পেকুয়ায় বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর মিছিলে আ’লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর হামলা, আহত- ১০

হামলা

পেকুয়া প্রতিনিধ:

কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামায় বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মিছিলে আ’লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে পেকুয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গককাল সোমবার উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে মহুরী পাড়া এলাকায় রাত সাড়ে ৭ টায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আসন্ন মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম ধানের শীর্ষ প্রতীক নিয়ে মিছিল সহকারে আ’লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল এনামের মহুরী পাড়াস্থ বাড়ির সামনে দিয়ে আসার সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খাইরুল এনাম বাড়ি থেকে তার সমর্থকদের নিয়ে বের হয়ে হয়ে মিছিলে এলোপাথাড়ি কিরিচ দিয়ে হামলা করে। এ সময় হামলায় বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছোট ভাই এনায়েত উল্লাহ, ছাত্রদল নেতা আমিন উল্লাহ ও আবদুল খালেকসহ ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে পেকুয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে বিএনপির প্রার্থী শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার নির্বাচনী তোরণ আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মগনামায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে জানতে বিএনপির প্রার্থী শরফত উল্লাহ ওয়াসিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাইকিং করে প্রচার করে যে ভোট দিতে হবে না, আমরা ভোট কেটে নিব এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত। এসব কথা শুনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

অন্যদিকে এসব বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী খাইরুল এনাম। এসময় তিনি বলেন, ওয়াসিমের কিছু সমর্থক আমার পোস্টারে মল ছুড়েছে এবং অনেক জায়গায় ছিড়ে ফেলছে । আমরা কোন হামলা করি নাই। তারা আমার বাড়ির সামনে দিয়ে এসে আমার সমর্থকদের উপর হামলা করছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তফিজুর রহমান ভুইয়া ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন এবং খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়েছেন বলে জানান।

আর পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশিদ খাঁন জানিয়েছেন, ঘটনা সংবাদ পেয়ে আমি পুলিশ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন