মানিকছড়িতে নিরাপত্তাবাহিনীর উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

Untitled-2 copy

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

সিন্দুকছড়ি নিরাপত্তাবাহিনীর উদ্যোগে মানিকছড়ি, রামগড়, গুইমারা উপজেলার ৮ ইউনিয়নের সহ্রাধিক দরিদ্র শীতার্ত জনগোষ্ঠির মাঝে বুধবার সকালে মানিকছড়ি কলেজ মাঠে কম্বল বিতরণ করেছেন নিরাপত্তাবাহিনী।

সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল গোলাম ফজলে রাব্বি’র উদ্যোগে জোনের অধিনস্থ মানিকছড়ি, রামগড় ও গুইমারা উপজেলার আট ইউনিয়নের সহ্রাধিক পাহাড়ী-বাঙ্গালী নর-নারীরা বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় মানিকছড়ি গিরিমৈত্রী ডিগ্রী কলেজ মাঠে জড়ো হয়।

বেলা সোয়া ১০টায় গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার  জেনারেল মো. কামরুজ্জামান এনডিসি, পিএসসি জি’র উপস্থিতিতে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা, ইউএনও বিনিতা রানী, ইউপি চেয়ারম্যান মো.শফিকুল ইসলাম, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম মোহন, মনিন্দ্র ত্রিপুরা, রেদাক মারমা, মেমং মারমা, অধ্যক্ষ মংচাইঞো মারমা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সফিউল আলম চৌধুরী, শিক্ষক মো. আতিউল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এমকে আজাদ ও উশেপ্রু চৌধুরীসহ আটটি ইউপি’র সদস্যগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কম্বল বিতরণ পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, এ অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠির আপদে-বিপদে সবার আগে নিরাপত্তাবাহিনী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। অবহেলিত পাহাড়ী-বাঙ্গালীর স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সেবা, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, শীতবস্ত্র বিতরণ, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা, বৃত্তি প্রদানসহ আইন-শৃংখলা প্রদানে সবার আগে নিরাপত্তাবাহিনী এগিয়ে আসে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে এখানে তৃণমূলের মানুষকে ভয় দেখিয়ে সংঘবদ্ধ একটি গোষ্ঠি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে অহেতুক বিশৃংখলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। যা মোটেও সহ্য করার মত নয়। এখন সময় এসেছে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করার।

পরে সমাপনী ভাষণে ব্রিগেড কমান্ডার বলেন, বাংলাদেশ নিরাপত্তাবাহিনী মানবের সেবক হিসেবে বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। এ অঞ্চলের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আইন-শৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি সেবামূলক কাজে তারা অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে কাজ করতে প্রস্তুত।

পরে অতিথিরা একে একে সহ্রাধিক শীতার্ত মানুষের হাতে ও গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন। এ সময় ‘কম্বল’ পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হন উপস্থিত নর-নারীরা। করতালির মাধ্যমে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাবহিনীর এ মহতী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং অভিনন্দন জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন