মগনামায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় পাল্টা পাল্টি মামলার অভিযোগ

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের ফুলতালা ষ্টেশনে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় পাল্টা পাল্টি মামলা রুজু করা হয়েছে। আফজালিয়া পাড়ার আমিনুল হকের পুত্র মো. করিম বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। পেকুয়া থানা ওসি জহিরুল ইসলাম খান এ মামলার কথা নিশ্চিত করেছেন। যার মামলা নং ০৮/১৭ইং।

মামলায় আ.লীগ নেতা, ইউপি সদস্য, গুলিবিদ্ধ আহত ও নিরীহ লোকদের আসামী এবং সম্পূর্ন মিথ্যা বলেও দাবী করেছেন ফুলতালা ষ্টেশনের ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগিরা।

জানা গেছে, গত ৩ ও ৪ জুন মগনামা ফুলতালা ষ্টেশনে ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের নেতৃত্বে আফজালিয়া পাড়ার সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া গুলিবর্ষন করে ১৬ জনকে আহত করে। গত ৫  জুন আনোয়ারুল আজিম বাবুল বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াসিমকে ১নং আসামী করে ২৯ জনের নামে মামলা করে। যার মামলা নং-০৫/১৭ইং।

পুলিশ এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। এর একদিন পর ভুক্তভোগিদের আসামী করে আরেকটি মামলা রুজু করা হয়। মামলায় আসামী করা হয়েছে, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম বাবুল, ইউপি সদস্য আলমগীর, মহিলা ইউপি সদস্য খালেদা বেগম, খালেদ মোশারফ, ফেরদৌস আহমদ, মো: আরমান, আবু হানিফ, সরওয়ার, আনোয়ার, দিদারুল ইসলাম, আতিক ও আতাউল হক।

ইউপি সদস্য মো. আলমগীর জানান, চেয়ারম্যান ওয়াসিম মগনামাবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। তার বিরুদ্ধে যে কথা বললে তাকে বিভিন্ন কৌশলে পরাস্ত করবে। সর্বশেষ মগনামার ফুলতালা ষ্টেশনের ব্যবসায়ী ও জনসাধারনের নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৬ জনকে গুরুতর আহত করে। পুলিশ অনেক গড়িমসি করে ভুক্তভোগিদের মামলা রেকর্ড করলেও উল্টো ভুক্তভোগিদের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করেন। যা নিয়ে আমরা খুবই হতাশ। একজন বিএনপি নেতার পক্ষে ওসি’র এমন পক্ষপাতিত্ব কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।

আ.লীগ নেতা আনোয়ারুল আজিম বাবুল বলেন, আমাদের পক্ষের মামলা রেকর্ড করলেও ওসি মোটা টাকার উৎকুচের মাধ্যমে কাউন্টার মামলাটি রেকর্ড করে। এ নিয়ে প্রকৃত মামলাটির তদন্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উভয় পক্ষ থেকে মামলা করা করার সত্যতা জানান। তবে তিনি আরো জানান ভুক্তভোগী গুলিবিদ্ধ হয়ে করিম বাদী হয়ে যে মামলাটি করেছেন তা যুক্তিযুক্ত।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন