সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে এনজিওতে রোহিঙ্গাদের চাকুরি, স্থানীয়দের ক্ষোভ

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

রোহিঙ্গা রুহুল আমিন (৪৫) এখন একটি আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থার লিঁয়াজো অফিসার। কুতুপালং শিবিরে তার কর্মকান্ড। তার মাসিক বেতন ৪৫ হাজার টাকা। তিনিই এখন এনজিওটির কর্মচারিদেরই অন্যতম একজন কর্তা ব্যক্তি।

রুহুলের চাকুরি হয় ২০১৭ সালের অক্টোবরে। বাংলাদেশ সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করেই তাকে চাকুরি দেয়া হয় সংস্থাটিতে। এই চাকুরিও রোহিঙ্গা রুহুলকে দেয়া হয়েছিল বড় এক বখশিস হিসাবে।

প্রশ্ন উঠেছে, দেশত্যাগী একজন বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা যদি কিনা মাসিক ৪৫ হাজার টাকা বেতনের চাকুরি পায় তারা কেন এদেশ থেকে স্বদেশে ফিরে যাবে?

তদুপরি এরকম হলে বাংলাদেশ সরকার কিভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করাবে?

অপরদিকে এনজিওটি স্থানীয়দের ছাঁটাই করছে গণহারে। একদিকে রোহিঙ্গাদের ঢালাওভাবে নিয়োগ এবং অন্যদিকে গণহারে ছাঁটাইয়ের কারণে এক চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে সীমান্ত এলাকায়।

এরকম অসন্তোষের পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই এখন বলা মুশকিল। এনজিওটি সম্প্রতি জাকের নামে একজন কালচারাল অফিসারকেও নিয়োগ দিয়েছে। রোহিঙ্গাদেরকে ‘বস’ ডাকতে হয় স্থানীয়দের। এরকম বিষয় নিয়ে প্রায়শ বিবাদেরও সৃষ্টি হচ্ছে।

এমনকি এনজিওটিতে যেখানে স্থানীয় মাত্র ৪ জন রয়েছেন টিম লীডার (মনিটর) সেখানে একই পদে রোহিঙ্গা রয়েছে ৩২ জন। শুধু তাই নয় যেখানে স্থানীয়দের মাত্র ৩৩ জন রয়েছেন আউটরিচ ওয়ার্কার এবং একই পদে রোহিঙ্গা রয়েছেন দেড় শতাধিক। সব মিলিয়ে স্থানীয় আউটরীচ টিম সুপারভাইজারের যেখানে ৪০ জন সেখানে রোহিঙ্গার সংখ্যা ২০০ জনেরও বেশী।

রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালামের সাথে এমন বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি এমএসএফ হল্যান্ডের কথা শুনে হতবাক হয়ে পড়েন।

রোহিঙ্গাদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি কেবল এমএসএফ নয় ব্র্যাক, কারিতাস, সেভদ্য চিলড্রেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, কোডেক, মুক্তি, ডিআরসি, একটেট, ফ্রেন্ডশিপ ইন্টারন্যাশনালসহ আরও অনেক এনজিওতে রোহিঙ্গাদের মাসিক বেতনে চাকুরি দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন