মহালছড়িতে প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। তবে মাঠে দেখা যাচ্ছে না বিএনপি প্রার্থীদের। মহালছড়ি উপজেলায় ৪ ইউনিয়নের মধ্যে মহালছড়ি সদর ও মাইসছড়ি এ দুটি ইউনিয়নে বিএনপি’র প্রার্থী দিতে পারলেও অপর দুটি ইউনিয়ন পাহাড়ী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় প্রার্থী দিতে পারেনি দলটি।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন প্রার্থীকে বাঁধা বা হুমকি প্রদান না করার কথা বলা হলেও বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন বাবু অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপি প্রার্থীদের প্রচারণায় যেতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাঁধা ও দেওয়া হচ্ছে। মহালছড়ি সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রতন কুমার শীল, মুবাছড়ি ইউনিয়নে কংজরী চৌধুরী, ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নে স্বাগত দেওয়ান ও মাইসছড়ি ইউনিয়নে মো. গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থকরা।

উপজেলার ৪ ইউনিয়নে দলের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সকল কর্মী সমর্থক এবং পাহাড়ী বাঙালি সকলেই সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাছে বলে জানান আওয়ামী লীগের কর্মীরা। মহালছড়িতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করেন তারা।

এদিকে আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস এর সমর্থিত প্রার্থীরাও প্রচার প্রচারণায় মাঠ চষে বেড়াছেন। ইউপিডিএফ এর সমর্থিত ৩ ইউনিয়নে অপর প্রার্থীরা হলেন, মাইসছড়ি ইউনিয়নে সাজাই মারমা, ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নে বিশ্বজিৎ চাকমা, মুবাছড়ি ইউনিয়নে জেএসএস ও ইউপিডিএফ সমর্থিত বাপ্পী খীসা। মুবাছড়ি ইউনিয়নে চাকমা ও মারমা সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কোন সম্প্রদায় না থাকায় প্রার্থী সংখ্যাও দু‘সম্প্রদায়ের দু‘জন।

তবে চাকমা সম্প্রদায়ের ভোটার মারমা সম্প্রদায়ের ভোটারের চাইতে দ্বিগুণ বেশী। এ হিসাব থেকে চাকমা সম্প্রদায়ের জেএসএস ও ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে বাপ্পী খীসা বিজয়ের ব্যপারে খুব আত্মবিশ্বাসী। তবে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী কংজরী চৌধুরী বলেছেন, সম্প্রদায় হিসেব থেকে নয় সকল সম্প্রদায়ের ভোটে বিজয়ের চাকা আমার দিকে ঘুরে আসবে।

মহালছড়ি সদর ইউনিয়নে সুখময় দেওয়ান আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেরাছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রতন কুমার শীল নিজেকে জয়ি করার লক্ষে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে অবিরাম গতিতে।

নির্বাচন বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলার প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে যে দলেরই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন