পেকুয়ায় ১০টন খাদ্য শষ্যের অর্থ ইউপি সদস্যের পকেটে!

আত্মসাত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ ১০ টন খাদ্য শষ্যের সব টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী (কাবিখার) এর টাকা পেকুয়া ইউপি সদস্য ও ছাত্রদল নেতা মো. মানিক কোন ধরনের কাজ বাস্তবায়ন না করে টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মানিকের অনুকূলে ১০টন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই খাদ্য শষ্য থেকে ১০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সৌরবিদ্যুৎ দ্বারা আলোকিত করার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ওই কাজ তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে সদর ইউপির ওই সদস্য কোন ধরনের কাজ না করে ডিও উত্তোলন করেছেন। কাজের সময়সীমা অতিবাহিত হয়েছে গত ছয় মাস পূর্বে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে আতাত করে ওই ইউপি সদস্য মানিক সমুদয় টাকা আত্মসাত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদরের টেকপাড়া জামে মসজিদ, ছিরাদিয়া জামে মসজিদ, মইয়াদিয়া জামে মসজিদসহ ১০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০টন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১টন বরাদ্দ রয়েছে।

শুক্রবার প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বরাদ্দের অনুকূলে একটিতেও সৌরবিদ্যুৎ সংযোজন করা হয়নি। গত কয়েক দিন পূর্বে মসজিদ-মাদ্রাসার বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি এলাকায় চাউর হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তুপের মুখে পড়েন ওই ইউপি সদস্য।

জানা গেছে, ইউনিয়নের বিভিন্ন কাজের জন্য বরাদ্দ কৃত ১০টন খাদ্য শষ্যের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২লাখ টাকা। ইউপি সদস্য মো. মানিক প্রকল্প সভাপতি। গত বছর দুই কিস্তির ডিও পেকুয়া পিআইও অফিস গ্রহণ করে। পরে ইউপি সদস্য চকরিয়া খাদ্য গুদাম থেকে এসব খাদ্যশষ্য উত্তোলন করে সরকারি বরাদ্দের সমুদয় অর্থ আত্মসাত করেন।

ইউপি সদস্য মো. মানিক বরাদ্দের টাকা উত্তোলনের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, গেল বন্যার কারনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বরাদ্দে সব টাকা আমার কাছে জমা আছে। টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি।

পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান এম বাহাদুর শাহ বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছি। ইউপি সদস্যকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছি।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খান জানিয়েছেন আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন