মানিকছড়িতে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙালী গৃহবধু গণধর্ষণের শিকার

গণধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

মানিকছড়ির কুমারী মৌজার অদূরে ডেবাতলী এলাকায় এক বাঙালি নারীকে গণধর্ষণ করেছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালির সম্প্রীতি রক্ষায় বিকালে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করেছে জনপ্রতিনিধিরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নির্জন জনপদ কুমারী মৌজার ডেবাতলীতে জনৈক শফি চৌধুরীর বাগানের পাহারাদার (নৈশ প্রহরী) মো. এমদাদুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীকে (৩০) বৃহস্পতিবার রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববতী জঙ্গলে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় উপজাতি সন্ত্রাসীরা।


এ সংক্রান্ত আরো খবর:

  1. পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় কর্তৃক বাঙালী নারী ধর্ষণ নির্যাতন আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে চলেছে
  2. বান্দরবানের আলীকদমে এমএনপি সন্ত্রাসী কর্তৃক গতরাতে দুই বাঙালী নারী গণধর্ষণ ও দুই অপহরণ
  3. পাহাড়ী তরুণীদের বাঙালি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের শাস্তি গণধর্ষণ
  4. নির্বিচারে চলছে পাহাড়ী নারীদের উপর আঞ্চলিক উপজাতীয় সংগঠনগুলো যৌন হয়রানি(ভিডিও)
  5. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পুরুষরাও নারী নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে- সুলতানা কামাল
  6. পাহাড়ী পুরুষদের ধর্ষণ নিয়ে উপন্যাস লেখায় লেখক রোকেয়া লিটাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে পাহাড়ীরা

ধর্ষিতার স্বামী ও জনপ্রতিনিধিরা খবর পেয়ে সকালে অসুস্থ নারীকে (৩০) উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানকার চিকিৎসক মহিউদ্দীন উন্নত চিকিৎসা ও পরবর্তী করণীয়ের জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।

ধর্ষিতা জানান, গতকাল ১৭ নভেম্বর রাত অনুমানিক সাড়ে ১২ টার সময় উক্ত মহিলার বাড়ীতে এসে অজ্ঞাত উপজাতী (মুখোশ পড়া) যুবকরা বাড়ির মালিক এমদাদুল হকে(৪০) ডাকতে থাকেন,ঘরে থাকা তার স্ত্রী(৩০)  স্বামী বাসায় নাই জানালে উপজাতীয় যুবকরা তাকে অস্ত্রের মুখে বাসা থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে পালাক্রমে ধর্ষন করে।

এ সময় তিনি  চিৎকার করলেও কেউ ভয় এগিয়ে আসে নাই, পরে রাত তিনটার দিকে তাকে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। ভোরে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন তাকে মানিকছড়ি হাসপাতাল ভর্তি করান।

হাসপাতালে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের ধর্ষিতার স্বামী মো. এমদাদুল হক জানান, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী ও ২ শিশু সন্তান এবং আমার বৃদ্ধ মা ওই বাগানে পাহারাদার হিসাবে থাকেন। আমি মাঝে-মধ্যে সেখানে যাই।

বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১-১২টার দিকে ৮/১০ সশস্ত্র ও মুখোশদারী সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে আমার বৃদ্ধ মা ও স্ত্রীকে মুখবেঁধে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মা কৌশলে পালিয়ে এলেও স্ত্রীকে তারা ধর্ষণ করে তারা। সন্ত্রাসীরা উপজাতি ভাষায় এতে অপরের সাথে কথা বলেছেন।

এদিকে ধর্ষিত নারীকে হাসপাতালে আনার খবর পেয়ে ওই এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে জড়ো হন।

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিষয়টি নিয়ে কেউ যেন পাহাড়ি-বাঙালির মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য বিকালে কুমারী এলাকায় একটি শান্তি বৈঠকের আয়োজন করেছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল।

বৈঠকে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় যেন কোনো অশান্তি ও সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসা ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মানিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুর রাকিব বলেন, ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কার্বারী-পাড়া প্রধান, মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ বিকালে একটি শান্তি বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাতে বিকাল ৫ টার সময় বাঙ্গালীদের বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায়। এ সময় আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান বিক্ষুব্ধ বাঙ্গালীরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন