রাঙামাটিতে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম

11

রাঙামাটি প্রতিনিধি:

বাঙালির জীবনে স্মৃতিগাথা মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালনের লক্ষ্যে শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত সরকারি, আধা সরকারি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এ মাসে লাল সবুজের জাতীয় পতাকার চাহিদাও যেন বেড়ে চলেছে। ফলে জাতীয় পতাকা হাতে ভ্রাম্যমান হকাররা ছুটছে দেশের এক প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তরে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারেও পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে।

রাঙামাটি শহরে বনরূপা সানমুন টেইলার্সের দর্জি তুষার পাল পার্বত্য নিউজকে জানায়, আমি ২০ বছর ধরে জাতীয় পতাকা তৈরি করি। আমাকে জেলা প্রশাসন থেকে জাতীয় পতাকার পরিমাপ দেওয়া হয়েছে সে পরিমাপের পতাকা তৈরি করি। আমার কাছে রাঙামাটির জেলা-উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠান পতাকা বানিয়ে নেন।

তিনি আরও জানায়, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ এবং ১৬ ডিসেম্বর এলে ১৫ দিন আগে থেকে জাতীয় পতাকা বানানোর জন্য ব্যস্ত থাকি। আমারও জাতীয় পতাকা তৈরি করতে খুবই ভালো লাগে তাই আমি তৈরি করি।

এ দিকে রাঙামাটি শহরের ভ্রাম্যমান হকার মো. আব্দুল আলিম জানায়, আমি মেলামাইন জিনিসপত্র বিক্রি করি। তবে ১৬ ডিসেম্বর এলে জাতীয় পতাকা বিক্রি করি । ৮ তারিখ থেকে রাঙামাটি শহরে  জাতীয় পতাকা বিক্রি করে দৈনিক ৮’শ থেকে ১ হাজার টাকা আয় করে বলেও জানায়।

রাঙামাটি শহরে বৃহস্পতিবার জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে দেখা যায় ৩-৪ জন ভ্রাম্যমান হকারকে। অথচ কেউই সঠিক মাপে পতাকা তৈরি করে নি।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ রশিদ জানান, কয়েক জন  হকারকে পতাকা বিক্রি করতে দেখেছি। এ গুলোর  মাপ সঠিক আছে কি নাই, সেটা আমি দেখি নাই। মাপবিহীন পতাকা তৈরীকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন