৮২ হাজার পাহাড়ি পরিবার পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে খাগড়াছড়িতে অবস্থান কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী টাস্কফোর্সের নবম সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ৮২ হাজার উপজাতীয় শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুর তালিকা প্রণয়ন এবং পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও টাস্কফোর্স কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরামসহ চারটি বাঙালী সংগঠন।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পার্বত্য অধিকার ফোরামের ব্যানারে শহরের শাপলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাস্কফোর্স কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

পার্বত্য অধিকার ফোরামের সভাপতি মাঈন উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির সাথে দেখা করে ৮২ হাজার পাহাড়ি পরিবারকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত বাতিল, গুচ্ছগ্রাম ও উদ্বাস্তু বাঙালী পরিবারের তালিকা প্রণয়নসহ ৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে তালিকা যাচাই বাছাইয়ের আশ্বাস দেন টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২০ দফা প্যাকেজের আওতায় টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ভারত প্রত্যাগত সকল উপজাতীয় শরণার্থীদের যথাযথভাবে পাহাড়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে ২১টি উপজাতীয় শরণার্থী পরিবারকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার জামতলীতে পুনর্বাসন করা হয়।

স্মারকলিপিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের মাধ্যমে নতুন করে উদ্বাস্তু সাজিয়ে ৮২ হাজার উপজাতি পরিবারকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র বন্ধ ও একইসাথে পাহাড়ের গুচ্ছগ্রামে বন্দি প্রকৃত আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বাঙ্গালি পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে প্রনীত তালিকা বাতিল করা, বাঙালী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় বসে প্রকৃত উদ্বাস্তুদের তালিকা প্রনয়ণ করা, ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত শান্তিবাহিনীর হামলায় ঘরবাড়ি হারানো ও উদ্বাস্তু ২৬ হাজার বাঙালী পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ, খাগড়াছড়ি জেলায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের ভূমি দখল মিশনে দখলকৃত রামগড়ের পাতাছড়া ইউনিয়নের সংখ্যালঘুদের দখলকৃত ভূমি ফেরত দেওয়া।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন