বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা

DSC01219

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে আলেক্ষ্যং ইউনিয়নে আঙ্গা পাড়াতে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে পুলিশ আটক করতে পারেনি। বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহদের লাশ উদ্ধার করেছে।

নিহতরা হলেন- উক্যহ্লা মারমা (৩৫) ও আপ্রু মং মারমা (২৫)। জানা গেছে, মৃত ব্যাক্তি দ্বয় লামা রূপসীপাড়া ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডে বৈক্ষ্যং পাড়া বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের অংঙ্গ্যা পাড়ায় মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দার থোয়াইচিং মং মারমা ঘরের দরজার ডাসা দিয়ে ২জন পাহাড়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকারী থোয়াইচিং মং মারমা অংঙ্গ্যা পাড়া সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির স্থানীয় সভাপতি বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্পের এলাকার হেডম্যান, কারবারী চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং গণ্যমান্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় কারবারীর আচাইপ্রু মারমা পক্ষে অংশগ্রহণ করেন ছেলে থোয়াইচিং মং মারমা। সভায় হত্যাকারী থোয়াইচিং মং বক্তব্যে নিহত দু’জনসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ তুলেন। এ ঘটনার প্রতিকার চাইতে মদ্যপ অবস্থায় নিহতরা গতকাল রাতে থোয়াইচিং মং এর বাড়িতে যায়। উক্যহ্লা মারমা তাকে গালিগালাজ করে ও হাতের দা দিয়ে থোয়াই চিঙের ঘরের বেড়া কুপিয়ে কাটতে শুরু করে। কথা কাটাকটির একপর্যায়ে থোয়াইচিং মং ঘরের দরজার ডাসা দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় আ প্রু মং তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে থোয়াইচিং তাকেও পিটিয়ে হত্যা করে। চিৎকার শুরে পাড়াসীরা ঘটনাস্থালে এগিয়ে আসলে থোয়াইচিংমং মারমা পালিয়ে যায়। নিহত উক্যহ্লা মারমা যাবজ্জীবন জেল খাটা আসামী।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমর আলী জানান, অংঙ্গ্যা পাড়ায় দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারী পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেফতার করা যায়নি।

খবর পেয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সহকারী পলিশ সুপার রাশেদ, রোয়াংছড়ি থানা ওসি মো: ওমর আলী’র, আলেক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, ভাইস চেয়ারম্যান ক্যসাইনু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাউসাং মারমা ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করেন এবং সাথে সরকার পক্ষ থেকে মৃত ব্যাক্তির দ্বয়ের স্ত্রীদের ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন