মানিকছড়িতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বন্ধ

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

মানিকছড়ির উত্তর গাড়ীটানা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ৬ কন্যা সন্তানের জনক মো. শফি আহম্মদের ২য় কন্যা ‘গাড়ীটানা নিন্ম মাধ্যমিক’ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর(রোল নং-৬) মেধাবী ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ভরণ-পোষনের অজুহাত দেখিয়ে পিতা মো. শফি আহম্মদ সম্প্রতি দুবাই প্রবাসী যুবকের সাথে কন্যার বিয়ের যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করেন।

বৃহষ্পতিবার দুপুরে ফটিকছড়ির করপলা টিলাস্থ ক্লাবে বর হাজির। কনের গায়ে হলুদ শেষে বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২টায় কনে পক্ষের লোকজন কনেকে নিয়ে ক্লাবে রওয়ানা দেয়। এমন সময় বাল্য বিবাহের খবর আসে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিনিতা রানী’র কাছে। সাথে সাথে তিনি অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. কামুরুল আলমসহ দ্রুত ছুঁটে যান কনের পিত্রালয়ে।

পরে গাড়ীটানা টোল কেন্দ্রে স্থানীয়দেরও সহযোগিতায় কনের গাড়ির গতিরোধ করে প্রশাসন সেখানে কনের অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে টোল কেন্দ্রের অফিসে বসে তাৎক্ষনিক কনের জন্ম সনদ, স্কুল ভর্তি রেজিস্টার তলব করেন।

এতে দেখা যায় কনের জন্ম তারিখ ০৩-৭-১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ। ফলে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন প্রশাসন। পরে সেখানে উপস্থিত উৎসুক জনতাকে বাল্য বিয়ের কূফল সর্ম্পকে অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব ও ইউএনও বিনিতা রানী ব্রিফ করেন এবং গ্রামে-গঞ্জে বাল্য বিয়ের কূফল সর্ম্পকে প্রচারণাসহ অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন