রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের কথা শুনলেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
টেকনাফ শালবাগান শরণার্থী শিবিরের ৯ রোহিঙ্গা নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার।
শনিবার(১০ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরেরর পাশে এলপিজি ওয়ারহাউস ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারের একটি কক্ষে ঘন্টাব্যাপী রোহিঙ্গাদের মুখে নির্যাতনেরর কথা শুনেন ক্রিস্টিন এস বার্গনার।
এ সময় টেকনাফ নয়াপাড়া অনিবন্ধিত শালবাগানের ডেভলমেন্ট কমিটির নারী চেয়ারম্যান রমিদা বেগমসহ ৯ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে ক্রিস্টিন এস বার্গনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
জানা যায়, শনিবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে তিনি ক্যাম্পে আসেন। বৈঠকে মিয়ানমারের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান রমিদা বেগম।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। ফলে তারা সেদেশ থেকে প্রাণে বাঁচতে এপারে পালিয়ে আসেন। আগে এসব নির্যতানের বিচার চায়, তারপর তারা সেদেশে ফেরত যাবে। জবাবে জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গাদের জোর করে সেদেশে না পাঠানোরও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
রমিদা বেগমের বাড়ি মিয়ানমার রাইম্যাবিল গ্রামের বাসিন্দা। সে গত বছর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেন। গত ৪ মাস আগে ইউএনএইচসিআর মাধ্যমে রমিদা বেগমকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি করেছিলেন। পরে দুপুর ১২ টায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত টেকনাফ ত্যাগ করেন।