রাঙামাটির অপহৃত ৩জন এএলপি’র হাতে জিম্মি , ৫০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী
স্টাফ রিপোর্টার:
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তে অপহৃত দুই পর্যটকসহ এক গাইড মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান লিবারেশন পাটি (এএলপি)’র হাতে জিম্মি রয়েছে। অপহৃতদের পুক্তিপণ হিসেবে ৫০লাখ টাকা দাবী করেছে অপহরণকারীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইড মাংসাই ম্রোর বড় ভাই রুমা উপজেলার পাচিং কারবারী পাড়ার কারবারী পাচিং ম্রো। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ অক্টোবর দুপুর ২টায় দিকে বান্দরবানের রুমার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় আসার পথে বড়থলীর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সেপুপাড়া এলাকা থেকে ঢাকার দুই পর্যটক আব্দুল্লাহ জুবায়ের ও জাকির হোসেন মুন্নাসহ বান্দরবানের স্থানীয় গাইড মাংকা ম্রোকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান লিবারেশন পাটি (এএলপি)’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় ভারতের মিজুরাম রাজ্যে। এঘটনার পর থেকে অপহৃত ৩ জনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে দীর্ঘ পাঁচ দিন পর গত বুধবার রাতে আরকান লিবারেশন পাটি (এএলপি)’র কমান্ডার গাইড মাংসাই ম্রোর বড় ভাই পাচিং ম্রোর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। এসময় ৫০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে অপহরণকারীরা।
এব্যপারে কারবারী পাচিং ম্রো জানান, অপহরণকারীরা নিজেদের আরাকান লিবারেশন পার্টি পরিচয় দিয়ে তাঁর কাছে ৫০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এএলপি কমান্ডার জানিয়েছে অপহৃতরা ভাল আছে। তারা বর্তমানে বাংলাদেশের সীমান্তের ওপারে ভারতের মিজুরাম সীমান্ত রয়েছে। মুক্তিপণের টাকা দেওয়া হলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে ।
এদিকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বান্দরবান থানছি উপজেলার রাতাহা পাড়া থেকে রামথিং বম (৩২) নামে একজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার নবগঠিত ইউনিয়ন বড়থলীর ইউপি চেয়ারম্যান আতু মং মারমা জানান, বিভিন্নভাবে অপহৃতদে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
বান্দরবানের গাইড মাংকা ম্রোর বড় ভাই ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে সীমান্তের ওপাড়ে ভারতের মিজুরাম সীমান্তে গিয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানা গেছে।
বান্দরবান রুমা জোনের মেজর মেহেদী হাসান জানান, অপহৃতদের উদ্ধারের সেনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে অপহৃতদের মুক্তিপণ দাবী করার বিষয়ে তিনিও কিছুই জানেন না বলে জানান।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের রুমার কেওক্রাডং হয়ে রবিবার দুপুরে পাহাড়ী রাস্তা ধরে রাঙামাটিতে আসার পথে বিলাইছড়ি উপজেলার বড়তলী ইউনিয়নের সেপুপাড়া এলাকায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান লিবারেশন পাটি (এএলপি)’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের শিকার হয় বান্দরবানের স্থানীয় গাইড মাংসাই ম্রো (২৮)সহ ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জাকির হোসেন মুন্না (৩৪), আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের (২৬)। অপহণকারীরা তাদের রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার পাহাড়ী ঝিড়ি পথে ভারতের মিজুরাম সীমান্তের দিকে নিয়ে যায়।