পেকুয়ায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব

 

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় সরকারি চরায় সামান্য একটি সাঁকো নির্মাণ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে রীতিমত দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে বিচার-সালিশ তারপর দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ সর্বশেষ পাল্টাপাল্টি মামলা পর্যন্ত গড়িয়ে দুপক্ষের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঘটনাটি ঘটেছে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলী মালঘারা এলাকায়। স্থানীয় ও দুপক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই এলাকার মোহাম্মদ হোছাইন গং ও একই এলাকার রফিক গং এর মধ্যে বাঁশের সাঁকো নিয়ে এ যুদ্ধ চলছে।

স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদ হোছাইন বাবুল বাস করেন বটতলী চরার এ পাড়ে আর রফিকের ছেলে নুরুল ইসলাম বাস করেন চরার অপর পাড়ে। নুরুল ইসলাম নিজের ভিটার জায়গার অংশে সাঁকো নির্মাণ না করে মোহাম্মাদ হোছাইন বাবুলের জায়গার উপর দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করতে গেলে বাধে যত বিপত্তি।

মোহাম্মদ হোছাইন বাবুলের অভিযোগ, রফিকের ছেলে নুরুল ইসলাম তার নিজস্ব ভিটায় সাঁকো নির্মাণের জায়গা থাকলেও অবৈধভাবে জোরপূর্বক তার ভিটার এসে গাছ কেটে সাঁকো নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এসময় তারা বাধা দিলে তার মা ভাই ও বাড়ির মেয়েদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে রফিক গং এর লোকজন।

এসময় তারা তাদের বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ তাদের। এমনকি এঘটনায় উল্টো তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে তাদেরকে ভিটেবাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। অপরদিকে নুরুল ইসলামের অভিযোগ, মোহাম্মদ হোছাইন প্রকাশ বাবুল সহ তার ভাই ব্রাদাররা মিলে তার দীর্ঘদিনের বসতভিটা দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা শুরু করে। একপর্যায়ে তারা লোকজন নিয়ে আমাদের জমি দখল করতে এলে আমরা বাঁধা দেই। এসময় তারা এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে আমার পিতাকে আহত করে এবং আমার তিন হাজার দুইশত টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়।

এলাকার লোকজন বলেন, অভিযোগ যাই হোক দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে এবং এতে বৃদ্ধা সহ দুপক্ষের লোকজনই আহত হয়েছেন। এঘটনায় প্রথমে রফিকের ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদ হোছাইন বাবুল ও তার ভাই আহমদ হোছাইন কালু সহ তাদের ৭০ বছরের বৃদ্ধা মা আম্বিয়া খাতুনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৩। অপরদিকে বৃদ্ধা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে রফিক, নুরুল ইসলাম, আহমদ উল্লাহ সহ ৭জনকে আসামি করে চকরিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সামান্য একটি সাঁকো নির্মাণ নিয়ে দু’পক্ষ রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করছে। দু’পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে অনেক মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। আমি দু’পক্ষকে অনেক শান্ত করার চেষ্টা করেও থামাতে পারিনি। এখনো দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দু’পক্ষই মারামারি, মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে এখন ভিটেবাড়ি ছাড়া হয়ে গেছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন