মাটিরাঙ্গায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
জেলার মাটিরাঙ্গায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পন করে ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ৯টায় মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ বেপারী ও মাটিরাঙ্গা উপজেরা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মনছুর আলী-কে সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল। এর পরপর মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়ানুষ্ঠান।
পরে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়ানুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ বেপারী ও মাটিরাঙ্গা উপজেরা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মনছুর আলী সহ প্রশাসনের বিভাগীয় কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের বীর সন্তান উল্লেখ করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল বলেন, সেদিন তারা জীবন-বাজি রেখে যুদ্ধ না করলে আমি স্বাধীন দেশের জন্মগ্রহণ করতাম না। স্বাধীন দেশের একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে দেশের জনগণের সেবা করার সুযোগ পেতাম না।
সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ বেপারী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মনছুর আলী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা, মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রশাসনের বিভাগীয় কর্মকর্তা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অন্যান্যদের সাথে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল।
এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিভিন্ন মসজিদ-মন্দির ও পেগোডায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।