রামগড়ে মস্তক ও পা বিহীন লাশ উদ্ধার

লাশ উদ্ধার

রামগড় প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে শুক্রবার পাথা ও পা বিহীন অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাথা ও দুই পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করার পর লাশটি প্রায় দু‘শত ফুট গভীর খাদে ফেলে দেওয়া হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মানেন্দ্র ত্রিপুরা (৫৫)। তিনি রামগড় উপজেলার তারাচাঁনপাড়ার মৃত কর্মধন ত্রিপুরার পুত্র বলে জানা যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের গরুকাটা নামক দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় কাঠুরিয়ারা কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে লাশের দূর্গন্ধ পায়। তারা ঐ এলাকায় মানেন্দ্র ত্রিপুরার ঘরে গিয়ে রক্তের দাগ দেখে তার ছেলে কমলা কুমার ত্রিপুরাকে খবর দেন। সে স্বজনদের সাথে নিয়ে গরুকাটা এলাকায় তার বাবাকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পাহাড়ের প্রায় দু‘শত ফুট গভীর খাদে লাশের সন্ধান পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে।

রামগড় থানার উপপরিদর্শক মোবারক হোসেন বলেন, নিহত মানেন্দ্র ত্রিপুরার লাশটি মস্তক বিহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া দুই পায়ের হাঁটুর নিচের অংশও কাটা ছিল। বিচ্ছিন্ন অঙ্গ উদ্ধার করা যায়নি। তিনি বলেন, ৬ থেকে ৭দিন আগে হয়তো তাকে হত্যা করে লাশটি গভীর খাদে ফেলে দেওয়া হয়।

নিহত মানেন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে কমলা কুমার ত্রিপুরা বলেন, তার পিতা জনবসতিহীন দুর্গম গরুকাটা এলাকায় একটি ছোট ছনের ঘর তৈরী করে সেখানে গত প্রায় এক বছর ধরে একাকী বসবাস করছিলেন। কারা বা কি কারণে তাকে খুন করা হল এ বিষয়ে নিহতের পরিবার কিছুই বলতে পারছেন না।

থানার উপ পরিদর্শক মোবারক হোসেন বলেন, নিহতের ছেলে কমলা কুমার ত্রিপুরা বাদি হয়ে এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন