মাটিরাঙ্গার হাটে দেশী গরুর কদর বেশি

Korbanir Bazar News Pic

মাটিরাঙ্গা সংবাদদাতা:
ত্যাগের মহিমায় মূহ্যমান মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শেষ মুহুর্তে জমে ওঠেছে কোরবানির হাট। পাহাড় টিলায় সযত্নে লালিত-পালিত গরু ছাগলও আসছে কোরবানির পশুরহাটে। ভারতীয় গরুর অনুপুস্থিতিতে এবার নানা রঙ ও বর্ণের দেশী গরু কোরবানির পশুরহাটের অন্যতম আকর্ষণ। ঈদের আর মাত্র এক দিন বাকী থাকতেই মঙ্গলবার মাটিরাঙ্গার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুরহাট মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিলন-মেলা। চড়া দামের থাকলেও দেশী গরুতে আস্থা রাখছে স্থানীয়রা। দাম যেন তাদের কাছে কোন সমস্যা নয়।

পাহাড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে পালিত এসব গরু দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এসব গরুর গোশতও চর্বিমুক্ত। পাহাড়ের খামারি ও কৃষকরা জানান, প্রতিবছর কোরবানির হাট সামনে রেখে পাহাড়ে ব্যাপকহারে গরু লালন-পালন করা হয়। এবার ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হওয়ার কারণে দেশী গরুর কদর আকাশ ছোয়া। পাহাড়ের গরু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখন চট্টগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।

মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা বাজারে কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সাড়ি সাড়ি দাঁড়িয়ে আছে দেশী গরু। কম ছিলনা ছাগলও। আশানুরূপ বিক্রির কথা জানিয়েছে বিক্রেতারা। তবে ক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় গরুর অনুপুস্থিতিতে বিক্রেতারা কোরবানির গরুর দাম হাঁকছেন অস্বাভাবিকহারে। এবছর গরুর পাশাপাশি ছাগলের দামও বেশি বলে স্থানীয় ক্রেতারা।

স্থানীয় বাজারগুলোতে এবছর গেল বছরের চেয়েও দ্বিগুন দামে বিক্রি হয়েছে স্থানীয় এসব দেশী গরু। দাম নয় পছন্দের পশুটি নিয়ে যাওয়াই যেন ছিল কোরবানি দাতাদের মূল উদ্দ্যেশ্য। আর এজন্য বিক্রেতাদের চড়াদাম বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি এবছর কোরবানির পশুর হাটে।

স্থানীয় বাজারের ক্রেতা আর বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর কোরবানির ঈদের সময় যে গরু ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার একই ধরনের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। সুন্দর রং আর সুঠাম দেহের অধিকারী গরু বিক্রি হচ্ছে ৫০ হাজারেরও বেশী দরে। একইভাবে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দাম চাওয়া হচ্ছে ছাগলেরও।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন