রোয়ান ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে মহেশখালীর নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত: আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ
মহেশখালী প্রতিনিধি:
প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় রোয়ান-এর প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় দ্বীপ মহেশখালীর নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে জোয়ারের পানি উপজেলার কুতুবজুমের নয়া পাড়া, সোনাদিয়া, কাটাকালি, বড় দিয়া, পৌরসভার চরপাড়া, পশ্চিম চরপাড়া, হুনাইয়ার ছড়া, ছোট মহেশখালীর তেলী পাড়া ঠাকুরতলা মুদিরছড়া এলাকায় পানি প্রবেশ করে বিভিন্ন বাসাবাড়ি পুকুর রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। শুক্রবার থেকে বাতাসের প্রচণ্ড ধমকা হাওয়ার ফলে অনেক কাচাবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
উপজেলার ধলঘাট ও মাতার বাড়িতে হাজারো মানুষ পনি বন্ধি গৃহহিন হয়ে পড়েছে অসংখ্য নারী পুুরুষ । যাদের মাথা গোজার ঠাই নেই, রাত যাপনে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোন সম্ভল নেই। খাদ্য অভাব সারা মাতারবাড়ী ধলঘাটায় হাহাকার করছে এলাকার লোকজন। বেড়ীবাধ ভেঙ্গে সাগরের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে চারদিকে থৈ-থৈ-থৈ। শুধু পানি আর পানি। এতে পানি বন্ধি হয়ে গৃহহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন, মাতারবাড়ী ইউনিয়নে বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। পানি বন্ধি অবস্থা থেকে জীবন বাঁচাতে মানুষ সাতার কেটে নিরাপদ আশ্রয় নিতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পূর্ণিমার জোয়ারে পানি স্থায়ী বাবে অস্থান করলে উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটায় দূর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সচেতন মহলের দাবি।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ক্ষুদ্র ত্রাণ মানুষের কাছে অপ্রতুল , মাতারবাড়ীর প্রধান সড়ক প্লাবিত হওয়ায় পনিতে ডুবে থাকায় সড়ক ও সকল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে কুতুবজোম ও পৌরসভার পূর্ব সিকদার পাড়া, চরপাড়া, রাখাইন পাড়া, মখলেচুর রহমান পাড়া, ছোট মহেশখালীর তেলী পাড়া, মুদির ছড়া, আদিনাথ রাখাইন পাড়া, পুটিবিলা খুউশ্যমিার পাড়া এলাকায় পানি প্রকেবশ করে বাড়ী ঘর ডুবে গেছে। বাতাসের ক্রমগতি বাড়তে থাকায় শতশত বৃক্ষ উপড়ে পড়েছে। মাতারবাড়ী চেয়ারম্যান মাহাম্মদুল্লাহ জানান- তুপানটি মূলত ধলঘাটা এবং মাতারবাড়ীর নিচু এলাকার জনসাধারনের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। সিমাহীন দূভোগের শিকার মানুষগুলোর জীবন রক্ষার্থে এই মূহূর্তে অত্র এলাকায় জরুরী ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন পাঠানোর দাবি জানায়।
ধলঘাট ইউনিয়ন, চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান ধলঘাটা ইউনিয়নটি সম্পূর্ন ভাবে সাগরের পানিতে নিন্মজিত অনেকটা তলিয়ে গেছে বহু আগেই। বেঁড়ীবাঁধের বেশ কয়েকটি অংশে ভেঙ্গে বিলিন হয়ে যায়। বিশেষ করে বিশুদ্ধ খাদ্যর অভাবে মানুষ বেশী হাহাকার করছে। সকল টিউবওয়েল পানির নিছে রয়েছে। ধলঘাটা ইউনিয়নের সুতুরিয়ার এলাকার বাসিন্দা মাস্টার মাহামদুল্লাহ জানান, সাগরের সাথে যুদ্ধকরে এখান কার মানুষগুলো কোন মতে বেঁচে আছে। প্রতি বছর মরার উপর খরার ঘাঁ নিয়ে বেছে আছে তারা ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু প্রভাবে সাগরের জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেঁড়ীবাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে ধলঘাটা এলাকায়। বিশুদ্ধ পানিয় জলের সংকঠে পড়েছে ধলঘাটবাসী।
এদিকে ছোট মহেশখালীর আধিনাথ মন্দিরের পাধদেশে মন্দিরের পাড় ভেঙ্গে ৫ লক্ষ টাকার মাছ তলিয়ে গেছে বলে জানান মন্দির সভাপতি রামহরি দাশ। এ ব্যাপারে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল আলম শাকিব জানান, ধলঘাট ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নের দূর্যোগ কবলিত এলাকায় ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার চিড়া, মুড়ি ও গুড় পাঠিয়ে দিয়েছি।
মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আবুল কালাম জানান, মহেশখালীর দুর্যোগ কবলিত এলাকায় জরুরি ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার চিড়া, মুড়ি, গুড় ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করা হয়েছে উর্ধতন প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।