পেকুয়ায় যুবলীগ নেতার বাড়ি তৈরিতে বাধা

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় বাড়ি তৈরিতে যুবলীগ নেতাকে বাধা দিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা। বাড়ি সংস্কারের উদ্যেগ গ্রহণ করে ওই যুবলীগ নেতা। তবে লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে কাজে বাঁধা প্রদান করে একটি চাঁদাবাজ চক্র। এদিকে ওই ঘটনার জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ বুধবার বেলা ১১ টা ও মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দু’দফা ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ পাওয়া যায় পুলিশ একপক্ষে অবস্থান নেয়ায় বিষয়টি এখনো অমিমাংসিত রয়েছে। পুলিশ ওই দুর্বৃত্তের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান পরিলক্ষিত হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পুলিশ পৈত্রিক ভিটায় ঘর তৈরি না করতে ওই যুবলীগ নেতাকে নির্দেশ দেয়।

প্রাপ্ত সুত্রে জানা গেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জালিয়াখালী এলাকার আকতার আহমদের ছেলে ও ৩নং ওয়ার্ড় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মুহাম্মদ পৈত্রিক ভিটায় নিজের পূর্বের বসতি সংস্কার করে ওই স্থানে একটি টিনের ঘর নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করছে।

নুর মুহাম্মদ জানায় এক মাস আগে থেকে একই এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে মুফিজুর রহমান ভেট্টা আমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হলে ওই ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। জায়গাটি আমার বাপ-দাদার ভিটা। প্রায় একশ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। বিষয়টি স্থানীয়দের অবহিত করেছি। তারা ভেট্টাকে অহেতুক আমাকে হয়রানি করতে নিষেধ করে। কিন্তু সে আরো বেপরোয়া হয়ে এখন বাড়ি করতে দিচ্ছেনা। পুলিশও তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কোন নোটিশ ছাড়ায় বাড়ির কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বলেও অভিযোগ করে।

জালিয়াখালী সমাজ কমিটির সভাপতি উকিল আহমদ, সহ-সভাপতি শের আলী, সদস্য ফয়েজ আহমদ, আশরাফ মিয়াসহ স্থানীয়রা জানায় অন্যায় করছে ভেট্টা। অনেকবার জায়গা পরিমাপ করেছি। কিন্তু ভেট্টা এসব মানছেনা। এখন পুলিশকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করে।

নুর মুহাম্মদ পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। মুফিজুর রহমান ভেট্টা জানায় নুর মুহাম্মদ জোর করে অধিক জায়গা ভোগ করছে। তাই আপাতত কাজ না করতে নিষেধ করছি। কোন চাঁদা দাবি করি নি।

পেকুয়া থানার এসআই মুহাম্মদ উল্যাহ জানায়, মুফিজুর রহমান ভেট্টা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজ না করতে বলেছি। এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে থানায় তলব করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন