যতদিন স্বদেশে ফেরত যাচ্ছে না তত দিন রোহিঙ্গারা ঠেঙ্গারচরে থাকবে: ত্রাণমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সরকার রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচরে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তারা যতদিন পর্যন্ত স্বদেশে ফিরে না যায় ততদিন আশ্রয় ও সহযোগিতা দেয়া হবে জানিয়েছেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এমপি।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী কক্সবাজারে অবস্থানকারী নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সকল রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সরকার নিরন্তরভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সকল রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী মায়া বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে নানাভাবে কক্সবাজারের পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে শরণার্থী শিবিরের বাইরে যেতে না পারে সেই ব্যবস্থা জরুরিভাবে নিতে হবে। তারা শিবিরের বাইরে গেলে গলায় পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে যাবে। কোন রোহিঙ্গা আইন অমান্য করলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সেই সাথে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ সার্বিক মানবিক সহযোগিতা যথাযথভাবে প্রদানের জন্য মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।
এর আগে রবিবার সকাল ১১টার দিকে মন্ত্রী উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে পৌঁছেন বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) কাজি আব্দুর রহমান।
পরে সেখানকার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ইনচার্জের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও এনজিও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঘন্টাব্যাপী বৈঠক শেষে মন্ত্রী শিবিরের বিভিন্ন এনজিও’র কার্যালয় এবং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এরপর মন্ত্রী কক্সবাজারের উদ্দ্যেশে রওনা দেন। কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, মহাপরিচালক রিয়াজুল আহমদ, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান ও কক্সবাজার ত্রাণ, পূণর্বাসন ও শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার আবুল কালাম এবং ইউএনএইচসিআর ও আইওএমসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা।
কক্সবাজার পৌঁছে মন্ত্রী ত্রাণ, পূণর্বাসন ও শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের কথা রয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান।