রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে পাহারা জোরদার করা হবে: বিজিবি মহাপরিচালক

0-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। যা এখনো চলছে। ফলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঢালাওভাবে যেভাবে অনুপ্রবেশের কথা বলা হচ্ছে সেটি সঠিক না।

তিনি আরও বলেন, এক দেশ থেকে আরেক দেশে লোক বৈধভাবে আসতেই পারে। তবে যদি বৈধভাবে না আসে তাহলে আমাদের অনেকগুলো সমস্যা থেকে যায় সীমান্তে। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে বিশ্বে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাড়ছে। এছাড়াও বাড়ছে অস্ত্র পাচার, চোরাচালানী, বিভিন্ন জিনিসপত্র চোরচালানী। সীমান্তে কিছু খারাপ মানুষ লেগেই থাকে। তাই আমরা সীমান্তে টহল জোরদার করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সৃষ্ট সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ অবস্থায় রাখাইন প্রদেশ থেকে বৈধ পাসপোর্ট বিহীন কাউকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। তিনি শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ বন্দর রেস্ট হাউস প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বিজিবির কড়া নজরদারি সত্ত্বেও দালালদের সহায়তার সীমান্তের ফাঁক ফোকর দিয়ে কিছু রোহিঙ্গা এ দেশে প্রবেশ করেছে। এসব দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ এবং প্রশাসনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে টহল জোরদার করার জন্য অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েনের কথা তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, ইতিমধ্যে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে যেসব রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে, তাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে সেদেশে ফেরত পাঠানো হয়। মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ হলে  রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি গত দু’দিনে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন বলেও জানান।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ৪১ জন রোহিঙ্গাকে আটকের পর স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয় এবং নাফনদী থেকে রোহিঙ্গাবাহী ৪টি নৌকা ফেরত পাঠনো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন