লামায় ৭ বছরেও নিখোঁজ ছাত্রলীগ নেতা ফারুক উদ্ধার হয়নি,পরিবারে হতাশা

lama-bandarban-nikhoj-faruque-photo-09-julay13

লামা প্রতিনিধি:

নিখোঁজ হওয়ার ৭বছর অতিবাহিত হলেও বান্দরবানের লামা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফারুককে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর ফারুকের পিতা থানায় মামলা করলেও কোন কূল কিনারা হয়নি।

ছেলে উদ্ধার দূরে থাক, এমনকি লাশেরও হদিস না পাওয়ার কারণে ফারুকের পরিবারে নেমে এসেছে হতাশা। এখনো ছেলে ফিরে আসবে এই আশার প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছে পরিবারের সদস্যরা। তারা ফারুক উদ্ধারে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপসহ সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেছেন।

নিখোঁজ ফারুকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সমবায় অফিস সহকারী ছমির উদ্দিনের বড় ছেলে এবং পৌর ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আবদুল্লাহ আল্ ফারুক (২৪) গত ২০০৯ সালের ২০ জুলাই সকালে বাড়ী থেকে বের হয়ে রূপসী পাড়া ইউনিয়নের শংখঝিরিস্থ নিজস্ব বাগান পরিচর্যা ও দেখাশুনা করার জন্য যান। একদিন পর ফারুক বাড়ীতে ফিরে না আসলে তার বাবা মা ও আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন জায়গায় বহু খোঁজাখুঁজি করেন।

না পেয়ে ২৫ জুলাই ‘০৯ ছোট ভাই লামা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন লামা থানায় একটি জিডি করেন। এরপরও কোন সন্ধান না পাওয়ায় পিতা ছমির উদ্দিন বাদী হয়ে ২৭ জুলাই‘০৯ ফারককে অপহরণ করে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগ এনে জনসংহতি সমিতির সেক্রেটারী স্বপন কান্তি আসামসহ মোট ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন।

মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ এজাহারভূক্ত ও সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করলে আসামীরা জামিনে মুক্তি পায়। এরপর মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম গোয়েন্দা সংস্থার নিকট হস্তান্তর করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে রুপসীপাড়ার মুজিবুল হক মাষ্টার ও ধুংচিংঅং মার্মা কারবারীকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিঙ্গাসাবাদ করে। এতেও কোন ক্লু বের করতে পারেনি গোয়েন্দা পুলিশ।

দেখতে দেখতে ঘটনার ৭বছর পার হলেও পুলিশ কিংবা নিরাপত্তা বাহিনী অদ্যাবদি নিখোঁজ ফারুকের কোন সন্ধান দিতে পারেনি। ছেলের কোন সন্ধান কিংবা হদিস না পেয়ে বাবা মা ও আতœীয় স্বজন শোকে হতাশ হয়ে পড়েছেন।

ফারুকের পিতা ছমির উদ্দিন জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের জুলাই মাসে ফারুক নিখোঁজ হওয়ার ৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এখনো ফারুকের কোন সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে রূপসী পাড়া এলাকার কিছু উপজাতীয় লোকজনের সাথে তাদের ভূমি বিরোধ চলে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় তাদের সাথে ফারুকের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। হাতাহাতির পর পুনরায় ফারুক শংখঝিরিস্থ বাগানে গেলে নিখোঁজ হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন