মানিকছড়িতে খাল পারাপারে এবার বড়ই কাঁটা বিছিয়ে বাধা
মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
মানিকছড়ি রাজবাজার-মহামুনি পানি শুন্য খালের ওপর সাঁকো বসিয়ে দেদারসে টাকা নিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। খালে ব্রিজ নেই, তাই বর্ষাকালে পথচারীদের পারাপারের সুবিধার্থে খালটি ইজারা দেয় ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু বর্ষার পর খালে পানি থাকে না।
কিন্তু ইজারাদাররা বসে থাকবে কেন? তাই তারা প্রভাবখাটিয়ে শুকনো খালে প্রথমে মাছ ধরার অজুহাতে বাধঁ দিয়ে পানি আটকিয়ে পথচারীদের সাঁকো দিয়ে পারাপারে বাধ্য করেছিল। সম্প্রতি এ নিয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর নতুন কৌশলে সাঁকো ব্যবহারে পথচারীদের বাধ্য করা হচ্ছে। আর সেই অভিনব কৌশলটি হচ্ছে, খালের পানিতে বড়ই কাঁটা ছিটিয়ে সাঁকো ব্যবহারে লোকজনকে বাধ্য করা!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকছড়ির সদর রাজবাজারটির বয়স শত বছর পেরিয়েছে। বাজারের পশ্চিম-দক্ষিণ দিক দিয়ে মহামুনি-রাজবাজার-ডাইনছড়ি-বাটনাতলী সড়ক রয়েছে। আর প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার সপ্তাহিক বাজার।এ সড়কের বাজার টু মহামুনি অংশে রয়েছে‘মানিকছড়ি খাল’। অথচ খালের ওপর ব্রিজ নেই।
বাজারের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষ খাল পেরিয়ে বাজারে আসা-যাওয়া করে। বর্ষাকালে এ সড়কে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে সম্প্রতিকালে মানিকছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ খালের ওই অংশকে টোল কেন্দ্র ঘোষণা করে ইজারা দেয়।
ফলে ইজারাদাররা খালের ওপর সাঁকো বসিয়ে জনপ্রতি ৫টাকা টোল আদায় করছে। বর্ষা শেষে খালে পানি থাকে না। ফলে পথচারীরা অল্প পানির ওপর দিয়ে হেঁটে খাল পর হয়। কিন্তু ইজারাদাররা বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। তারা প্রথমে মাছ ধরার অজুহাতে খালে বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে পথচারীদেরকে সাঁকো পারাপারে বাধ্য করছে।
এ নিয়ে গত কয়েক দিনে অন-লাইন সংবাদে সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের টনক না নড়লেও ইজারাদাররা বিষয়টি টের পেয়েছে। তাই তারা শনিবার হাটবারের দিনে বাঁধটি কেটে দিয়ে খালের পানিতে বড়ই গাছ কেটে বিছিয়ে দিয়েছে। যাতে করে পথচারীরা নিচ দিয়ে পারাপার হতে না পারে। হয়েছেও তাই শনিবার সারা দিনে এ সড়ক দিয়ে মানিকছড়ির দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল এবং লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার অন্তত ৭/৮ হাজার পথচারী এ সাঁকো দিয়ে বাজারে আসা-যাওয়া করতে হয়েছে। আর এতে ইজারাদারদের আয় হয়েছে কমপক্ষে অর্ধলক্ষাধিক টাকা।
গণমানুষের প্রতি প্রভাবশালীদের এমন চরম দুর্ভোগ চাপিয়ে দেওয়া হলেও প্রশাসন একাবারে নিরব। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক বলেন, ইতোমধ্যে প্রকাশিত সংবাদ সর্ম্পকে উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা’কে অবহিত করা হয়েছে।