পেকুয়ায় শিবিরের সেক্রেটারীকে পুলিশে দিলো ছাত্রলীগ

sibbir arrest
পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় গোপন বৈঠক থেকে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারীকে ধরে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজারস্থ জামায়াত পরিচালিত প্যান ইসলামিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আটককৃত আবদুল মজিদ ওরফে আরমান (২০) উপজেলা ছাত্রশিবিরের বর্তমান সেক্রেটারী। সে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের গুদিকাটা এলাকার মৌলভী মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, সোমবার মাগরিবের নামাজের পর পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের প্যান ইসলামিক হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ৮-৯ জন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীর বৈঠক শুরু হয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা খবর পেয়ে সেখানে অবস্থান নিলে বৈঠক পন্ড হয়ে যায়। এ সময় শিবিরের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে গেলেও আবদুল মজিদকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম কফিল উদ্দিন জানান, মাগরিবের নামাজের পর জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্যান ইসলামিক হাসপাতালে শিবিরের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠকে বসে। খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তাঁদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও প্যান ইসলামিক হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুছ জানান, ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসেন। এখানে কোনো বৈঠক বা সভা হয়নি। তিনি হাসপাতালে অবস্থান করার সময় ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গিয়ে অহেতুক আবদুল মজিদকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। হামলার ভয়ে হাসপাতালে কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও পালিয়ে যান।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া এ প্রতিবেদককে জানান, গোপন বৈঠক থেকে ধরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শিবিরের সেক্রেটারীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা আছে কিনা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশ গোপন বৈঠকের বিষয়েও খোঁজ খবর নিচ্ছে। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন