মহেশখালীতে গণধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানব বন্ধন

28-4-16 moheshkhali pic copy

মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালীতে স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে স্কুল ছাত্রীসহ স্থানীয় জনসাধারণ । মানববন্ধন শেষে মাননীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রী বরাবরে এক স্বারকলিপি প্রদান করে ধর্ষিতার পিতা কালিপদ দে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সামনে সর্বস্থরের সাধারণ জনতা ও ছাত্র ছাত্রীর এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামীপক্ষ মেয়ের ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে মানববন্ধন থেকে দাবি করা হয়। এ ধরনের ঘটনায় আইনানুগ প্রতিকার না পেলে এইভাবে র্ধষকরা সমাজের আরো কত মেয়েকে নির্যাতনে বাধ্য করার প্রবনতা বাড়বে উল্লেখ করে মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, এই গণ ধর্ষণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে এমন অপকর্মে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।

মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করেন মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, এ্যাডভোকেট আবছার কামাল , মহেশখালী কলেজের প্রভাষক মোস্তফা কামাল সোহাগ, মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর পারভেজ, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন আজম, আব্দুল মান্নান, একরামুল হক, সুজন কুমার দেসহ মহেশখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী।

প্রসঙ্গত গত ১৬ এপ্রিল বৈশাখী মেলা ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়। মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান সমূহ উৎযাপনের লক্ষ্যে স্কুল গেইট হইতে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়া রানী দেদ কে গোরকঘাটা দক্ষিণ হিন্দু পাড়া এলাকার মৃত বাদল দাশের ছেলে রুবেল দাশ, গোপাল মোহন্তের ছেলে হিরু মোহন্ত, দক্ষিণ হিন্দুপাড়ার মিলন দাশের ছেলে শামু দাশ, লক্ষণ দাশের ছেলে বাবলু দাশ ও পবন দে‘র ছেলে নিশি প্রিয়া রানী দে-কে যৌথ ভাবে টম টম গাড়ীতে উঠাইয়া গোরকঘাটা বাজারে নিয়া যায়।

সেখান থেকে প্রিয়া দে-কে বিভিন্ন কৌশলে কক্সবাজার শহরের এক আবাসিক হোটেলে নিয়ে গণ ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কারণে স্কুল ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়িলে ঐ হোটেল কক্ষ থেকে সরিয়া পরে ধর্ষকরা। পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোজাখুজির পর হোটেল কতৃপক্ষ স্কুল ছাত্রীর পিতা মাতাকে সংবাদ দেয়। প্রিয়া রানী দে‘কে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছাত্রীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এ বিষয়ে পিতা কালিপদ বাদি হয়ে মহেশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন