পেকুয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম
পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম এখন কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। মুখ থুবড়ে পড়েছে ৭ টি ইউনিয়নের ৬৩ টি ওয়ার্ডের কার্যক্রম। কমিটি গঠনের শুরুতে কাজকর্মে উদ্দীপনা থাকলেও বর্তমানে উপজেলার সব কয়টি ওয়ার্ডে কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জাকজমকপূর্ণভাবে সারাদেশের মতো পেকুয়া উপজেলায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন করা হয়। উদ্দ্যেশ ছিল আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যরা স্ব- স্ব এলাকায় কাজ করবেন ও থানা পুলিশের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করবেন। বেশ কিছু দিন ধুমধামের সাথে কমিটির কার্যক্রম চললেও এখন তা একেবারে ঝিমিয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হয়। ওই সকল কমিটি গঠন করার সময় থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ সহ গ্রাম প্রধানরা ও পদের জন্য দেনদরবার করে জায়গা করে নিয়েছিল। পদ নেয়ার জন্য অনেক রীতিমত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও করেছিলওই সময়। কমিটি গঠনের পর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির কার্যক্রমের গতি বছর খানেক সচল ছিল। সামাজিক পারিবারিক ও জমি জমা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিরোধ নিষ্পক্তি করা হয়েছিল। ওই পুলিশিং কমিটির মাধ্যমে। তখন মামলা মোকাদ্দামায় সংখ্যাও অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনুপাতিক হারে কমে গিয়েছিল। গত বছর উপজেলা পুলিশিং কমিটির গঠন করা হয়। কমিটি কাগজে কলমে থাকলেও কাজে ছিল না। মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কোন কমিটি গঠন করা হয়নি ইতিমধ্যে। সেই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন পেকুয়া সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আ’লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট কামাল হোসেন। তিনি এখনও ঐ কমিটির আহ্বায়ক পদে আছেন। তার নেতৃত্বে বর্তমানে উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর আহ্বায়ক এডভোকেট কামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নের কমিটি জমা হয়েছে এবং ওসি নিজে গিয়ে সভা করে এ কমিটি করতেছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে পেকুয়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে কমিউনিটি পুলিশিং সভা হয়েছে এবং কমিটির কাগজপত্র থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কার্যক্রম বন্ধ একথা সঠিক নয়। কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি আছে এবং সেই কমিটির সাথে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করি। আগের কমিটি থেকে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে নতুনভাবে কমিটি সাজানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে পেকুয়ার তিন টি ইউনিয়ন থেকে কমিটির কাগজ পত্র পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা যাচাই বাচাই করে কমিটি অনুমোদন দিব। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকী ইউনিয়নেও কমিটি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।