বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের কারণে পানছড়িতে জিপিএ-ফাইভ বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি:
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে অধরা রয়েছে জিপিএ ফাইভ। এ ধরনের হতাশার ফলাফল ২০১৫ সালেও ঘটেছিল। তাই চায়ের আসরে অভিভাবকদের মুখে মুখে হাহাকার আর দীর্ঘশ্বাস।

জানা যায়, এবারে উপজেলার ৮টি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৯৪ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ৩০৫ জন। পাশের হার শতকরা প্রায় ৫২%।

পানছড়ি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে পরীক্ষার্থী ছিল ১০৭ পাশ করেছে ৪৬ জন। পাশের হার শতকরা ৪৩%। উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন থেকে পাশ করেছে ১৮ জন। পাশের হার শতকরা ৫৩%। পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯২ জনে পাশ করেছে ১০৮ জন। পাশের হার ৫৭%। নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ জনে পাশ করেছে ৮ জন। পাশের হার শতকরা ৫০%। পূজগাং মুখ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১৪ জনে পাশ করেছে ৫৫ জন। পাশের হার ৪৮%। লোগাং উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৩জনে পাশ করেছে ২৫জন। পাশের হার শতকরা ৪৭%। লোগাং বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৬ জনে পাশ করেছে ৩৪জন। পাশের হার শতকরা ৬১জন। পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২২ জনে পাশ করেছে ১১জন। পাশের হার শতকরা ৫০%।

অপরদিকে পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় দাখিলে ৪৩ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩১ জন। পাশের হার শতকরা ৭২%। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে এ তথ্য পাওয়া যায়।

পানছড়িতে ফলাফল বিপর্যয়ের ব্যাপারে পানছড়ির বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানায়, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরাজ করছে এক ধরনের স্নায়ুযুদ্ধ। এই স্নায়ুযুদ্ধে প্রতি বছরই বলি হচ্ছে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা।

তাছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে নাম্বার কম দেয়ার ফলে অনেকে নাকি অল্পের জন্য জিপিএ ফাইভ বঞ্চিত হচ্ছে। এসব স্নায়ুযুদ্ধ বন্ধ করে পরীক্ষার্থীদের প্রতি উদার হওয়ার দাবী অভিভাবকদের।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন