পেকুয়ায় যুবক গুলিবিদ্ধের ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের

pekua_pic_akkas[1]

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় অনৈতিক কর্র্মকান্ডে বাধা দেওয়ার জের ধরে যুবক গুলিবিদ্ধের ঘটনায় অবশেষে থানায় এজাহার দায়ের করেছে আহত পরিবার। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁসিয়াখালী এলাকায় গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আহত যুবক আক্কাসের বড় ভাই মোহাম্মদ জাবের বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে পেকুয়া থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারী ফাঁসিয়াখালী সবজীবন পাড়া এলাকার আমির হোসেনের পুত্র মকছুদুর রহমান আনুমানিক ১১ টার দিকে এক চরিত্রহীন মহিলাকে নিয়ে এসে পূর্ব জালিয়াকাটা এলাকার আবু তাহেরের পুত্র মামুন, মৃত নুরুল কাদেরের পুত্র আবুল কাসেমের গং গুলিবিদ্ধ আক্কাসের শশুর বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে মদ, গাঁজাসহ অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত হয়।

এ অসামাজিক কাজকর্মে ভিকটিম মোহাম্মদ আক্কাস বাধা দিলে ও প্রতিবাদ করলে তার সাথে আসামীদের কথাকাটাকাটি, হাতাহাতির উপক্রম হয়। এরপর ১ নং আসামী মামুন ভিকটিম আক্কাসকে দেখে নেবে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে বাড়ি চলে যায়।

এ দিকে ভিকটিম মো: আক্কাস প্রতিদিনের ন্যায় তার কর্মস্থল থেকে রাত ১০ টার দিকে বাড়িতে ফিরলে পূর্ব জালিয়াকাটা এলাকার আবু তাহেরের পুত্র মো: মামুন, মৃত নুরুল কাদের পুত্র আবুল কাসেম ওই ভিকটিম আক্কাসের পিছু নেয়। ওই সময়ে ভিকটিম মোহাম্মদ আক্কাস পেকুয়া বাজার থেকে জালিয়াকাটা এলাকার আবু তাহেরের সীমানা অতিক্রম করলে পূর্ব জালিয়াকাটা এলাকার আবু তাহেরের পুত্র মো: মামুন, মৃত নুরুল কাদেরের পুত্র আবুল কাসেম গং ওই আক্কাসকে ধরে টানা হেচঁড়া করে পরে তাকে লক্ষ্য করে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিঠে, কোমরে ও পায়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।

এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে। আহত আক্কাসের আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তারা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গুলিবিদ্ধ আক্কাসের অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে গুলিবিদ্ধ আক্কাস চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভূইয়া এজাহার পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন এবং এজাহার রেকর্ড হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন