পেকুয়ায় প্রবাহমান খালে বাঁধ!
পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় প্রবাহমান খালে বাঁধ নিমার্ণ করা হয়েছে। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে চাষাবাদে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, টইটং ইউনিয়নের মিয়াজির ঘোনা প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় চলতি মৌসুমের বোরো চাষের অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে মিয়াজির ঘোনা বিলের চাষীদের সাথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বারবকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র সাহাব উদ্দিনের সাথে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে। বাঁধ কেটে দেওয়া ও না দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষেরও আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় বোরো চাষী মোকতার আহমদের পুত্র সাকের আহমদ, আব্বাছ ছৈয়দ নুর নেছার, আবুল বশর ও ফরিদ জানান, চলতি বোরো মৌসুমে মিয়াজির ঘোনা খাল এর পানি দিয়ে বিলের হাজার হাজার চাষী চাষ করে থাকে। চাষীরা চাষের কাজও শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে ইটভাটার মালিক সাহাব উদ্দিন ইটের মাঠি কাটার উদ্দেশ্য মিয়াজির ঘোনা খালের ঠিক মধ্যখানে একটি অপর অংশে আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করে। যার কারণে প্রবাহমান পানি চলাচল বন্ধ থাকায় বোরো চাষীরা পানির জন্য হাহাকার শুরু করে। একপর্যায়ে গত কয়েকদিন আগে সকল চাষীরা মিলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বাঁধটির কিছু অংশ কেটে দেই। এরপর সাহাব উদ্দিন বাঁধ দেওয়ার জন্য আবারো মরিয়া হয়ে ওঠে। সর্বশেষ গতকাল তার ইটভাটার মাঠি কাটার সুবিধার্থে পেকুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এখন পুলিশ দিয়ে আমাদের হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রবীণ ব্যক্তি ওই খালের চাষী মোকতার আহমদ জানান, মিয়াজির ঘোনা খালটি মিয়াজির ঘোনা বিল হয়ে নাপিতখালী খালে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এখানে রয়েছে হাজার হাজার ধান চাষী। শুধু মাত্র মিয়াজির ঘোনা বিলে রয়েছে দেড় হাজারের উপরে বোরো মৌসুমের ধান চাষী। কিছুদিন আগে স্থানীয় সাহাবউদ্দিন শুধুমাত্র তার সুবিধার্থে খালটি মাঠি দিয়ে দুটি বাঁধ নির্মাণ করে। যার কারণে এখানেসহ নাপিতখালী এলাকার চাষীরা পানির জন্য কষ্ট পাচ্ছে। আর পানি না পেলে চাষ করা সম্ভব হবেনা। যার ফলে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মোখিন হবে চাষীরা। আমিসহ সকল চাষীরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি দ্রুত বাঁধ দুটি অপসারণ করে খালটি উম্মুক্ত করা হোক।
প্রবাহমান খালে বাঁধ দেওয়ার কথা জানতে চাইলে সাহাব উদ্দিন জানান, তিনি খালে বাঁধ দেননি। তার ক্রয়কৃত জায়গাতে তিনি বাঁধ দিয়েছেন। প্রতিপক্ষরা তার জায়গাটি দখল করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছেন। যার কারণে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।