখান থেকে সেনাপ্রত্যাহর বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বড় ধরনের হুমকি।

প্রশ্ন : উপজাতিদেরকে আলাদা রাষ্ট্রব্যবস্থার অধীনে আনার কোন প্রকল্প জাতিসংঘের আছে কি?

প্রফেসর ড. আবদুর রব : ব্রিটিশের ১৮৯৯ অথবা ১৯০০সালের একটি এ্যাক্ট ছিল যে চট্টগ্রাম পাবর্ত্য অঞ্চলকে আলাদা গুরুত্ব দেয়া হবে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা তাদের শাসন কাজের সুবিধার জন্য এ এ্যাক্ট জারি করেছিল। আমাদের স্বাধীন দেশে আমরা বাংলাদেশের সকল নাগরিক সমান মর্যাদার অধিকারী। যারা সেই এ্যাক্টের আলোকে দেশের কোন অঞ্চলের অথবা অধিবাসীর আলাদা গুরুত্বের কথা বলেন তারা ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে মূর্খের মতো এ কথা বলেন। সুতরাং এটার কোন ভিত্তি নেই। স্বাধীন দেশ চলবে তার সংবিধান অনুযায়ী। ঐ এ্যাক্টের দোহাই দিয়ে তাদের আলাদা স্ট্যাটাস দেয়া যায় না। বাংলাদেশ পৃথিবীর ঘন জনবসতি পূর্ণ দেশ। চট্টগ্রাম পাবর্ত্য এলাকা দেশের এক দশমাংশ অর্থাৎ ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার বা ৫ হাজার বর্গ মাইল। এখানে মাত্র ১৩ থেকে ১৫ লাখ মানুষ বসবাস করে। দেশের জনসংখ্যা অনুসারে সেখানে দুই কোটি মানুষ বসবাস করতে পারে।

 প্রশ্ন : আমার প্রশ্ন ছিলে জাতিসংঘের কোন রেজুলেশন আছে কিনা?

প্রফেসর ড. আবদুর রব :  আছে , তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয় কারণ এখানে কোন আদিবাসী নেই। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, ভারত, নিউজিল্যান্ডসহ যেসব দেশে আদিবাসী আছে তাদের জন্য। তবে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নয়, আলাদা স্ট্যাটাস দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরা আদিবাসী  হিসেবে কোথাও স্বীকৃত নয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকার করে না। কোন সরকারই করেনি। এরা আদিবাসী হলে অবশ্যই জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে আমরা মানতাম, কিন্তু আসলে এরা তো আদিবাসী নয়। বাংলাদেশে বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষীরাÑ যারা প্রোটো-অস্ট্রোলয়েড (proto Astroloid) নামের আদি জনধারার অংশ বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর তারাই একমাত্র আদিবাসী এবং Son of the Soil বলে দাবি করতে পারে। তাছাড়া আর কেউ আদিবাসী নয়। সুতরাং জাতিসংঘের এ রেজুলেসন আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

কিছুদিন আগে জাতিসংঘের একজন রিপোর্টার এদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে অনির্ভরযোগ্য কোন উৎসসূত্র থেকে ইতিহাস ঐতিহ্য, রাজনীতি, নৃতাত্ত্বিক বিষয় না জেনে যে রিপোর্ট দিয়েছেন তা পক্ষপাতদুষ্ট, অজ্ঞানতা প্রসূত এবং ভুল। তিনি কিছু বিদেশী মদদপুষ্ট এনজিও এর প্রকাশিত বই ও বিভিন্ন সোর্স থেকে ভুল তথ্য পেয়ে তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ রিপোর্ট দিয়েছেন। তাদের সঠিকভাবে দালিলিক তথ্য প্রমাণ দিয়ে বুঝাতে হবে। আসল বিষয়টি তাদের সামনে উপস্থান করতে হবে। যাদের তারা আদিবাসী বলছে আসলে তারা সেটেলার। তার কথার প্রতিবাদ করাও হচ্ছে বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এর প্রতিবাদ করে বলেছেন বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই।

আমিও বলছি বাংলাদেশে অভিবাসী এসব ক্ষুদ্রজনগোষ্ঠী আমাদের সমান নাগরিক সুবিধা সম্মান পাবে। জাতিসংঘের এ রেজুলেশন যেসব দেশে প্রকৃত আদিবাসী আছে তাদের জন্য।  কিন্তু কিছুতেই জাতিসংঘ ঘোষিত বাড়তি সুবিধা পেতে পারে না । কারণ তারা আদিবাসী নয়  অভিবাসী, বিভিন্ন দেশ থেকে এ দেশে এসেছে। শান্তিচুক্তিতে যে দেয়া হয়েছে সেটাও ভুল।

প্রশ্ন : কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট দেয়া হয়েছে সরকারের নিকট, পাবর্ত্য এলাকাকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে, বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

প্রফেসর ড. আবদুর রব : সেনাবাহিনীর মেধাবী কর্মকর্তাগণ যে রিপোর্ট দিয়েছেন, অবশ্যই তা গুরুত্বপূর্ণ। তারা যে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেছেন তা মোকাবেলায় অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। শান্তি বাহিনীর সদস্যরা ভারতে ট্রেনিং নিচ্ছে এবং সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র পায়। শান্তিবাহিনীর সদস্যরা ভারত থেকে এসে পুর্নবাসিত হয়েছে। তাদের হাতেও হাজার হাজার বাঙালি এবং ক্ষুদ্রজাতিগোষ্ঠীর লোক মারা গেছে। আগে ষড়যন্ত্র হয়েছে এখনো হচ্ছে। শান্তি বাহিনীর সন্তু লারমা এখনো বিচ্ছিন্নতাবাদ চাচ্ছে। এদের উস্কে দিচ্ছে বিদেশিরা। কারণ এখানে খ্রীস্টান মিশনারীদের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চলছে। কিন্তু ইসলামের দাওয়াতের কাজ নেই। যদিও বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌছানো। কিন্তু সরকার এমন অবস্থার সৃষ্টি করে রেখেছে যে সেখানে তাবলীগ জামায়াতের কাজও নিষিদ্ধ। যদিও মুসলমানদেরকে এ এলাকায় মিশনারি কাজ করতে দেয়া গণতন্ত্রেরও দাবি, কিন্তু সরকার তা করতে দিচ্ছে না। খ্রিস্টান মিশনারিরা হাসপাতাল চার্চ প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন জাতিসংঘের ইউএনডিপির আবরণে পাশ্চাত্য খ্রীস্টান এনজিও ধর্মান্তরের কাজ করছে। ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। এখানকার মিজোরাম, মণিপুরের, নাগাল্যান্ড ৯০/ ৮০ ভাগ খ্রিস্টান। বাংলাদেশের এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর সেটেলারদের খ্রিস্টান করে এখানে এরা একটা খ্রিস্টান রাষ্ট্র করার পরিকল্পনা করছে। সেনাবাহিনী সে দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে। পূর্ব তিমুরের মতো অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এ বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন করতে সেনাবাহিনী এ্যাকশনে গেলে তারা বলবে অত্যাচার নির্যাতন করছে। কিন্তু আমি বলছি শুধু পাবর্ত্য কেন দেশের রাজশাহী, সিলেট যে কোন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সেনা বাহিনী কঠোর হাতে দমন করবে, এটাই স্বাভাবিক। তখন উচিত সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করা। এমন কি ক্ষুদ্রজাতিগোষ্ঠীর নাগরিককেও দেশের অখণ্ডতার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

প্রশ্ন: একশ্রেণীর মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে আদিবাসী বলে ব্যাপকভাবে প্রচার করছে, এরা কারা?

প্রফেসর ড. আবদুর রব : এক কথায় বললে এরা মূর্খ। এদের কারো এনথ্রোপলজি, সোসোলজি, ইতিহাস, ভূগোল এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও আদিবাসী উপজাতি সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। আর যারা জেনে বুঝে এ কাজ করছে তারা বিভিন্ন পারিতোষিক,বৃত্তি, উচ্চ বেতনের চাকরি প্রভৃতির লোভে করছে। প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন  শ্রেণীর প্রভাবশালীরা লোভের বশে দেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এমন মিথ্যাচার করছে।

প্রশ্ন: দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ কি?

প্রফেসর ড. আবদুর রব : চট্টগ্রামের পাবর্ত্য এলাকা আমদের মোট ভূ-খণ্ডের দশভাগের একভাগ। এ এলাকায় জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করে বিচ্ছিন্নতাবাদকে যারা উস্কে দিতে তারা জানে না ওখানে বসবাসকারী মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী-ভাষাতাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক ও জাতিতাত্ত্বিক তিন দিক থেকেই অভিবাসী। বাংংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো  এখানকার  আদিবাসীও বাঙালিরা। তবে আমি মনে করি সকল নাগরিকের মতো এ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরাও বাংলাদেশের নাগরিক বাংলাদেশী। তারাও প্রত্যেক বাংলাদেশীর মতো সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত আমাদের এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র পবিত্র দায়িত্ব তাদেরও। বনজ সম্পদ, গ্যাসসহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদ, পানি সম্পদ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অফুরন্ত সম্পদের ভাণ্ডার এ এলাকায় পর্যটন শিল্প, স্কুল কলেজ নির্মাণ, হাসপাতাল, বিভিন্ন একাডেমী , ক্যাডেট কলেজ ও মসজিদ মাদরাসা নির্মাণ করে আরো ব্যাপক জনবসতি গড়ে তুলতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় লেবাননের মাত্র একটি ভ্যালি বেকাভ্যালি যেখানে বাস করে ৪৮ লাখ, এর আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার।  আমাদের পার্বত্য  এলাকার আয়তন ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার, অথচ এখানে বাস করে মাত্র ১৩ থেকে ১৫ লাখ লোক। এখানে চেংগুভ্যালি, সাংগুভ্যালি, মাতামুহুরিভ্যালি, কাচালংভ্যালিসহ ১২/১৩টি ভ্যালি আছে। ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য এটা একটা সম্ভাবনার স্বর্ণদ্বার। এ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন রিসোর্ট নির্মাণ করলে বাংলাদেশ বিশ হাজার কোটি টাকা অর্জন করতে পারবে। আমাদের বাজেটের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এখান থেকে আসতে পারে বলে অর্থনীতিবিদগণ মনে করেন।

সূত্র: সোনার বাংলা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশে আদিবাসী বিষয়ে আরো পড়ুন:

পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয় দৃষ্টির মধ্যে রাখতে হবে

একটি স্থায়ী পার্বত্যনীতি সময়ের দাবী

বাংলাদেশে আদিবাসী বিতর্ক

আদিবাসী বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনের ভুল ব্যাখ্যা ও অপপ্রয়োগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম কি বাংলাদেশ নয়, বাঙালীরা কি মানুষ নন- ১

পার্বত্য চট্টগ্রাম কি বাংলাদেশ নয়, বাঙালীরা কি মানুষ নন- ২

পার্বত্য চট্টগ্রাম কি বাংলাদেশ নয়, বাঙালীরা কি মানুষ নন- ৩

চাকমা রাজপরিবারের গোপন ইতিহাস

পার্বত্য চট্টগ্রাম, খ্রিস্টান মিশনারি ও বৌদ্ধ ধর্মের ভবিষ্যৎ-৩

বাংলাদেশে তথাকথিত ‘আদিবাসী’ প্রচারণা রাষ্ট্রীয় স্বার্থ প্রশ্নসাপেক্ষ

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আদিবাসী, উপজাতি, ক্ষুুদ্র নৃগোষ্ঠী
Facebook Comment

84 Replies to “উপজাতিরা নয় বাঙালিরাই আদিবাসী – একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রফেসর ড. আবদুর রব”

  1. “আদিবাসী” ও “সেটলার”

    ঐতিহাসিকভাবে ও আইনগতভাবে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে তা অবৈধ উত্তরাধিকার হিসেবে পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন আমাদের দেশে একটা অবৈধ উপনিবেশ স্থাপন করে বসে আসে। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই বাংলাদেশ “জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের অখণ্ডতা রক্ষার” নামে আমাদের বিরুদ্ধে যা কিছু করে, তা সবই বেআইনি এবং সন্ত্রাসী ও দমনমূলক আর জুম্মদের “আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার” বা “পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীনতার” নামে আমরা যা কিছু করি, তা “বিচ্ছিন্নতাবাদ” বা “দেশদ্রোহীতা” বা “সন্ত্রাসী কায্যকলাপ” নয়–তা আমাদের আইনসঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গত আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার বা স্বাধীনতা আন্দোলন। এবং এই বিশেষ কারনেই আমরা আমাদেরকে “আদিবাসী” আর আমাদের দেশে বসবাসরত মুসলিম বাঙ্গালীদেরকে “বেআইনি বা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী” বা “সেটলার” বলি।

    1. @নিখিল চাকমা,পার্বত্য চট্টগ্রামে আপনার কথায় যারা অজুম্ম তথা হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান সবারই বাস।
      কিন্তু আপনার প্রতিটি কথায় মুসলিমজাতি গোষ্ঠীর প্রতি স্বপ্রণোদিত আর অযাচিত আক্রোশ, আপনার পুরো জাতির প্রতি তাদের কি
      আরো আগ্রাসী করে তোলে না। অপালাপ বাদ দিয়ে যুক্তি আর তথ্য দিয়ে কথা বলুন,সন্ত্রাসের পথ পরিহার করুন। সত্য হলে আপনাদের পক্ষে আদিবাসী আওয়াজ তুলতে আমরা অজুম্মরাও(!) দ্বিধা করবো না।

    2. জনাব নিখিল চাকমা আরও দেখুন:
      1. প্রাচীন ভারতীয় শাসক মিহির কুল ভারতবর্ষ থেকে বৌদ্ধধর্ম ও তার অনুসারীদের নির্মূল করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলেন। (হিউয়েন সাংয়ের সফরনামা)
      2. শশাঙ্কও বৌদ্ধ নিধনে একই কাজ করে। (শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন: প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান)।
      3. হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদীরাই বৌদ্ধ ধর্ম-সংস্কৃতি ও প্যাগোডাকে ধ্বংস করে। মুসলিম শাসন চালু হবার পরই এদেশে আইনের শাসন কায়েম হয়।

  2. Sub-continent: Historical Timeline

    1. Vedic (Hindu) period: 1500 BCE – 6th century BCE.
    2. The Buddha was born in 563 BCE.
    3. Buddhist period: 6th century BCE – 12th century CE.
    4. Muhammad founded Islam in the 8th century CE in Arab and his army (‘jehadis’) invaded the Sub-continent (Afghanistan, Pakistan, India and Bangladesh together) from the 9th century CE to the 13th century CE and founded Mughal Empire in parts of the Sub-continent and forcibly converted Buddhists and Hindus to Islam. The Mughal Empire collapsed with the defeat of Sirajudollah, Nawab of Bengal, to the East India Company (the British) at the Battle of Palasi in 1757. There is no more surviving Mughal in the Sub-continent except their ruins.

    Bengali Muslims of Bangladesh are decedents of Buddhist and Hindu population of the Sub-continent with kamar (iron tool-making), kumar (pottery-making), chamar (shoe-making), dhom (fishing) etc professions. They were forcibly converted into Islam and made subjects of the Mughal Empire. They have nothing to do with the Mughal line of blood. So the history of the origin of the Bengali Muslims is not and cannot be linked with the Mughals.

    One does not need to be an intelligent person or a great historian to understand the answer to the question: who are the sons of soil or indigenous peoples in CHT? The easiest and the most scientific answer to this question is found in the census report/demographic statistics of this region. During the partition of the Indian Sub-continent in 1947, the ratio of Jumma and non-Jumma population of CHT was 98:2, that is out of every 100 persons 98 were Jummas and 2 were non-Jummas. There was not even a single non-Jumma (permanent resident) in CHT when the region was brought under the British colonial rule in 1860. There is no archaeological or literary evidence or otherwise that suggests the presence of Bengali Muslims in Chittagong Hill Tracts before 1750. While the Jummas have been living in greater Chittagong Hill Tracts (CHT, Chittagong and Cox’s Bazaar together) since 7th century CE. Therefore, who are the indigenous peoples of CHT? The answer is the Jummas.

  3. Distortion of CHT History

    You may remember in the recent past, the Bangladesh delegation at the UN was rebuked and disgraced for making a self-embarrassing attempt to come up with a unilateral definition of “indigenous peoples”. Bengali Muslim writers have been trying to distort the history of CHT. While doing so, they identify Bengali Muslim settlers to be “son of soil” or “indigenous people” and the Jumma indigenous people to be migrants from Arakan, Myanmar in the region. They do not know Chittagong and Cox’s Bazaar too, historically, belong to the Jumma people or to the kings of Arakan, Myanmar. What they say “history” (of CHT) is not at all history in the true sense of the term but raping of the history. It is an academic conspiracy to indoctrinate and legitimize Bangladeshi brutal colonial regime and jehad against the Jumma indigenous people.

    Muslim Bengalis should know that before the 12th century CE there was not even a single Muslim in the Indian Sub-continent. The ancestors Bengali Muslims were either Buddhists or lower caste Hindus during the Buddhist period (6 century BCE – 12th century CE) in the Sun-continent. They were forcefully converted to Islam by the jehadis of Muhammad of Arab in the 13th century when they arrived here.

    The total population of Bangladesh were about 7 crore, including 30% non-Muslims, in 1971; now the figure has gone up 18 crore within 41 years—an increase of 11 crore in 41 years! With polygamy and illiteracy, they turned out to be a man-producing factory! In the light of this fact, I assume, as there is no demographic data, the total population of Bengali Muslims of what was then called “Bengal”, including parts of what is now called West Bengal, would have not been more than 50-60 lakh in 1860—153 years ago from today. They were basically concentrated in Dhaka, Murshibadbad and its peripheries. Control of Buddhist Chittagong went from the kings of Arakan to the Nawab of Bengal in 1666. It was only from that time Bengali Muslims started moving towards Chittagong and Cox’s Bazaar hitherto populated by mostly the Chakmas and the Maramas. That is why historically, Chittagong and Cox’s Bazaar belong to the Jummas or to the kings of Arakan. So I will not wonder if Myanmar reclaims Chittagong and Cox’s Bazaar as their territories from Bangladesh sometime in future.

  4. History of Chittagong

    Historically, Chittagong and Cox’s Bazaar belong to the Jumma people. Places like Chakmakul, Rajanagar, Ranirhat etc and ruins of Buddhist temples, like Pandit Vihara still witness to this fact. Pandit Vihara of Chittagong flourished in the 10th century AD was a great seat of Tantrik Buddhist learning. Many Chakma Raulis or Luris (tantrik priests) are believed to have lived in this temple.

    Chittagong was conquered by an Indian origin Buddhist king of Arakan (Myanmar), Sola Sinha Chandra, in 953 AD [Ahidul Alam, 1982, p.2]. In order to commemorate his victory over the region, he erected a pillar inscribed with these words: “chit-tou-goung”, i.e. a place gained by war [Natun Chandra Barua, 1986, p. 29], the name that has given birth to what is now called “Chittagong”. According to Mahbabul Ul-Alam, “chit-tou-goung” means “it is unfair to fight”. Chittagong went to the control of the king of Tripura, Dhanya Manikya, in the 15th century AD (Kaliprasanna Sen, 1336 Tripura Era, P. 32). The Arakanese king again took over the region from the Tripura king in the same century. The Portuguese’s control over the region in the 16th century was short-lived. Chittagong became a part of the Mughal Empire in 1666 when the Nawab of Bengal, Shaista Khan, invaded it. This was the very period when Jummas of Chittagong started moving towards Chittagong Hill Tracts to avoid the atrocities of the Mughal ruler and the famous Chakma ballad “Chadigang Chhara Pala” [Migration (of Jummas) from Chittagong] was composed. Chittagong Hill Tracts was never a part of the Mughal Empire for its geographical and strategic advantages. The British colonized Chittagong and Chittagong Hill Tracts respectively in 1760 and 1860 following the defeat of Nawab Sirajuddaula of Bengal at the Palasi Battle in 1757.

    1. নিখিল চাকমা পড়ুন, জানুন:

      কে ব্রাক্ষণদের লালসা থেকে নিম্নবর্ণের মেয়েদের মুক্ত করেছিল?

      ইমরান হোসাইন

      ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বইয়ের দোকানে “কামসূত্র” নামক একটা মোটা বই বিক্রি করা হয়। কিন্তু আমরা কি জানি এই কামসূত্র বইটার প্রতি পাতায় পাতায় কত নির্যাতিতা নারীর কান্না লুকিয়ে আছে ? আপনারা কি জানেন এই কামসূত্র বইটার ইতিহাস কি ? এই কামসূত্র বইটার ইতিহাস জানতে হলে আগে আমাদের দেখতে হবে এই কামসূত্র বই টা কত আগে লেখা হয়েছে। কামসূত্র বইটা লেখা হয়েছে সংস্কৃত ভাষায়। কমপক্ষে ৩০০০ হাজার বছর পূর্বে এই “কামসূত্র” বইটা লেখা হয়। তো আজ থেকে ৩০০০ বছর পূর্বে ভারত বর্ষে পড়াশুনা লেখালেখি করত কারা ? অবশ্যই ব্রাক্ষণরা। হ্যা ক্ষত্রিয়রা পড়াশুনা জানত তবে সেটা শুধু রাজ্য চালানোর জন্য যতটুকু দরকার হয় ঠিক ততটুকুই। কিন্তু ক্ষত্রিয়রা কখনই লেখালেখির জগতে ছিল না। প্রাচীন ভারতে লেখালেখির কাজটা শুধু ব্রাক্ষণরাই করত।
      ভারতবর্ষে ইসলাম আসার পূর্বে নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েরা বিয়ের আগে মন্দিরে সেবাদাসী হিসাবে কাজ করতে হতো। মন্দির ধোয়া মোছা থেকে শুরু করে মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিতদের শয্যাসঙ্গী হওয়া এরকম প্রায় সব কাজই তাদের করতে হত। তো এই ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা এই নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রতিদিন উপুর্যপুরী মুক্ত শারীরিক সম্পর্ক করতো। এই মেয়েরা কিন্তু ব্রাক্ষনদের কেনা দাসী ছিল না, তারা শুধু তাদের বিয়ের আগের সময়টা এই মন্দিরে কাজ করতো সেবা দাসী হয়ে। বিয়ের পর এই নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা আর মন্দিরে যেত না। ব্রাক্ষণ পুরোহিতরা তখন চিন্তা করে আমরা যে এত মজা করে মুক্ত শারীরিক সম্পর্ক করছি আমাদের উচিত এই মুক্ত শারীরিক সম্পর্ক এর ক্রিয়াকৌশল গুলি ভবিষ্যত্‍ প্রজন্মকে জানানো। তখনই মন্দিরের এই ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা কামসূত্র নামে এই বইটি লিখে। তাছাড়া কামসূত্র বইটি একদিনে লেখা হয় নি আর শুধুমাত্র মল্লনাগ বাৎস্যায়ন নামক এক ব্যক্তি এই বইটা লিখেন নি। অনেক জনের হাত দিয়ে অনেক সময় নিয়ে কামসূত্র বইটি লেখা হয়েছে তা বইটি উল্টাইলেই বুঝা যায়। আর কামসূত্র বইটির বিভিন্ন অধ্যায়কে আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে তৎকালীন ভারতীয় ব্রাক্ষন পুরাহিতরা রা বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন। যেমন ১. চারায়ণ লেখেন-সাধারণ কাম বিচার। ২. সুবর্ণাভ নামক লেখক লিখেন -যৌন কাম বিচার। ৩. ঘোটকমুখ লিখেন- যুবতী নারীর বিচার। ৪. গোমার্দীয় লিখেন-স্বামী-স্ত্রীর সম্বন্ধের বিচার। ৫. গণিকাপুত্র লিখেন-পরস্ত্রীগমন বিচার। ৬. দত্তক লিখেন-পতিতাদের কাম বিচার। ৭. কুচুমার লিখেন-দেহ সৌন্দর্য ও যৌনিক বৃদ্ধির উপায় বিচার।
      আজও দক্ষিত ভারতের অনেক মন্দিরের গায়ে উলঙ্গ নারী পুরুষের এই কাম কলাগুলি প্রস্তর চিত্রের মাধ্যমে ফুটে আছে। [ তথ্যসূত্র: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, অতুল চন্দ্র রায়, নিঊ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি, ৮/১ চিন্তামণি দাস লেণ কোলকাতা-৭০০০৯]

      হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র মতে নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা ব্রক্ষার পা থেকে জন্ম নিয়েছে। ” আজও দক্ষিন ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে এখনো সেবাদাসী প্রথা টা রয়ে গেছে। দক্ষিন ভারতে প্রত্যন্ত গ্রামে এখনো কোন নিম্ন বর্নের হিন্দু মেয়ের বিয়ে হলে বিয়ের আগে তাকে কোন উচ্চ বর্ণের ব্রাক্ষন পুরাহিতদের সাথে রাতে ঘুমাইতে হয়।

      এমনকি এই সেবাদাসী প্রথা এখনো ভারতে চলছে। সম্প্রতি কর্ণাটক রাজ্যের দেবনগর জেলার উত্তরঙ্গমালা দুর্গা মন্দিরে রাতের বেলায় নারীদের দেবতার নামে ‘উৎসর্গ’ করার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে – এই মর্মে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ওই অনুষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেন৷ ভারতের মন্দিরে যে এখনো সেবাদাসী প্রথা চলছে তা ভারতের মিডিয়াতেই বলা হয়েছে।
      ————————
      উমাইয়া খিলাফতের সময়ে মুহম্মদ বিন কাসিম যখন রাজা দাহির কে পরাজিত করে পাকিস্তানের সিন্ধু জয় করেন তখন মহান মুসলিম সেনাপতি মুহম্মদ বিন কাসিম প্রথম ভারত বর্ষে এই সেবাদাসী প্রথাটা বন্ধ করেন। নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা তখন কৃতজ্ঞাতায় মুহম্মদ বিন কাসিমের মূর্তি বানিয়ে পূজা শুরু করে দিয়েছিল। পরে অবশ্য মুহম্মদ বিন কাসিম নিজ হাতে তাঁর সকল মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেন। [ তথ্যসূত্রঃ আল-বেরুনীর ভারত তত্ত্ব] এই জন্যই স্বামী বিবেকানন্দ দাস বলেছিলেন- “ ইসলাম তো ভারত বর্ষের নিপীড়িত জনগণের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। ”

      চিন্তা করে দেখুন ইসলাম যদি এই ভারতবর্ষে না আসতো তাইলে কি যে হত! আমি খুব অবাক হই যখন দেখি নেট জগতে ব্রাক্ষণ ছাড়া অন্যান্য গোত্র যেমন দাস রায় ভদ্র দত্ত পাল এই বংশের হিন্দু মেয়েরা ইসলাম ধর্মকে গালিগালাজ করে। আরে ইসলামই তো এইসব নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েদের কে ব্রাক্ষণদের লালসার হাত থেকে বাচিয়েছিল। সত্যিকথা বলতে কি ইসলাম যদি ভারতবর্ষে না আসত তাইলে আমরা এখনো ব্রাক্ষণদের দাস হিসাবেই থাকতাম। আর এই কারণে ব্রাক্ষণ ছেলেদের ইসলামের উপর এত রাগ।

  5. ধর্ম ও সভ্যতা

    ব্রাহ্মনধর্ম (আজকাল যাকে ‘হিন্দুধর্ম’ বলা হয়) হোল ভারতবর্ষে প্রথম প্রতিষ্ঠিত প্রাতিস্থানিক ধর্ম। ভারতবর্ষে এই ধর্মের প্রভাব খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ১৫০০ বছর থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ বছর পয্যন্ত লক্ষ্য করা যায়। বুদ্ধ (৫৬৩-৪৮৩ খ্রিস্ট পূর্ব) তাঁর ধর্ম প্রচারের ফলে এই ধর্মের প্রভাব সমাজে অনেকটা নিস্প্রভ হয়ে পড়ে। শুরু হয় ভারতবর্ষে সামাজিক বিপ্লব ও বৌদ্ধ সভ্যতা।

    বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম (নেপালের লুম্বিনি উদ্যান) যীশু খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ৫০০ বছর আগে, অর্থাৎ আজ থেকে (২০১৩ + ৫০০=) ২৫১৩ বছর আগে বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তন হয়।

    খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিস্টের জন্ম (বর্তমান ইসরাইলের বেথ্যালহেম শহর) হয়েছিল আজ থেকে ২০১৩ বছর আগে, অর্থাৎ আজ থেকে ২০১৩ বছর আগে খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তন হয়।

    ইসলামধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহম্মদের জন্ম (বর্তমান আরবের মক্কা শহর) যীশু খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ৬০০ বছর পরে, অর্থাৎ আজ থেকে (২০১৩–৬০০=) ১৪১৩ বছর আগে ইসলামধর্মের প্রবর্তন হয়। অর্থাৎ বৌদ্ধধর্মের (২৫১৩–১৪১৩=) ১১০০বছর পরে ইসলামধর্মের আবির্ভাব হয়।

    যীশু খ্রিস্টের জুন্মের ৫০০ বছর আগ থেকে ১২০০ শতাব্দী পয্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ১৭০০ বছর (কম সময় নয়) ছিল ভারতবর্ষে বৌদ্ধ সভ্যতার ইতিহাস। এই সময় ভারতবর্ষের (বর্তমান ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিল বৌদ্ধ। হিন্দু ও জৈনরা ছিলেন ধর্মীয় সংখ্যালগু। এখানে একজন মুসলিমও ছিলনা। ভারতবর্ষ থেকে বৌদ্ধধর্ম মধ্য এশিয়া (বর্তমান আফগানিস্থান, উজবেকস্থান, কাজাকস্থান, দক্ষিন রাশিয়া, মধ্য প্রাচ্যের কিছু দেশ–যেমন ইরাক, ইরান, সিরিয়া ইত্যাদি), পূর্ব ইউরোপ, তিব্বত, চীন, জাপান, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, যাবা, সুমাত্রা ও বর্ণীয়ও দ্বীপপুঞ্জ (বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া ও মালএশিয়া), বার্মা ও শ্রীলঙ্কায় বিস্তার লাভ করে। এর পেছনে সবচেয়ে বেশী কাজ করেছিলেন সম্রাট অশোক (খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী) এবং অগণিত শান্ত ও সোম্য বৌদ্ধভিক্ষু ও পণ্ডিত। এই ধর্ম প্যৃথিবীর যেদিকে গেছে সেদিকে মানুষকে সভ্য করে তুলেছে, দিয়েছে শান্তি, মৈত্রী, করুণা, প্রেম ও প্রজ্ঞার আশ্বাস এবং সঠিক জীবনের অর্থ।

    ১২০০ সালে বখতিয়ার খিলজি বর্তমান বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ আক্রমণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভারতবর্ষে প্রকৃত মুসলিম সাম্রাজ্য। আরব দুনিয়া থেকে মুহম্মদের আর্মি “এক হাতে তলোয়ার এক হাতে কোরান” নিয়ে এসে জেহাদ (অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ) করতে করতে বর্তমান আফগান্তিস্থান, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ আক্রমণ করে বেদখল করে নেয়। বৌদ্ধ, হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের গণহত্যা করে। কেও মারা গেল, কেও পালিয়ে গেল আর যারা বাকী ছিল তাদেরকে জোরপূর্বক ইসলামধর্মে ধর্মান্তরিত করল। নয়তলা এবং ৩০০০ বৌদ্ধ শিক্ষক ও ছাত্র বিশিষ্ট বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দাসহ, বিক্রমশীলা, তক্ষশীলা এবং ভারতবর্ষের সমস্ত বৌদ্ধ মন্দির, শিক্ষা প্রতিস্থান, শিল্পকলা, কারুকায্য ও সভ্যতা ধ্বংস করে দিল। কথিত আছে তাদের আক্রমনে বৌদ্ধধর্মের এত ক্ষতি হয়েছিল যে ভারতবর্ষের মাটীতে বৌদ্ধধর্মের একটা পুস্তকও পাওয়া যায়নি; আজকাল আমরা বৌদ্ধধর্মের যে বই পড়ছি সেগুলো সব তিব্বতী, চীনী, সিংহলী ভাষা থেকে প্রথমে ইংরেজি ও পরে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করা গ্রন্থ থেকে পড়ছি। আজকাল আফগানিস্থান, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে যারা নিজেদেরকে ‘মুসলিম’ বলে পরিচয় দিচ্ছে তাদের পূর্বসুরীরা সবাই বৌদ্ধ বা হিন্দু বা জৈন ছিলেন। আজকাল বাংলাদেশের মুসলিমরা যে ভাষায় কথা বলছেন ও যে লিপিতে লেখা লেখছেন তার উৎস হোল তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মীয়গুরু দ্বারা লিখিত ও ভাষিত চর্যাপদ (১০ম শতাব্দী)…পাহাড়পুর, পণ্ডিত বিহার, ময়নামতি সব বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন। আজ তারা ইসলামের কুপ্রভাবে—ধর্মীয় গোঁড়ামির কারনে–তাদের জাতি, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতার উৎস ভুলে গেছেন—জানেন না বা জানলেও তা অস্বীকার করেন! বর্তমান যুগে ধর্মীয় নিয়ম দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করা হয়না। কিন্তু তারা এখনও তাই করছেন! এখনও সেই মধ্যযুগীয় জেহাদ ও বর্বরতা!এটাই তাদের সঙ্গে অন্যান্য সভ্য সমাজের সমস্যার মূল কারণ। তারা পৃথিবীতে একটা অদ্ভুত স্পেসিস! অন্যান্য সমাজ ও সভ্যতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা!

    ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ খ্রিস্টান (ব্রিটিশ) সাম্রাজ্যবাদের কাছে পরাজিত হয়। অর্থাৎ প্রায় ৫০০ বছর পর ভারতবর্ষে মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের অবসান হয়। ভালই হয়েছে। কারণ খ্রিস্টান সাম্রাজ্যবাদ ভারতবর্ষে না আসলে আজ সেখানে কোন বৌদ্ধ, হিন্দু ও জৈন সভ্যতার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেতনা; খ্রিস্টান সাম্রাজ্যবাদের কারনে বৌদ্ধ, হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বী জনতা ও তাদের সভ্যতা মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের জেহাদ থেকে রক্ষা পেল, যেমনটি খ্রিস্টান সাম্রাজ্যবাদের মানবতা বা মানবাধিকার আইনের কারনে জুম্মরা পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের কড়াল গ্রাস বা জেহাদ থেকে রক্ষা পেয়ে আসছে।

    খ্রিস্টান (ব্রিটিশ) সাম্রাজ্যবাদের সময় (১৭৫৭-১৯৪৭) মোটামুটি ১৮৮০–১৯৪০ সালের মধ্যে পুরাতত্ত্ব ও ভারততত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম, জেমস প্রিঞ্চেপ, রিডস ডেভিড (স্বামী-স্রী যারা লন্ডনে “পালি টেক্সট সোসাইটি” স্থাপনা করে পুরো ত্রিপক ইংরেজী ভাষায় অনুবাদ করেন),এডউইন আরলন্ড (‘The Light of Asia’-র লেখক যার কাব্যগ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “গীতাঞ্জলী লেখতে অনুপ্রেরণা যোগায়), ওলডেনবাগ, মাক্সমুলার, উইন্টারননিজ, লা ভিলা পুসিন, সেল্ভিন লেল্ভি, এইচ কার্ন, স্পেঞ্চ হার্ডি, পল চারুস (খ্রিস্টান ফাডার), ফাসবল, শ্রীলঙ্কার অনাগারিক ধর্মপাল, বাংলার রাজেন্দ্রালাল মিত্র, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মহারাষ্ট্রের আম্বেদকর প্রমুখ মনিষীগণ না হলে আজও বুদ্ধধর্ম তার জন্ম ও কর্মভুমি ভারতবর্ষের ধ্বংসস্তূপে শায়িত থাকতো–পুনরাবির্ভাব হতে পারত না। তারা না হলে আজ আমরা লুম্বিনি, বুদ্ধগয়া, সারনাথ, কুশিনগর, সাচিস্তূপ, অজন্তা-এলোরা ইত্যাদি কি এবং কোথায় কিছুই জানতাম না। হলিউড ও অনেক হলিউড তারকারা না হলে আজ বৌদ্ধধর্ম এত পশ্চিমাদেশে জনপ্রিয় হতো না। আজ পশ্চিমে যারা খ্রিস্টান তারা নতুন করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করছেন।

    বস্তুতঃ খ্রিস্টান হৃদয় খুব উন্মুক্ত, উদার ও মানবিক। এই হৃদয় শুধু শাসন-শোষণ করেনা–কিভাবে সভ্য হতে হয় ও সভ্য শাসন কায়েম করতে হয় তাও শেখায়। তারা পৃথিবীর যেদিকে গেছে মানুষকে শিক্ষা দিয়েছে এবং মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছে–যেমন হংকং (প্রাক্তন ব্রিটিশ কলোনি), মেকাউ (প্রাক্তন পরতুগিস কলোনি), প্রেসিডেঞ্চি কলেজ (কলকাতা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বর্তমান ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ ব্যাবস্থা, আইন-ব্যাবস্থা ইত্যাদি। তাই তারা আজ পৃথিবীতে সবচেয়ে উন্নত, উদার, মুক্ত, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুজাতিক সমাজ। মুসলিম সমাজ আমাদেরকে কি শিখাচ্ছে আর কি দিচ্ছে? শুধু গনহত্যা, নারীধর্ষণ, ভূমি-বেদখল ও জেহাদি শিক্ষা।

    1. you posted the same content for several times in against of different article,
      probably copying from any blog (somewherein or others).
      Avoiding copy try to produce from yourself taking as ref.

      Anyway thanks for information(copied).

    2. আপনার দীর্ঘ ইতিহাস মোটেও D: আঃ রবের দাবির বাইরে নয়। আরবগণ এদেশে এসেছিলেন শান্তির ধর্ম ইসলাম নিয়ে। তারা তলোয়ার নিয়ে হাজির হলে কক্ষনোই ইসলাম এ দেশের মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেতনা। আপনি আপনাদের গুরুদের লেখা খন্ডিত ও একপেশে ইতিহাস পাঠ করেছেন মাত্র। এসব বিকৃতি যুগে যুগে হয়েছে, তাই বলা হয়- ইতিহাস একটি প্রবাহমান নদীর মত। আরব থেকে যারা এসেছিলেন তারা সংখ্যায় নিতান্তই নগন্য ছিলেন। তারা তাদের ধার্মিকতা, সভত্যার প্রচার, দয়াপরায়নতা আর শিক্ষা দ্বারা আমাদের পূর্বপুরুষদের ইসলাম গ্রহনে উদবুদ্ধ করেছিলেন। কেবল মাত্র তলোয়ারের সাহায্যে গোটা বিশ্বে বর্বর (!) আরবরা ইসলামকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন- এমন কথা এ যুগেও কেউ বিশ্বাসে ধারন করতে পারে আমার জানা ছিলোনা।

      আপনার অভিযোগ গুলি অত্যন্ত হাস্যকর। তলোয়ার নয় নীতিই ঠিকে থাকে। অথচ পৃথিবীতে নিকট অতীত স্বাখ্য দেয় ইসলাম এমন একটি ধর্ম যাতে সবচেয়ে বেশি হারে মানুষ কনভার্টেড হয়েছে যা আজো অব্যাহত রয়েছে।

      ১- আপনি হাশ্যকর দাবি করেছেন, আঃ রবের যুক্তির ও তথ্যের বিপরীতে- আপনি মানুষকে গননার মাঝে না নিয়ে তাদের ত্যাগ করা ধর্মের ভিত্তিতে “আদিবাসী”- কে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

      ২- যুক্তির খাতিরে আপনার বালখিল্যপনা মানলেও প্রস্ন থাকে- আপনি কি করে মানুষ বিহীন আবাস এবং মানুষ বিহীন ধর্ম কল্পনা করেন !!!
      কারন একটি ভূমির আদিবাসিরা যখন আদি ধর্ম ত্যাগ করেন তখন তারা ভূমিচ্যুত হন না। তারা তাদের পৈতৃক ভিটা হতে উচ্ছেদ হননা। কারন মানুষ হচ্ছে সকল কিছুর নিয়ন্তা। বরং পূর্ব ধর্ম সেই ভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়। কারন তা পালন কারির সংখ্যা শূন্য হয়ে যেতে পারে কিংবা সংখ্যা লঘু হতে পারে।

      যাই হোক আজকের বাংলাদেশিরা আদিবাসি এতে আপনারও সন্দেহ নেই। আপনি কেবল ধর্মের পরিবর্তনের কারনে মানবতাকে উচ্ছেদের মত “জংলি” ভাবধারায় বিশ্বাসী বৌদ্ধ এটাই হচ্ছে প্রবলেম। আপনারা এই জঙ্গিপনা মিয়ানমারে দেখিয়েছেন, চীনে দেখিয়েছে। এমন জঙ্গিপনা আমরা দেখানোর প্রয়োজন দেখিনি কক্ষনো। কিন্তু আপনারা আমাদের অনেকের মাঝেই এই একই ভাব ধারা জাগ্রত করার চেষ্টা / ঊশকানি দিচ্ছেন- আপনাদের বিচ্ছিন্নতা মনভাব দেখিয়ে।

      আপনি হাজার বছরের ইতিহাস দেখাচ্ছেন, আপনি লাখ বছরের ইতিহাস জানেন না। সেই ইতিহাস আপনাকে আপনার যুক্তিতে এই পৃথিবীতে স্যাটেলার বানিয়ে দেয়।

      আর খ্রিষ্টানদের এত গুনগান করছেন, তারা কোণ সময় স্যাটেলার ছিলো, যারা এই অঞ্চলে খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচার করেছে। অনেককে ধর্মান্তরিত করেছে। তারা কিন্তু আপনার “স্বীকৃত” উদারতা আর শিক্ষা দিয়েই এ কাজ করেছে।

      তাদের চাইতেও সুন্দর সমাজ কাঠামো ইসলামে রয়েছে, তাই আপনার ড্রিমল্যান্ড “খ্রিষ্ট” প্রধান অঞ্চলে ইসলামিক কনভার্শন এখনো চলছে।

      আমাদেরকে দেখান সেখানে মুসলিমরা তলোয়ার দিয়ে ধর্মান্তকরন ঘটাচ্ছে। আমেরিকা,ইউরোপের খোঁজ রাখলে আপনি বুঝার কথা।

      যাই হোক এখানে আঃ রব উপজাতি আর আদিবাসি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমাদেরও সেই বিতর্কে যাওয়া উচিত ছিলো। অথচ দেখুন এই প্লাটফর্মেও ধর্ম নিয়ে আপনাকে বোঝাতে হচ্ছে !!!

      যাই হোক ইসলাম এমন একটি দর্পন – যেকোন দৃষ্টিকোন থেকে এবং যেকোন প্লাটফর্ম থেকে তা তার স্বকীয়তা দেখাতে পারে।

      আসুন গোঁড়ামি আর অতীত পূজা ত্যাগ করি। সঠিক ও উন্নত জীবনাচরন গ্রহন করি। দেশকে ভালোবাসি। সমাজে ভালোভাবে বসবাসে স্বচেষ্ট হই।

      1. আর একটি কথা না বললে অপূর্ণতা থেকে যাবে। আর তা হল- ইসলামীর মৌলিক আদর্শ থেকে এদেশের কনভার্টেড মুসলিমগন সরে গিয়েছেন বলে আজ ইসলামের সকল ও মৌলিক ভালো দিক গুলি সমাজে অনুপস্থিত।

        এদেশে আওরঙ্গজেব, আকবর, কিংবা যারা মুসলিম শাসক ছিলেন তারা কেবল মুসলিম শাসকই ছিলেন (অর্থাৎ তারা নাম মাত্র মুসলিম ছিলেন)। তারা ইসলামিক শাসক ছিলেন না।

        প্রকৃত ইসলামী শাসন জানতে হলে আপনাকে মুহাম্মাদ সাঃ এর মক্কা বিজয় থেকে তাঁর পরবর্তী ৪ খলিফা ও তাদের জীবন যাপনের ধারা ও শাসন কার্য নিয়ে জানতে হবে।

        ইসলাম তার প্রকৃত মহিমা খুব অল্প সময়ই পৃথিবীতে বাধাহীন ভাবে দেখিয়েছে। বেশিরভাগ সময় তাকে গ্রাস করেছে বিশ্বাসঘাতক ও গুপ্তচর এবং অত্নকেন্দ্রিক সুবিধাবাদি লোকেরা।

    3. ইমন জুবায়ের এর লেখা ভাল কপি করছেন বুঝতে পারছি। আমার পূর্ব পুরুষ বৌদ্ধ,জৈন বা হিন্দু ছিল, তাতে সমস্যা কি ! প্রসঙ্গ তো ধর্ম নিয়ে না,জাতি নিয়ে। বাঙালি বা নিষাদ জাতির উৎপত্তি কিভাবে আর তারা কবে থেকে বঙ্গে আছে ইতিহাস ঘাটলেই তো জানা যায়। বেদের রেফারেন্স দিছেন তো ভাল করে বেদ উপনিষদ পড়েন ।

    4. Nikhil Chakma
      1. বখতিয়ার কখনও নালন্দায় যাননি। তিনি কীভাবে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করলেন? দুর্মুখেরা মিনহাজই সিরাজের তবাকাত-ই-নাসিরির সূত্রে নালন্দা ধ্বংসের বিভ্রান্ত তথ্যটি পেশ করে থাকেন। কিন্তু মিনহাজের বয়ানে এ রকম তথ্য নেই।
      2. বখতিয়ারই বাংলার বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে মুক্তি দেয়। দ্র. রামাই পণ্ডিতের শূণ্যপূরাণ। শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন ‘বৃহৎবঙ্গ প্রথম খণ্ড বইয়ে বলেন, মুসলমানগণ কর্তৃক বঙ্গবিজয়কে বৌদ্ধরা ভগবানের দানরূপে মেনে নিয়েছিল
      3. নামজাদা ভাষাবিজ্ঞানী কলকাতা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন রায়বাহাদুর বলেন, কর্ণসুবর্ণের রাজা শশাঙ্কের আদেশ ছিলো-সেতুবন্ধ হতে হিমগিরি পর্যন্ত যত বৌদ্ধ আছে বালক-বৃদ্ধ-নির্বিশেষে তাদের হত্যা করবে, যে না করবে তার মৃত্যুদÐ হবে (শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন: প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান, পৃ-১২)। ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু জুলুমবাজ শোষক শশাঙ্ক সম্পর্কে এরপর আর কী বলার থাকতে পারে? ‘বৌদ্ধধর্মকে পরাভ‚ত করে হিন্দুরা যেভাবে বৌদ্ধ-ইতিহাস লোপ করেছিলেন, তা অকথ্য অত্যাচার-লাঞ্ছিত। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় লিখেছেন, ‘বৌদ্ধ পারিভাষিক শব্দগুলো জনসাধারণের ভাষা হতে অন্তর্হিত হয়েছে। যে জনপদে (পূর্ববঙ্গে) এক কোটির অধিক বৌদ্ধ এবং ১১ হাজার ৫০০ ভিক্ষু বাস করত, সেখানে একখানি বৌদ্ধগ্রন্থ ৩০ বছরের চেষ্টায় পাওয়া যায় নাই।’…হিন্দুরা বৌদ্ধকীর্তি একেবারে লোপ করার জন্য যেখানে-সেখানে তাদের প্রাচীন কীর্তি ছিল, তা মহা-ভারতোক্ত পঞ্চ-পাÐব অথবা আর কোনো হিন্দু রাজ-রাজড়ার সম্পর্কিত এরূপ পরিকল্পনার দ্বারা বৌদ্ধাধিকারের চিহ্নমাত্র লোপ করার চেষ্টা পেয়েছিলেন (ওই; পৃ-১২-১৩)।
      4. ড. মোহাম্মদ হাননান বলেন, ‘বখতিয়ার খলজির বঙ্গ অভিযান : বাঙালির ইতিহাসে নতুন ধারার সূচনা। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, বাংলার এই প্রথম মুসলিম শাসনকর্তা কখনোই অত্যাচারী ছিলেন না। (বাঙালির ইতিহাস, পৃ-৬৭)।
      5. প্রাচীন ভারতীয় শাসক মিহিরকুল প্রায় 9 লাখ বৌদ্ধ নিধন করে। (হিউয়েন সাংয়ের সফরনামা)কুমারিল ভট্ট, বল্লালসেন, লক্ষণসেনরাও ছিল একই চরিত্রের।

  6. ডঃ রবের লেখা গবেষণামূলক নয়। তাঁর লেখাটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও এখানকার আদিবাসীদের ইতিহাসকে ধর্ষণ করেছে। এর উদ্দেশ্য এই এলাকায় বাংলাদেশের ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণকে স্বীকৃতি দেওয়া। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও এখানকার আদিবাসীদের সম্পর্কে ডঃ রবকে আরও বস্তুনিস্ত পড়াশুনা করতে হবে।

    1. Nikhil Chakma On 28 August 2013,at 3:20 commented about the colonial rule of the Bangladesh Govt.on Chittagong Hill Tracts.Is it not somewhat the the treachery attitudes to the country? Did he think CHT is a autonomous zone? He thought that CHT is not a part of Bangladesh. If he thought so, he will be guilty in the eye of peoples republic of Bangladesh. So he should avoid this mentality and obey to the Bangladesh constitution.If any claims about CHT,Plz bargain and consult with the Govt.combindly.

    2. আপনাদের সকল কাজে আর কথায় এই “ধর্ষন” ব্যবসাটা কিন্তু খুব নিচু বৃত্তি।

    3. সুপ্রিয় নিখিল চাকমা:
      বিশ্ববিখ্যাত ভারতীয় দার্শনিক, ভারতীয় কমিউনিস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সভাপতি, মানবেন্দ্র নাথ রায় বলেন,

      ‘ব্রাহ্মণ্য প্রতিক্রিয়ায় বৌদ্ধ-বিপ্লব যখন পর্যুদস্ত হয়ে গেল আর তাতেই হলো ভারতের সমাজে বিশঙ্খলার উৎপত্তি; তখন অগণিত জনসসাধারণ তা থেকে স্বস্তি ও মুক্তির নিঃশ^াস ফেলে বাঁচার জন্য ইসলামের বার্তাকেই জানালো সাদর সম্ভাষণ । (এম এন রায় : ইসলামের ঐতিহাসিক অবদান, কলকাতা, 1995, মল্লিক ব্রাদার্স, পৃ-৮৬-৮৭)

      তাই,আপনার এ বয়ান, ‘‘আরব দুনিয়া থেকে মুহম্মদের আর্মি “এক হাতে তলোয়ার এক হাতে কোরান” নিয়ে এসে জেহাদ’’ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য, গাজাখুরি, উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

  7. আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই
    সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী: ইতিহাসকে কলঙ্কমোচন করার দায়ভার থেকে মুক্ত হতে পারেনি রাষ্ট্র !!!

    বাংলাদেশ একটি বহু জাতি, বহু ভাষার, বহু সংস্কৃতির বৈচিত্রময় দেশ। একক কোন বাঙালি জাতি রাষ্ট্র নয়। কিন্তু উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদীর দাম্বিকতায় জ্যাত্যাভিমানী শাসকগোষ্ঠী আদিবাসীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রথাগত ভূমি অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করেনি।ফলত: ইতিহাসকে কলঙ্কমোচন করার দায়ভার থেকে রাষ্ট্র মুক্ত হতে পারেনি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে আদিবাসীদের বাঙালি জাতি হিসেবে অভিহিত করাসহ অবজ্ঞা ও অপমানজনক নানা নামে অভিহিত করা হয়েছে।আদিবাসীদের দাবি ও দেশের বৃহৎ জনমতকে সম্পূর্ণরুপে উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ’৭২-এর সংবিধানের মূলনীতিকে বাদ দিয়ে সরকার এক গোজামিলতন্ত্র তৈরি করেছে।৩৯ বছর আগে আদিবাসীদের আত্মপরিচয় নিয়ে যে বিতর্কের সূচনা হয়েছিল। নতুন করে বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে বিতর্কের পুনরাবৃত্তি ঘটালো। এতে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ভুল চিন্তাধারার মুখোশ উম্মোচিত হয়েছে। ভাবতে অবাক লাগে, লজ্জা লাগে -যে বাঙালি জাতি বিদেশী আধিপত্যের বিরুদ্ধে নিযার্তন, নিপীড়ন, শোষন-বঞ্চনার বিরুদ্ধে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছে, সে শাসক বাঙালি জাতিই এদেশের আদিবাসীদের সাথে প্রতারণা করে চলেছে। সংবিধানের ওপরে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ ও ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এবং ধমর্কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের বিধান রাখার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ ক্ষমতার মদমত্ততায় রাজনৈতিক হীনস্বার্থে ধমার্শ্রয়ের পথ খুঁজে নিয়েছে। তাই অগণতান্ত্রিক,সাম্প্রদায়িক ও জাতি-আগ্রাসী সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকে আদিবাসীরা প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা একদেশদর্শী,পক্ষপাতদুষ্ট, সাম্প্রদায়িক, সংকীর্ণতাবাদী তারাই অপরের মত ও অধিকারকে অসম্মান এবং অবদমিত করে রাখতে চায়। সত্যকে চাপা দিয়ে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা চালায়,তারাই ইতিহাসকে অসম্মান করে, বিকৃত করে। আদিবাসীদের কাছে এ ধরণের ছলচাতুরী-প্রতারণামূলক নানা অপকৌশলের জ্ঞানভান্ডার নেই। নরসিংদীতে আবিষ্কৃত প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন উয়ারী-বটেশ্বরের ইতিহাস নিয়ে অনেকেই গর্ব করেন। কিন্তু এটি মৌর্য যুগের প্রচীন জনপদ। বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ও চিন্তাবিদ ড. আহম্মদ শরীফ লিখেছেন- ‘…মৌর্যরা এই জনপদের শাসক হলেও তারা বাঙালি নয়।….’(বাংলার সংস্কৃতি প্রসঙ্গে-ড. আহমদ শরীফ) তাই এটা নিয়ে বাঙালিদের অহংকার করার কিছু নেই। ড. আহমদ শরীফ আরো লিখেছেন- ‘……আমাদের(বাঙালি) গায়ে আর্য রক্ত সামান্য, নিগ্রো রক্ত কম নয়, তবে বেশি আছে দ্রাবিড় ও মঙ্গোল রক্ত, অর্থাৎআমাদেরই নিকট-জ্ঞাতি হচ্ছে কোল, মুন্ডা, সাঁওতাল, নাগা, কুকী, তিব্বতি, কাছারী, অহোম প্রভৃতি….’

  8. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালের ২২ জুন আইএলও কনভেনশন ১০৭ অনুস্বাক্ষর করে।১০৭ কনভেনশনের উন্নততর হল ১৬৯ নং কনভেনশন।এটি বাংলাদেশ সরকার এখনো পয্যন্ত অনুস্বাক্ষর করেনি।বাংলাদেশ যদি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, শোষণ-বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিত হতে চায়। তাহলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই আদিবাসীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রথাগত ভূমি অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। বাংলাদেশ একটি বহু জাতি, বহু ভাষার, বহু সংস্কৃতির বৈচিত্রময় দেশ। একক কোন বাঙালি জাতি রাষ্ট্র নয়। এই ধ্রুব সত্যটিকে হৃদয়ে গভীরভাবে আত্ম-জিজ্ঞাসা ও আত্ম-উপলদ্ধির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারকদের উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদীর দাম্বিকতা-জ্যাত্যাভিমান মানসিকতা ত্যাগ করা উচিত।এতে করে বর্হিবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।সরকার যেহেতু আইএলও কনভেনশন ১০৭ এ অনুস্বাক্ষর করেছে। তাই মানবাধিকার মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকারের উচিত আইএলও কনভেনশন ১০৭ বিধানাবলী যথাযথভাবে মেনে চলা এবং আইএলও কনভেনশন ১৬৯ অনুস্বাক্ষর করা।

    1. বিনয় ত্রিপুরা
      ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মূলনিবাস ভারতের ত্রিপুরা। তাহলে আপনারা এদেশে বসতি গড়ে এখানকার আদিবাসী দাবি করছেন কেন? আপনারা তো এখানে বহিরাগত—

    1. you muslim man/ what do you know about the history? if you want to be muslims with your baruas family you agree to conditions of bloody muslims who are the avoided other humans and hole wisdom world.

  9. History is a statement of past facts. There is no scope for inclusion of personal speculations or subjective judgments in it. Dr. Rob’s undermines the history of CHT and its indigenous people with his personal speculations or subjective judgments on it. He refers to several books in wrong context to justify the arguments he advanced. It makes his paper ridiculous and political and departed from being called a “research” in the true sense of the term. History is not an election manifesto of a political party.

  10. “আদিবাসী” একটি যোগরূঢ় শব্দ। তবু এই রব নামের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় বিহীন বিশেষ অজ্ঞের কাছে জানার ইচ্ছা আদিকাল হতে বসবাসকারী যারা তারাই যদি আদিবাসী হয়ে থাকেন তবে কত শত বা কত হাজার বছর ধরে বসবাস করলে আদিবাসী পরিচয় সিদ্ধ? সময়কাল মাপকাঠি তার জানা আছে? আমার জানা নাই তাই জানার ইচ্ছা। উনি নিজেকে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন-কিন্তু জাতি হিসেবে তো সংকর(দেশের বিজ্ঞ ঐতিহাসিকগণ স্বীকার করেন বাঙ্গালী সংকর জাত)। পৃথিবীর চার মহাজাতি অস্ট্রালয়েড, ককেশয়েড, নিগ্রোয়েড এবং মঙ্গোলয়েড। নিজকে আমি চার মহাজাতির মাঝে মঙ্গোলয়েড হিসেবে পরিচয় দিতে পারি-উনার পরিচয়?

    1. ড. আবদুর রব পরিচয়হীন কেউ নন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভগের চেয়ারম্যান এবং প্রখ্যাত ভুগোল, পরিবেশ ও নৃবিজ্ঞানী। তিনি মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং রেড ক্রিসেন্ট-এর সাবেক চেয়ারম্যান।

      1. @ অতদিতি রাই, তবে তিনি কী আসল সত্যকে পাশ কাটিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক হয়েছেন। আমি তো মনে করি তার
        ১৯৪৭ সালের পার্বত্য চ্ট্টগ্রামের জাতিগত অবস্থান, সংখ্যা ও বিন্যাস এবং তার পূর্বেকার অবস্থান, সংখ্যা ও বিন্যাস সম্পর্কে পড়াশোনা করা উচিত।
        তিনি কি জানেন তার মন্তব্যের দ্বারা তিনি কোন ধরণের পরিচয়ে পরিচিতি পেলেন।

        1. রায়,
          রব এর প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় কেন এখানে তুলে ধরা হয় নাই সেটা আমার কাছে খটকা আর সন্দেহ লাগল। আমি ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা একজন। আমি জানি ভূগোলের সাথে ইতিহাসের বা নৃবিজ্ঞানের সম্পর্ক কতটুকু? খুবই অল্প। চার বছরের স্নাতকে ইতিহাস তো পাঠ্য ছিলই না। তবু তিনি ভূগোলবিদ হয়ে যা ব্যাখা করলেন ইতিহাসবিদ আর নৃবিজ্ঞানীগণ সেটাকে কি আদৌ গ্রহণ করেছেন? শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী কোটা চালু হয়েছে বেশি দেরী হয়নি। নৃবিজ্ঞান বিভাগ নামে এখানেও একটা ডিপার্টমেন্ট আছে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ভাই বোনেরা যে পরিচয় দিয়ে ভর্তি হয় তার নাম “আদিবাসী”।

          এবার আসি দেশে নৃবিজ্ঞান পাঠ বিষয়ে কিছু কথায়। আপনার জানা আছে কিনা জানি না দেশে নৃবিজ্ঞান পাঠের সূচনা হয়েছে ১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বিভাগটির শিক্ষদের সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। বিভাগটির শিক্ষকেরাও আমাদের আদিবাসী পরিচয় দিয়ে লেখালেখি করেন। এই একজন ভূগোলবিদ রব নৃত্ত্ব বিষয়ে বিতর্কিত লেখা নৃবিজ্ঞানে গ্রহণযোগ্যতা নেই।

          1. বিশেষ কোটায় জঙ্গল থেকে ঢাকায় এসে ভূগোল পড়েছেন,ভাল কথা। এবার কষ্ট করে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস পড়েন। পাহাড়ের জন্য এতো যখন মায়াকান্না, তাহলে পাহাড়েই ফিরে যান। আজব চিড়িয়া !!!

          2. জনাব তপন,
            বাঙালী ও বাংলা ভাষীরাই এদেশের সত্যিকারের আদিবাসী।
            1997 সালে শন্তু লারমা চুক্তির সময় উপজাতি হিসেবে মেনেই চুক্তিতে দস্তখত করেন। (দৈনিক জনকণ্ঠ, চতুরঙ্গ, মোয়াজ্জেমুল হক, 14 আগস্ট 2016)
            অতীতে কোন সময়েই তারা আদিবাসি দাবি করেনি। হাল আমলে তাদের এ দাবি রহস্যজনক।

      2. রব সাহেবের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় কেন তার সাক্ষাতকারটিতে তুলে ধরা হয় নাই সেটা আমার কাছে খটকা আর সন্দেহ লাগছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। আমিও ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা একজন। আমি জানি ভূগোলের সাথে ইতিহাসের বা নৃবিজ্ঞানের সম্পর্ক কতটুকু? খুবই অল্প। চার বছরের স্নাতকে ইতিহাস তো পাঠ্য ছিলই না। তবু তিনি ভূগোলবিদ হয়ে যা ব্যাখা করলেন ইতিহাসবিদ আর নৃবিজ্ঞানীদের কাছে সেটা কি আদৌ গ্রহণযোগ্য?

        এবার আসি দেশে নৃবিজ্ঞান পাঠ বিষয়ে কিছু কথায়। দেশে নৃবিজ্ঞান পাঠের সূচনা হয়েছে ১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বিভাগটি পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় নাম করা। এই বিভাগটির শিক্ষদের সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। বিভাগটির শিক্ষকেরাও আমাদের আদিবাসী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রত্রিকা/জার্নালে লেখালেখি করেন। এই একজন ভূগোলবিদ রব নৃত্ত্ব বিষয়ে বিতর্কিত লেখা নৃবিজ্ঞানে গ্রহণযোগ্যতা নেই।

        শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী কোটা চালু হয়েছে খুব বেশি দেরী হয়নি।নৃবিজ্ঞান বিভাগ নামে এখানেও একটা ডিপার্টমেন্ট আছে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ভাই বোনেরা যে পরিচয় দিয়ে ভর্তি হয় তার নাম “আদিবাসী কোটা”। সুতরাং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের কাছেও আমরা আদিবাসী হিসেবে পরিচিত।

        1. ভালো করে পড়ে দেখুন তার পরিচয় দেয়া হয়েছে কিনা ??

          আ জ া ি ত ক খ া ি ত স ভ ূর া জ ন ী ি ত ি ব ে ষ ক ে ফ স র ড , আ ব র র ব

          “আন্তর্যাতিক খ্যাতিসম্পন্ম ভূরাজনীতি বিশ্লেষক” – লেখাটা আপনার দৃষ্টির বাইরে গেল কি করে?? আর তিনি ভূ-রাজনীতির ইতিহাস জানবেন না। এতটা আশা করবেন না।

        2. ……বুঝছি আপনি অনেক বিদ্বান। এবার কোটা সুবিধা ছেড়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধা যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ইতিহাস, বিশেষ করে সুনীল,রাখাল এনাদের লেখা প্রাচীন বাংলার ইতিহাস পড়েন। গাড়ল !

        3. জনাব তপন
          ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষুদ্র, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশের ভূখ-ে তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে আগমন ঘটেছে ১৭২৭ সাল থেকে। তখন হতে তারা ওই অঞ্চলে অভিবাসী হিসেবে বসবাস করে আসছে। সঙ্গত কারণে তারা আদিবাসী নয়। প্রয়াত বোমাং সার্কেলের চীফ তথা বোমাং রাজা অং শু প্রু চৌধুরী ৯৬ বছর বয়সে স্বীকার করেছেন তারা আদিবাসী নন বরং প্রায় ৩শ’ বছর ধরে এদেশে বসবাস করে আসছেন। – See more at: http://www.dailyjanakantha.com/details/article/210433/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%8F%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80#sthash.NgyXjwt0.dpuf

  11. পার্বত্য চট্টগ্রামে বহুমাত্রিক সমস্যার ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পটভূমি
    শাহরিয়ার কবীর
    [..১৯৪৭ সালে সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যখন পাকিস্তান নামক ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে তখন থেকে ‘অভ্যন্তরীণ উপনিবেশিককরণ’ নীতি অনুযায়ী আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেয়া, সামরিক-আধাসামরিক বা অসামরিক ব্যক্তিদের দ্বারা নির্যাতন, হত্যা এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্য-আবাসন-ব্যবসা-চাকরিতে বঞ্চনা, অবকাঠামো উন্নয়নে বৈষম্য, ধর্মপালন ও সংস্কৃতিচর্চায় বিঘ্ন সৃষ্টি প্রভৃতি প্রাত্যহিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
    বাংলাদেশের ’৭২-এর সংবিধানকে গণ্য করা হয় বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে। শতকরা ৮৫ ভাগ জনসংখ্যা মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের অন্যতম নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে—যা সংখালঘু ধর্মীয় ও এথনিক সম্প্রদায়ের জন্য স্বস্তিদায়ক হলেও এই সংবিধানে আদিবাসীর স্বতন্ত্র জাতিসত্তার কোনও স্বীকৃতি এবং বিশেষ মর্যাদার কোন বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। আরও দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে—দুই উর্দিপরা জেনারেলের জমানায় ৫ম ও ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে ’৭২-এর সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা মুছে ফেলে উপরে ‘বিসমিল্লাহ ….’ এবং মুখবন্ধে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস’ স্থাপন করে এটিকে একটি সাম্প্রদায়িক সংবিধানে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ৮ম সংশোধনী জারি করে যখন ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে ঢোকানো হয় তখন থেকে সংখ্যালঘু অমুসলিম ধর্মীয় ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যরা কার্যতঃ দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হয়েছে।
    রাষ্ট্রের এই নির্যাতন, বঞ্চনা ও আগ্রাসন বাংলাদেশের পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের অস্তিত্ব ক্রমশঃ বিপন্ন করে তুলছে। ১৯৭১-এর আদমশুমারি থেকে আমরা জানতে পারি বাংলাদেশে ৪৫টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অবস্থান রয়েছে পাহাড় ও সমতলে, যাদের ভাষার সংখ্যা ৩২। গত আটত্রিশ বছরে বাংলাদেশে অন্ততপক্ষে দশটি নৃ-গোষ্ঠী হারিয়ে গেছে, বিলুপ্ত হয়েছে তাদের ভাষা, সংস্কৃতি, জ্ঞান ও ইতিহাস। আদিবাসীদের প্রতি রাষ্ট্রের বৈরি মনোভাব পরিবর্তিত না হলে একশ বছর পর বাংলাদেশে আদিবাসী পরিচয়ের কারও অস্তিত্ব থাকবে না। এই গাঙ্গেয় অববাহিকায় সভ্যতা নির্মাণে আদিবাসীদের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এমনকি বৃটিশ ভারতে স্বাধীনতার সংগ্রামেও আদিবাসীদের অবদান কম নয়। অথচ রাষ্ট্র যখন আদিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা কেড়ে নেয় সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি কোনও প্রতিবাদ করে না। যে বাঙালি পাকিস্তানের কলোনিসুলভ শাসন-পীড়ন-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই বাঙালি স্বদেশী আদিবাসীদের প্রতি পাঞ্জাবিদের মতো ঔপনিবেশিক প্রভুসুলভ আচরণ করছে।
    ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পাঞ্জাবি শাসকদের দ্বারা এতদঞ্চলের বাঙালিরা যত না নির্যাতিত হয়েছে তার চেয়ে বেশি হয়েছে আদিবাসীরা। জিন্নাহর দ্বি-জাতিতত্ত্ব অনুযায়ী শতকরা মাত্র তিন ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তানের অংশ হওয়ার কথা ছিল না। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের ধারণা ছিল তাদের এলাকা ভারত বা বার্মার অন্তর্ভুক্ত হবে। যে কারণে ১৪ আগস্ট পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সর্বত্র পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলিত হলেও ১৫ আগস্ট রাঙ্গামাটিতে ভারতীয় পতাকা এবং বান্দরবানে বার্মার পতাকা উত্তোলিত হয়। ১৭ আগস্ট র্যাডক্লিফ রোয়েদাদ প্রকাশিত হলে জানা যায়—পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তানের ভাগে পড়েছে। ২১ আগস্ট পাকিস্তানি সৈন্যরা রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে গিয়ে ভারতীয় ও বার্মার পতাকা নামিয়ে পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলন করে। এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাকিস্তানি শাসকরা পার্বত্য চট্টগ্রামে জমির প্রলোভন দেখিয়ে সমতলের বাঙালিদের বসতি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করে। ১৯৪৭ সালে যে পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী জনসংখ্যা ছিল শতকরা ৯৭ ভাগ, ’৬১ সালে তা কমে ৮৫ ভাগে দাঁড়ায়। ১৯৯৭-এ শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী জনসংখ্যা ছিল শতকরা ৫২ ভাগ ।….]

    1. শাহরিয়ার কবির একজন পেইড দালাল। তাকে বাংলাদেশের সবাই চিনেন।

  12. If a literate person like Dr. Rob’s view on indigenous people of CHT like so & tries to distort real history, so I can say he is a severe fundamentalist or religious fanatic. Hate to such kind of Dr. like him,he actually does not deserve honor because he has no knowledge enough for it! Thanks mr. Nikhil for your explanation of historical evidence.

    1. What do you mean by honor ?? What do you meant by history against “upojati” vs “adibasi” sector !!! truth is always honorable. none can convert a truth in lye by barking …

  13. ড. আব্দুর রব সাহেবরা কেন যে উচ্চশিক্ষিত হয়েও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে পারেননা। সত্যি অভাক করে দেয়!

  14. “আদি থেকে যারা বাস করে আসতেছে তারা আদিবাসী” এই সংজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গ্রহনযোগ্য নয় বরং জাতিসংঘের সর্বজন স্বীকৃত আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্র এবং আইএলও কনভেনশন ১৬৯-এর অস্বীকার এবং অবমাননা। বাংলাদেশ সরকার নির্লজ্জ মিথ্যাচারের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত আদিবাসীদের অস্বীকার করে শাসক জাতি বাঙালীদেরই আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে তাই স্পষ্টভাবে জাতিসংঘ এবং আইএলও এর আইনকে অবমাননা করছে। কারন –

    আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা(ILO)এর আদিবাসী এবং ট্রাইবাল জনগোষ্ঠী কনভেনশন ১৯৮৯(নং ১৬৯) অনুযায়ী আদিবাসী হচ্ছে তারা যারা-

    ১) স্বাধীন দেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক, সাংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক অবস্থা জাতীয় জনসমষ্টির অন্য অংশ থেকে স্বতন্ত্র এবং যাদের মর্যাদা সম্পূর্ন কিংবা আংশিকভাবে তাদের নিজস্ব প্রথা কিংবা ঐতিহ্য অথবা তাদের বিশেষ আইন বা বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

    ২) স্বাধীন দেশসমূহের জাতিগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে যাদের আদিবাসী হিসেবে গন্য করা হয় এই বিবেচনায় যে তারা রাজ্য বিজয় কিংবা উপনিবেশ স্থাপনের কালে অথবা বর্তমান রাস্ট্রের সীমা নির্ধারনের কালে এই দেশে কিংবা যে ভৌগলিক ভূখন্ডে দেশটি অবস্থিত সেখানে বসবাসকারী জাতিগোষ্ঠীর বংশধর এবং তারা তাদের আইনগত মর্যাদা নির্বিশেষে তাদের নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আংশিক বা সম্পূর্নরূপে অক্ষুন্ন রাখে। জাতিসংঘের মতে আদিবাসী তারাই যারা – বহি আক্রমন বা উপনিবেশের আগে থেকেই নিজেদের এলাকা বা সীমানাই সমাজের অন্য অংশ থেকে নিজেদের আলাদা মনে করে। তারা বর্তমানে সেই সমাজের বা রাস্ট্রের কম কর্তৃত্বপূর্ন অংশ হিসেবে রয়েছে কিন্তু নিজেদের অষ্ণল বা সীমানা, নৃতাত্ত্বিক স্বকীয়তা, সাংস্কৃতিক নমুনা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং বৈধ শৃঙ্খলা সংরক্ষন করতে, উন্নয়ন করতে এবং পরবর্তী প্রজন্মে সষ্ণারিত করতে বদ্ধ পরিকর।

    এ থেকে স্পষ্টতত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, সাঁওতালসহ ৪৫টিরও অধিক জাতিগোষ্ঠীয় প্রকৃত আদিবাসী, বাঙালীরা কখনো আদিবাসী হতে পারেনা, এই সব মূর্খদের সংজ্ঞানুযায়ী বাঙালীরা যদি আদিবাসী হতো তবে পৃথিবীতে সবাই আদিবাসী। ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, জাপানি, রাশিয়ান সবাই আদিবাসী। কতটুকু উগ্র সাম্প্রদায়িক, জ্ঞানপাপী হলে মানুষ এই ধরনের নির্লজ্জ্ব মিথ্যাচার করতে পারে এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের অপপ্রচার না দেখলে বুঝা যেত না।

    বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ এ আছে The State shall base its international relations on the principles of respect for national sovereignty and equality, non interference in the internal affairs of other countries, peaceful settlement of international disputes, and respect for international law and the principles enunciated in the United Nations Charter, and on the basis of those principles shall –

    (a) strive for the renunciation of the use of force in international relations and for general and complete disarmament;

    (b) uphold the right of every people freely to determine and build up its own social, economic and political system by ways and means of its own free choice; and

    (c) support oppressed peoples throughout the world waging a just struggle against imperialism, colonialism or racialism.

    তাই আদিবাসী পরিচয় অস্বীকার করাটাও সংবিধানের এই ২৫ নং বিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।

    (২)
    পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিকাল থেকেই সম্পূর্ন স্বায়ত্বশাসিত একটি অষ্ণল ছিল। ১০ ভাষাভাষি জুম্ম জাতিগোষ্ঠীর বাসভূমি পার্বত্য চট্টগ্রামে বাইরের কোন শক্তি, দেশ বা উপনিবেশের অধিনে ছিল না। এমনকি বর্তমান কুমিল্লা, ঢাকা(মগবাজার), কক্সবাজার, চট্টগ্রাম তৎকালীন রাজাদের অধিনে ছিল এবং সেই এলাকায় কোন বাঙালী ছিলনা। চাকমা রাজা বিজয়গিরির নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রানে চাকমা রাজ্যর পত্তন ঘটে আনুমানিক ৫৯০ খ্রীস্টাব্দে, যদিও তারও আগে “চম্পক নগর”(ধারনা করা হয় বিহার রাজ্যে)এ চাকমাদের নিজস্ব রাজ্য ছিল, যেখানে বাঙালী জাতির উদ্ভবই হয় এক হাজার বছর আগে। তারমানে তথাকথিত ভূমিপূত্ররা অলৌকিকভাবে বাঙালি জাতির উদ্ভবের আগেই বেচে ছিল। হাউ সেলুকাশ। পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্রিটিশ পিরিয়দের সময় সার্কেল প্রধান বা রাজারা কৃষিকাজের প্রয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু বাঙালী পরিবার নিয়ে গিয়েছিল। তারপর পাকিস্তান আমলে কিছু চলে আসে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জিয়া আমল থেকে সেটেলার পুনর্বাসনের ইতিহাসতো সবারই জানা আছে।

    তার মানে,
    ১৪০০ বছর আগে থেকে(শুধু চাকমাদের কথা হিসেবে করে) যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস করে আসছে তারা ভুমিপূত্র নয়, কিন্তু ১৯০০ সালের পর থেকে(সঠিক ভাবে বললে ১৯৮০) যে সেটেলাররা জুম্ম আদিবাসীদের ভূমি দখল করে সমতল এলাকা থেকে সরকার কর্তৃক পুনর্বাসিত হয়েছে তারাই “ভূমিপূত্র”, তারাই আদিবাসী?
    যারা ১৪০০ বছরেরও অধিক সময় ব্যাপী বাস করে আসছেঃ বহিরাগত
    যারা ৪০ বছরেরও অধিক সময় ব্যাপী বাস করে আসছেঃ ভূমিপূত্র
    কি নির্লজ্জ্বতা! কি হাস্যকর যুক্তি!

    নির্লজ্জ্ব জ্ঞানপাপিরা! আপনাদের লজ্জ্বা শরম বলে আসলে কিছুই নেই!

    1. ইতিহাস বিকৃতি যারা করছে তারা নির্লজ্ব নয়, যারা প্রমানিত আদিবাসী তারাই নির্লজ্ব। এটা আবার সেকুলাসও নয় !!!!

      আপনাদের তাড়া খেয়ে বাংলার সীমান্তে ঢুকার ইতিহাস D: রব তুলে ধরেছে। বৃটিশ আমলে আপনাদের ইতিহাস নিয়ে দলিল দস্তাবেজ তিনি তুলে ধরেছেন।
      আর তাকেই লজ্বা পেতে হবে !!!

      আবার এটাও সেকুলাসের মাঝে পড়ে না।

      আসলে জংলি, নেংটি, জংগলের পশু-প্রানি শিকারি মানবরুপী বন্যদের কে বোঝাবে ??

      এরা যুক্তি বোঝেনা , বোঝে ঢাল-শুরকি-ধনুক…

    2. “চাকমা রাজা বিজয়গিরির নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রানে চাকমা রাজ্যর পত্তন ঘটে আনুমানিক ৫৯০ খ্রীস্টাব্দে, যদিও তারও আগে “চম্পক নগর”(ধারনা করা হয় বিহার রাজ্যে)এ চাকমাদের নিজস্ব রাজ্য ছিল, যেখানে বাঙালী জাতিরউদ্ভবই হয় এক হাজার বছর আগে।” বিজয়গিরি বা চম্পক নগরের সাথে বাংলাদেশের চাকমাদের কোন সম্পর্ক ছিল না, তো ৫৭০ কাহিনী টেনে কি জায়েজ করতে চাইছে চাকমারা ? এটা কি তারা জানে না সেই মুগল অামলেও এই দেশে কোন চাকমা রাজা ছিলনা ? কোন দেশে কোন স্বাধীন চাকমা রাজা সেটা আবার কোথায় ছিল?

  15. উন্নত জাতী তথা ইউরোপ আমেরিকানরা এদেশের অনগ্রসর ও পশ্চাদপদ আদিবাসী শিশুদের স্পন্সর বা ধমীয় পিতা মাতা হয়ে শিশুশ্রেণী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিঃস্বার্থভাবে পড়া লেখার খরচ যোগায়। উন্নত জাতির উন্নত মন।যাদের পরশে প্রেম ভালবাসার প্রকৃত সান্নিধ্য খুজেঁ পাওয়া যায়। আর আমাদের দেশে সবোচ্র্চ বিদ্যাপীটের শিক্ষকও সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়িয়ে অসহায় অধিকার হারাদের নিছিন্ন করার পায়তারা চালায়। যার বিষয় ভূগোল তার স্বপন্ন সাধ জাগে রাজনীতি। এমন শিক্ষক কতটুকু শ্রদ্ধেয়? শ্রদ্ধারযোগ্য?

    1. কোথায় ভূগোল আর কোথায় ভূ-রাজনৈতীক বিশ্লেষক !! তিনি ভূগল পড়েছেন, তিনি ভূরাজনৈতীক বিশ্লেষন শিখেছেন, অধ্যয়ন করেছেন, যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন।

      আর বন্যরা কী বলছে ???

      তাঁর একটা যুক্তি খন্ডনের নাম-গন্ধও চোখে পড়লোনা…

      কবি তাই বলেছেন- বন্যরা বনে সুন্দর আর শিশুরা মাতৃক্রড়ে।

      কোটা সুবিধা দিলেই কি এরা বন্যতা ত্যাগ করবে ?

  16. আদিবাসি বিষয়ক যুক্তিতর্কগলো পড়লাম, জানলাম। ধারণা কিছু সমৃদ্ধ হলো এ নিয়ে তথ্যবহুল চর্চা করতে হবে। ভালভাবে জেনেই মন্তব্য ।

  17. লেখাটা পড়ে এবং বিতর্ক দেখে না লিখে পারলাম না। প্রথমত, ড. রবের লেখায় যা তুলে ধরা হয়েছে তা হলো আদিবাসী বিতর্ককে আরো দীর্ঘায়িত করার জন্য। তিনি একদিকে যেমন বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও নিজের জাত্যাভিমানকে প্রকাশ করেছেন জনসম্মুখে। একজন ভূগোল বিভাগের শিক্ষক হয়েও তিনি নৃবৈজ্ঞানিক!! লেখা লিখে উসকে দিতে চান। আদিবাসী সম্পর্কে লিখতে গিয়ে ধর্মকেও জোর করে টেনে এনেছেন। অথচ এখানে তার কোন দরকার ছিল না। তার ধর্মকে টেনে আনার পেছনে মূল উদ্দেশ্য কি?? আশাকরি সচেতন পাঠকমহল বুঝতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, আদিবাসী সংজ্ঞা দিতে গিয়ে তিনি লুইস হেনরি মর্গানের সংজ্ঞা উল্লেখ করেছেন যিনি কোন একাডেমিক ভাবে নৃবিচজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন না। তিনি মূলত একজন আইনজীবি ছিলেন। আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানদের সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে গিয়ে তার সামাজিক বিজ্ঞানের শাখায় আগমন। একপর্যায়ে এনসিয়েন্ট সোসাইটি নামে একটি পুস্তক রচনা করেন। যা ছিল ডারউইনের বিবর্তনবাদের উপর ভর করে লেখা। পরবর্তীকালে পোষ্টমডার্ন নৃবিজ্ঞানীদের দ্বারা তিনি অনেক সমালোচিত হয়েছিলেন। কেননা তার লেখায় অনেক কাল্পনিক মসল্লা ছিল। আর রব সাহেব সেই ক্ল্যাসিক্ল্যাল একজন তাত্বিকের সংজ্ঞা উদ্বৃতি টেনেছেন। যা এখন গ্রহনযোগ্য নয়। কেননা আইএলও কনভেনশন মর্গানের এই লেখার পরে দাড় করানো হয়। বর্তমানে এই কনভেনশনের উপরই আদিবাসী সংজ্ঞা বর্ণিত করা হয়। আর তিনি আইএলও কনভেনশনের কোন বিষয় উল্লেখ না করে ক্ল্যাসিক্যাল যুগের সংজ্ঞা দিলেন। তাই আইএলও কনভেনশনের ১৬৯ ধারা অনুযায়ী ড. রবের আদিবাসী নির্ধারণ টিকে না। তৃতীয়ত, তার কথায় পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর লোভ উপচে পড়ে। এলাকা ভেদে পার্বত্য এলাকায় খুব কম লোক বাস করে। এতে তার খুব আপসোস হয়। স্বপ্ন দেখেন আরো কিভাবে সেখানে বসতি স্থাপন করা যায়। চতুর্থত, পার্বত্য ”ট্টগ্রামে সেনা উপস্থিতি বজায় রাখার অন্যতম মশলাদার লেখা এটি। অথচ সমতলে যখন ক্লিনহার্ট অপারেশনের মত একশন চলে তখন এনারা গলা ফাটিয়ে চিল্লান। মানবাধিকারের কথা বলেন। আর পাহাড়ে সেনাশাসন চললে তারা হাত তালি দেন। মানবাধিকারের কথা ভূলে যান…………….
    তাই বলতে চাই আসুন পজিটিভ চিন্তাভাবনা করি। ধর্ম, জাত, চেহারা, নাক চেপ্টা ধরে নয়, মানুষ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাই।

  18. Pingback: Homepage
  19. Not only the Chittagong Hill Tracts, but also the territory up to the Feni river was from time to time a land which was either under the Arakanese rule or the Tripura rule. Only in 1666 when the city of Chittagong fell to the Mughal invaders, the Bengalis came. Dr Rob, if ever has done anything, has took sides with the Bengali domination theory, leaving behind the truth. Even in the 1800s the area was devoid of any Bengali settlements. The Chakma kings had their settlement in the Chittagong area, and even now there are remnant of Marma and Tripura indigenous people settled in some pockets of Chittagong district, which can easily be checked in the land office, Chittagong. Dr Rob is just blind of one eye or he can best be described as a one-eyed demon. I have every reason to question is Ph D.

  20. যে রব কিছু না জেনে পার্বত্য আদিবাসী দের সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণকে যে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে সেই রবের কাছ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা কি শিখবে। রবের যে ইতিহাস অনুযায়ী সে ইউনিভার্সিটির দারোয়ান পদের জন্য কতটুকু যোগ্য সেই বিষয়টি পাঠকদের ভাবা উচিৎ। নামের আগে প্রফেসর শব্দটি না লিখলেই তার জন্য অনেক ভালো হবে বলে আমি মনেকরি।

  21. যে রব কিছু না জেনে পার্বত্য আদিবাসী দের সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণকে যে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে সেই রবের কাছ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা কি শিখবে। রবের ইতিহাস অনুযায়ী সে ইউনিভার্সিটির দারোয়ান পদের জন্য কতটুকু যোগ্য সেই বিষয়টি পাঠকদের ভাবা উচিৎ। নামের আগে প্রফেসর শব্দটি না লিখলেই তার জন্য অনেক ভালো হবে বলে আমি মনেকরি।

  22. পাহাড়ের লোকেরা সমতলে এলে আদিবাসী বিতর্ক কোথায় থাকে !!!

    একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশের মাঝে ২ টি ধারা কি করে গৃহীত হতে পারে ?

    কোন সভ্য দেশে এমন বিপরীত্মুখী ২ টি ধারা চালু আছে কেউ কি দেখাতে পারেন ? স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে কেন আমি আমার টাকায় দেশের অভ্যন্তরে জায়গা কিনতে পারব না ? বসবাস করতে পারব না ? অথচ চাকমারা সারা দেশ চষে বেড়াবে, কোটা পাবে, বাড়ি করবে??? এটা কোন সভ্যতা!!! অভার পপুলেশন কান্ট্রিতে এসব কি হচ্ছে কেউ বলতে পারেন !~!!????

  23. Mr. Shaleh you are rights…yes Chakmas owned many lands in Dhaka city. Many chakmas are holding good lands in Dhaka. ….hahahahaha. Banglair matha asole..:)

  24. Pingback: উপজাতিরা নয় বাঙালিরাই আদিবাসী |
  25. Pingback: উপজাতিরা নয় বাঙালিরাই আদিবাসী – একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রফেসর ড. আবদুর রব
  26. History of Chittagong and CHT
    History of Chittagong and CHT
    [Don’t read it from communal point of view but objectively]

    SOME converted Bengali Muslims assume that the political geography of Bangladesh has always been the same down from the ancient age to today (26 May 2015). As a result, they commit a big mistake in understanding the history of non-Muslim communities of present Bangladesh, especially the Jumma indigenous people of CHT.

    Bangladesh is a recent creation. There was no country in the world in the name of “Bangladesh” before 1971. Teknaf, Cox’s Bazaar, Chittagong etc areas were parts of the kingdom of Arakan. The Chakma and Marma Buddhists and their allied groups were living in these areas from 6th century CE. They moved into CHT in the 13th-14th century CE with the Muslim invasion in Bengal (present West Bengal and Bangladesh, excluding CHT). Muslims started invading Bihar and Bengal from the 12th century with the destruction of the Nalanda University and converting Bengali Hindu-Buddhists (as they respect both Hinduism and Buddhism) into Islam probably in the way ISIS is doing minorities in Iraq and Syria. In this process, Muslims forcefully converted millions of Bengali Hindu-Buddhists into Islam and massacred millions of Bengali Hindu-Buddhists. Thus a part of the Bengali Hindu-Buddhists of Bengal lost their religion and culture and became converted Bengali Muslims! The present Bengali Muslims are Muslims because they were born in the families of the converted Bengali Muslims. Some who escaped the forceful conversions and massacres of Muslims remain Bengali Hindu-Buddhists till today. Thus with the spread and consolidation of Islam in Bengal, the Mughal General Shayeta Khan took over Chittagong from the Arakanese rulers in 1666. Since then Muslims’ control over these areas has continued to be strengthened. Now they are trying to invade and occupy Arakan of Myanmar. Bengal was originally a homeland of the Bengali Hindu-Buddhists. Hindu-Buddhists archeological remains at Chittagong, Paharpur, Maynamati, Shalban, Bikramshila, Sundarban etc areas are witnesses to this fact. Now East Bengal i.e. Bangladesh is a homeland of the converted Bengali Muslims.

    In 1947 converted Bengali Muslims constituted less than 2% of the total population of CHT. The British colonized CHT in 1860 and passed the 1900 CHT Regulation which restricts non-indigenous people (people other than indigenous people of CHT i.e. converted Bengali Muslims) from settling in CHT. We can surmise from it that converted Bengali Muslims started settling in CHT a little before or by 1900. They, of course, used to come to CHT as floating businessmen and hired skilled land cultivators/labors of Jumma people and not as migrants earlier also. Before 1860 probably there was no existence of permanent converted Bengali Muslim residents in CHT.

    In 1971 the total population of Bangladesh was 70 millions. Now 160 millions. Their population in 1900? Probably 10 million. In 1400? Probably 5-6 millions. And Jumma population in CHT in 1400? Probably 50,000-60,000. Read history and demography of these areas in this retrogressive way to understand their facts.

    The converted Bengali Muslims are invaders/settlers in Teknaf, Cox’s Bazaar, Chittagong, CHT and neighborhood, and the Jumma and the Arakanese peoples are indigenous peoples in these areas.

    Nikhil Chakma

    1. Can you put any credible reference in favor of your story?
      The other side are stating another story, in fact which one is true? The muslim inhabited area were spreaded to Arakan province according to them.

  27. বেশীদিন আগের কথা নয়, এই বছর দুয়েক আগে অফিসিয়াল কাজে শেরপুর জেলার (আগে বৃহত্তর ময়মসিংহের অধীনে ছিল) ঝিনাইগাতি উপজেলার এক কোচ গ্রামে কোচদের সার্ভে করছিলাম। সেসময় ঐ এলাকার এক বর্ষীয়ান বাঙ্গালী মুসলিম আমাদের সাথে বসে কথা বলছিলেন। আমার প্রশ্ন ছিল এই অঞ্চলে কোচ জনগোষ্ঠীর বসবাস কত বছর আগে থেকে? কোচদের মধেয় কেউ সঠিক জবাব দিতে পারে নি। পারার কথাও না, কারণ স্মরাণাতীক কাল থেকেই ঐ অঞ্চলে তাদের বসবাস। ঐ বর্ষীয়ান বাঙ্গালী মুসলিম লোকটি বললেন, “আমি যখন খুব ছোট তখন থেকেই দেখেছি যে এই অঞ্চলে কয়েকটি মুসলিম বাড়ি ছাড়া সবগুলোই গারো, হাজং, কোচ, ডালু আর বানাইদের এলাকা আসিল। আমি আমার বাবার মুহে (মুখে) নসি (শুনেছি) আমার দাদা আমার বাবা যখন ছোড (ছোট) আসিল (ছিল) তহন দক্ষিণ অঞ্চল থাইক্যা (থেকে) এইহানে আইয়া বাড়ি বানাইসে। আর তহিন এই এলাকার গারো আর কোচরাই হেরারে (তাদেরকে) বাড়ি বানানির জিনিস (বাঁশ, কাঠ, ছন ইত্যাদি) দিয়া সাহায্য করসিল, এমনকি হালবাওনের লাগি (চাষের জন্য) জমিও দিসিল। (পাশে বসা আরেক বর্ষীয়ান কোচ লোককে দেখিয়ে আবার বললেন) ছোড কাল থাইক্যাই এই দাদাদের লগে বড় হইসি, দাদাদের বাড়িত খাইসি, ঘুমাইসি। আমি নিজেও দেকসি কয়েকডা মুসলমান বাড়ি ছাড়া সবগুলাই আসিল গারো, কোচ, হাজং, ডালু আর বানাইদের পাড়া। ১৯৬৪তে আসাম থাইক্যা মুসলমানরা যহন বিতাড়িত হইয়া বাংলাদেশে আইলো (আসল), তহন বলে হেরা ময়মনসিংহের সংদু নদীর (ব্রহ্মপুত্র নদের গারো এবং আদি নাম) পারে আইয়া বাইদ্যাগোর লেহান (বেদেদের মত) ঝুপড়ি বাইন্দিয়া আসিল। হেইডা দেইখ্যা আইসে আমাগোর এলাকার আগিলা চেয়ারম্যান। পরে রাইতে হেরারে এই এলাকায় লইয়া আনসে। আইন্নিয়া পরে কই রাখবো? পরে চেয়ারম্যানে হেরারে যুক্তি দিল, রাইতে গারো, হাজং আর কোচগোর বাড়িতে আগুণ দিতে আর লুট করতে। আর হেরা চেয়ারম্যানের কতায় এক রাইতেই কয়েকটা পাড়া জ্বালাইয়া দিল। এর পরে ভয়ে বেশীর ভাগই ইন্ডিয়া পলাইয়া গেল। খালি এই দাদারা থাইক্যা গেল।”
    রব সাহেব এইসব কাহিনী কি কখনো শুনেছেন? শুনেন নি কথনও তাই না? শুনেন নি, কিন্তু আপনারা ঘটিয়েছেন এই সব ঘটনা। আর এখন এইগুলো আড়াল করার পায়তারা করেছে একদন সাক্ষাৎকার নিয়ে আর আরেক দল সাক্ষাৎকার দিয়ে।
    আর আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে এই আপনাদের বঙ্গ দেশে ঈশা খাঁর আগমনের আগে বর্তমান ডাকার গাজীপুর পর্যন্ত গারোদের রাজত্ব ছিল।
    এই গড় অঞ্চলে গারোরা রাজত্ব করতো।
    আপনি জানেন কি না জানি না এখনও প্রতিবছর আপনার মুসলিম আদিবাসীরা (আপনার যুক্তি অনুসারে) নেত্রকোনার মদনপুরে মদনের মাজারে উরস করতে যায়। আর এই মদনপুর ছিল গারোদের সর্ব শেষ রাজা মদন চিরান-এর সাম্রাজ্য। আর তার সরলতার সুজোগ নিয়ে ফকির সেজে এক রাত কাটানোর আশ্রয় চেয়ে গভীর রাতে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে (যা নাকি কাপুরুষোচিত) মুঘল সেনারা দখল করে নেয় আর মদন রাজাকে মেরে ফেলে। এখনো কেউ বোকামী করলে লোকে তাকে মদন বলে তাচ্ছিল্য করে।
    আপনি পন্ডিত বলছেন যে এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা (আপনাদের মতে) আদিবাসী নয়। আপনারা দখল বাজরাই আদিবাসী।
    এইসব কাহিনী হয়তো আপনাদের মত ডক্টর ডিগ্রিধারীদের লেখনিতে নেই, কারণ তখন আপ নারা আর চাপা পেটাতে পারবেন না। কিন্তু আমাদের মুখে মুখে এই ইতিহাসগুলো আজো বর্তমান। পন্ডিতি করেন ভালকথা কিন্তু ছাগলামি করেন কেন?

    1. দখলবাজ বলতে কোনো কথা নাই।আমরা বাঙ্গালি, এটা বাংলাদেশ,তাই আপনারা যারা বার্মার স্যাটেলার আছেন এখানে থাকতে হলে বাঙ্গালি পরিচয়ে থাকতে হবে।যে আকাশ কুসুম স্বপ্ন আপনারা দেখছেন এটা কোনোদিনও পূরণ হবেনা।দখলবাজ আমরা না।আপনারা অন্যদেশ থেকে এসে আমাদের দেশের সম্পদ দখল করে আছেন।দেশ এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।চাকমা সন্ত্রাসী যারা এদেশের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন,মনে রাখবেন এদেশের জনগণ এবং বাংলাদেশে রুপকার,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের ক্ষমা করবেনা।তাই এখনো সময় আছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করে মিলেমিশে থাকুন। সংবিধান ও এদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন।

  28. রব সাহেব, আপনার লেখা পড়েতো মনে হলো খ্রীস্টান মিশনারিদের উপর আপনি খুব ক্ষ্যাপা> কেন? তারা কি আপনাকে কামড়ে দিয়েছে না কি আপনার গোষ্ঠীর ইজ্জতের উপর হাত দিয়েছে?

  29. Chakma People are traitors. They get special advantages from Bengali Muslims and buy lands in Dhaka but they curse Bengali Muslims all the time. You love India more than Bangladesh. Go to India, you traitors.

  30. Hi there, just became alert to your blog through Google,
    and found that it is truly informative. I am going to
    watch out for brussels. I will be grateful if you continue this in future.
    Many people will be benefited from your writing. Cheers!

  31. Thanks for finally writing about > উপজাতিরা নয় বাঙালিরাই আদিবাসী –
    একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রফেসর ড.

    আবদুর রব < Loved it!

  32. Excellent way of explaining, and pleasant
    piece of writing to get information concerning my presentation focus, which i am going to deliver in institution of higher education.

  33. Thanks for your marvelous posting! I quite enjoyed reading it, you can be a great author.I will always
    bookmark your blog and will often come back in the future.
    I want to encourage yourself to continue your great job, have a nice afternoon!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন