‘ভাষা ও সংস্কৃতি মেলা’ পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে সুদৃঢ় করবে- বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন

19.02

সিনিয়র রিপোর্টার:

দুর্গম পাহাড়ী জনপদে ‘ভাষা ও সংস্কৃতি মেলা’ আয়োজনের প্রশংসা করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, এ আয়োজন পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে সুদৃঢ় করবে। আমাদের নিজ নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির উন্মেষ ঘটাতে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী-বাঙ্গালীসহ বিভিন্ন বর্ণ ও গোত্র সবাই মিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার বিকালের দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ভাষাভাষিদের ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত চারদিন ব্যাপী ‘ভাষা ও সংস্কৃতি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চলার পথের সম্প্রীতিকে বেগবান করতে এ আয়োজন গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, এ আয়োজন সফল করার মধ্যদিয়েই শহীদ দিবসের চেতনাকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। শুধু মাটিরাঙ্গাতেই নয় বিভিন্ন ভাষাভাষিদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অন্যান্য উপজেলাতেও এমন আয়োজনের আহবান জানান তিনি।

19.02

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান‘র সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম তাজু ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক।

সহকারী কমিনার (ভুমি) ইমরুল কায়েস এর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা ও মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা প্রমূখ।

‘ভাষা ও সংস্কৃতি মেলায় চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন ভাষাভাষিদের নিজস্ব ভাষা নিয়ে পৃথক পৃথক স্টল সাজানো হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ এবং কৃষি বিভাগ তাদের নানা কর্মকান্ড নিয়ে স্টল সাজিয়েছে মেলা মাঠে। এ ছাড়াও স্থানীয় বই বিক্রেতারাও মেলার স্টলে নিয়ে এসেছে এবারের একুশে বই মেলায় প্রকাশিত নতুন নতুন বই।

এছাড়াও মেলা মাঠে প্রতিদিনই বিকাল থেকে বিভিন্ন ভাষাভাষিদের সংস্কৃতি তুলে ধরার মধ্যদিয়ে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এমনটা জানিয়েছেন মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী কমিনার (ভুমি) ইমরুল কায়েস। মেলা চলবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন