মারমা ছাত্রী ধর্ষণকারী বাঙালী ধর্ষককে পুলিশে ধরিয়ে দিলো বাঙালীরাই

DORSHOK PIC copy

স্টাফ রিপোর্টার:

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মারমা ছাত্রীর ধর্ষককে আটক করেছে পানছড়ি থানা পুলিশ। আটক ধর্ষক ৩নং সদর পানছড়ি ইউপির দমদম গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ইব্রাহিম খলিল ইকবাল (২৫)। গত শুক্রবার থেকে পানছড়ি থানা পুলিশের অব্যাহত অভিযানে অবশেষে রোববার বেলা একটার দিকে তাকে গ্রেপ্তা করা হয়।

জানা যায়, এলাকায় মারমা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার খবর প্রকাশের পর পাহাড়ীদের মতো বাঙালী সম্প্রদায়ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তারাও ভেতরে ভেতরে খুঁজতে থাকে ধর্ষণকারীকে। একসময় তারা জানতে পারে ধর্ষণকারী একজন বাঙালী। বাঙালী হওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় বাঙালীরা ধর্ষককে আড়াল না করে তার অপরাধ বিবেচনা করে ধরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একসময় তারা জানতে পারে ধর্ষক মাটিরাঙা উপজেলার তাইন্দং বটতলী এলাকার তানাক্ক্যাপাড়া তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছে। সাথে সাথে তারা স্থানীয় পুলিশকে এ খবর জানায়।

খবর পেয়ে রোববার সকাল ১১ টার দিকে পানছড়ি থানার ওসির নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনোজ কান্তি কুরি, এএসআই সমর বড়ুয়া ও পুলিশ সদস্য আমিনুল তাইন্দং বটতলী এলাকার তানাক্ক্যাপাড়া শ্বশুর বাড়ি থেকে ধর্ষককে আটক করে পানছড়ি থানায় নিয়ে আসে।

জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. রইছ উদ্দিন ও ওসি আ. জব্বারের সম্মুখে আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ধর্ষিতার কামড়ের দাগও তার হাতে স্পষ্ট দেখা যায়। পানছড়ি থানা পুলিশের এই সফল অভিযানে সকল সম্প্রদায়ের মাঝে বর্তমানে বিরাজ করছে স্বস্তির নি:শ্বাস। পানছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ জানান, সোমবার আসামীকে কোর্টে প্রেরণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে যৌথখামার এলাকায় পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বাড়ির পাশের একটি বাঁশ বাগানে একই গ্রামের ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া উমাচিং মারমাকে নিয়ে বাঁশ করুল তুলতে গেলে অজ্ঞাতনামা এক যুবক কর্তৃক ধর্ষণ হয়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা রাপ্রু মারমা অজ্ঞাতনামা এক যুবককে আসামী করে পানছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন