লক্ষ্মীছড়িতে জামানত হারানো প্রার্থীরা : সব চেয়ে কম ভোটের মেম্বার থোয়াই অংগ্য মারমা
লক্ষ্মীছড় প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ চেয়ারম্যানসহ জামানত হারাতে পারেন অনেক মেম্বার প্রার্থী। এ দিকে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বেশি হওয়ার কারণে সবচেয়ে কম ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন ২নং দুল্যাতলী ইউনিয়নের হাজাছড়ি ২ নং ওয়ার্ডে থোয়াই অংগ্য মারমা টিউব-ওয়েল প্রতীক নিয়ে। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৮২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী নিপন চাকমা তালা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৭৩ ভোট। মোট প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ছিলেন ৮জন, আর ভোটার ৪৪৪টি। ৩৮৯ ভোট কাষ্ট হয়। এর মধ্যে বাতিল হয় ১৬টি। একই ওয়ার্ডে জামানত হারাবেন প্রতিময় চকমা ১৯ ভোট ও সেনয় কুমার চাকমা টর্চলাইট প্রতীক ২৭ ভোট। বাকিদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৫০ এর নিচে।
এদিকে জামানত হারাবেন যতিন্দ্রকার্বারী পাড়া ৮ নং ওয়ার্ডে আপেল প্রতীক সুরজয় চাকমা। তিনি পেয়েছেন পেয়েছেন ২৯ ভোট। মোট কাষ্টিং ভোটের ৩৯৭ ভোট পেয়ে সুবাশ চাকমা ফুটবল প্রতীক বিজয়ী হয়েছেন। শিমূল চাকমা টিউবওয়েল পেয়েছেন ১৮ ভোট। মরাচেংগী ৯ নং ওয়ার্ড ভুবন বিকাশ চাকমা তালা প্রতীক ও সুজেন্দ্র চাকমা আপেল প্রতীকে কোনো ভোট পরেনি। ৩৫৮ ভোট পেয়ে অসীম চাকমা ফুটবল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম উষামং কার্বারী ২২ ভোট। পশ্চিম চাইল্যাতলী রশিক কুমার চাকমা ফুটবল প্রতীক ১৯ ভোট পেয়ে জামানত হারাবেন। ১১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মং মং মারমা টিউবওয়েল প্রতীক। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি হলাপ্রু চাই মারমা আপেল ৮৩ ভোট। জারুলছড়ি ৭ ভোট পেয়ে তারা মিয়া আপেল প্রতীক জামানত হারাবেন। বিজয়ী হয়েছেন ২১৬ ভোট পেয়ে আব্দুর রহীম ফুটবল প্রতীক। নিকটত প্রতিদ্বন্ধি সোহেল মাহমুদ হাফিজ পয়েছেন ১৮১ ভোট। বর্মাছড়ি ইউনিয়নে ৩,১৭৬ ভোট পেয়ে আনারস প্রতীকের হরিমোহন চাকমা বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ৩০১ ভোট পেয়ে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিলবর্ন চাকমাসহ ৩জন প্রার্থীর সূচনীয় পরাজয় হয়েছে। ৩ জনই জামানত হারাবেন। পাইসুখুই মারমা মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন ৯ ভোট ও সাথোয়াই চৌধুরী চশমা প্রতিক পেয়েছেন ৫ ভোট।
বর্মাছড়ি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় বাসনা চাকমা মাত্র ১ ভোট পেয়ে জামান হারাতে পারেন। ২২৬ ভোট পেয়ে বিজীয় হয়েছেন ফুটবল প্রতীক পূর্নমোহন চাকমা। নিকটতম অমিত বাবু চাকমা টিউবওয়েল ১৭৮ভোট। কুতুপছড়ি শুক্রচার্য চাকমা ১৬ ভোট পেয়ে জামানত হারাবেন মোরগ প্রতীক পাইচিং মং মরাম বিজয়ী হয়েছেন ২৭০ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীক পাইচানাই মারমা পেয়েছেন ৯ ভোট। মুক্তাছড়ি ৪ নং ওয়ার্ড রসকুমার চাকমা ২৩ ভোট পেয়ে জামানত হারাতে পারেন। রাজীব চাকমা ২৪৪ ভোট পেয়ে বৈদ্যতিক পাকা প্রতীক বিজয়ী হয়েছেন। নিকতম ২১০ ফুটবল প্রতীক শান্তিমোহন চাকমা। উল্টাছড়ি ৮ নং ওয়ংার্ড যুবকেতু চাকমা ১৭৭ ভোট পেয় আপেল প্রতীক বিজয়ী হয়েছেন। নিকটত প্রতিদ্বন্ধি ১১৭ ভোট পেয়েছে দীলিপ চাকমা ফুটবল। টিউব-ওয়েল মাত্র ৭ ভোট ভোট পেছেন কিনা কুমার চাকমা। পেক্কুয়া পাড়া সব চেয়ে কম ভোটার এলাকা। মোট ভোটার মাত্র ২৫৭ ভোট। কাষ্টিং ভোট হলা ২০৩। বাতিল ভোট ১৩। ১১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন হেমন্ত চাকমা বৈদ্যতিক পাখা।
এদিকে সবচেয়ে বেশি ভোট কাষ্টিং হয়েছে দুল্যাতলী ইনিয়নের হাজাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয় শতকরা ৯১.২১ভাগ। মোট ভোটার ছিল ৪৪৪টি। বাতিল হয় ১৫টি। কম ভোট কাষ্টিং হয় লক্ষ্মীছড়ি সদর কেন্দ্রে শতকরা মাত্র ৬১ ভাগ। কারণ হিসেবে জানা যায়, চাকুরী জিবী ২৬০টি ভোট বদলীজনিত কারণে দিতে ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে না পারা।