রমেল চাকমার মৃত্যুর অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

18261044_1271674499606164_1020020293_o
রাঙামাটি প্রতিনিধি :

রাঙামাটিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) নেতা রমেল চাকমার মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

রমেল চাকমা ইউপিডিএফ সমর্থনপুষ্ট ছাত্র সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নানিয়ারচর থানার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

গত ৫ এপ্রিল তাকে জেলার নানিয়ারচর উপজেলা সদর থেকে আটক করে আইন-শৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ এপ্রিল মারা যান তিনি।

ঘটনাটিকে হত্যা দাবি করে নির্যাতনের কারণে রমেলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

তদন্ত কমিটিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বাঞ্ছিতা চাকমাকে আহ্বায়ক, কমিশনের রাঙামাটি অফিসের উপ-পরিচালক গাজী মো. সালাউদ্দিনকে সদস্যসচিব ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলি উজ্জামানকে সদস্য করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা সোমবার সকালে রমেল চাকমার গ্রামের বাড়ি নানিয়ারচরের বুড়িঘাটের হাতিমারা এলাকা গিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় রমেলের বাবা, মা, স্বজনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রতিবেশী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের বক্তব্য ও সাক্ষ্য নেন তারা। তদন্ত কমিটির সঙ্গে এএসপি (সদর সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ রাঙামাটির কোতোয়ালি ও নানিয়ারচর থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় রমেলের বাবা কান্তি চাকমাসহ স্বজনরা ছাড়া বুড়িঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা, ওয়ার্ড মেম্বার অংসাপ্রু মারমা, গ্রামের কারবারি পুর্ণেন্দেু চাকমা, সান্ত্বনা খীসাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

স্বজন ও স্থানীয়রা তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে রমেল চাকমাকে অমানুষিক শারিরীক নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে, ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা ও সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এলাকা পরিদর্শনকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও ঘটনার অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর বাঞ্ছিতা চাকমা বলেন, অভিযোগের সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্তে এ কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত কাজ শুরু করেছি।

সোমবার রমেলের বাড়ির এলাকা পরিদর্শন করি এবং তার বাবা, মা, পরিবার, স্বজন, প্রতিবেশীসহ স্থানীয়দের বক্তব্য ও সাক্ষ্য নিয়েছি। আমরা অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি। কমিটিকে গঠনের পর পনের দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে প্রতিবেদন জমা দিতে তার অধিক সময়ও লাগতে পারে।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন