সীমান্তে মিয়ানমার-বাংলাদেশ যৌথ টহল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য মোতোয়নে বিরজমান পরিস্থিতির প্রশমনে বান্দরবানের তুমরু সীমান্তে দু-দেশের সীমান্ত বাহিনী যৌথ টহল শুরু করেছে।

রোববার(১১মার্চ) ঘুমধুম ও তুমবু সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া ঘেঁষে উভয় দেশের সীমান্ত প্রহরী ঘন্টাব্যাপী বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা এই যৌথ টহলে অংশ নেয়।

যৌথ টহল দেয়ায় সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় ও নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্য স্বস্তি ফিরেছে।

গত সপ্তাহে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গাদের তাড়াতে মিয়ানমার সেনা বাহিনী গুলি ছুঁড়ে, কাঁটা তারের বেড়ায় মই দিয়ে ডিঙ্গানোর চেষ্টা চালায় এবং আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দিকে ইট পাটকেল ও মদের বতল ছঁড়ে মারে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ পরিস্থিতিতে বিনা উসকানিতে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার। এ নিয়ে উভয় দেশের মধ্য পতাকা বৈঠক হয়।

নাইক্ষংছড়ির ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, যৌথ টহলের ফলে সীমান্তে বিরাজমান উত্তেজনা প্রশমন হবে এবং আমরা চাই সীমান্তে শান্তি বজায় থাকুক। এর আগেও সীমান্তে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষি বাহিনী যৌথ টহল বজায় ছিল। গত বছর রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।

বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল আহাসান খান জানান, যৌথ টহলে উত্তেজনা এমনিতেই কমে আসবে এবং উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হবে। সীমান্তে যৌথ টহল কী করে আরও বাড়ানো যায় সেজন্য মিয়ানমারকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

সীমান্তে বসবাসকারী একাধিক ব্যক্তি স্বীকার করেছে, সকালে তারকাঁটা বেড়া ঘেঁষে উভয় দেশের বাহিনীকে সৌহাদ্য পূর্ণ টহল দিতে দেখা গেছে। এতে আমাদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে।

উল্লেখ্য, গতবছরের ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতায় প্রায় সাড়ে ৭ লাক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। নাইক্ষংছড়ির তমুব্রু সীমান্তে কোনাপাড়ার নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয় সাড়ে ৬ হাজার রোহিঙ্গা। গদ সপ্তাহে মিয়ানমার সৈন্যরা সীমান্ত পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ওপর নানামুখি হামলার তৎপরতা চালায়।  এ নিয়ে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন