পেকুয়ায় চাঁদার দাবীতে বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদার দাবীতে বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও ওই প্রকল্পে মাঠির কাজ করা শ্রমিকদের মাঝিকেও মারধর করে আহত করা হয়েছে বলে জানা যায়। আহত আবুল কাশেম মাঝি (৫৫) পশ্চিম কোনাখালী বাংলাবাজার এলাকার মৃত মো: কালুর পুত্র বলে জানা গেছে।

আহত অবস্থায় তাকে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ৩০ এপ্রিল সকালে ওই ইউনিয়নের ফুয়াতটেক এলাকায়।

ওই প্রকল্পের পরিচালক কোনাখালী ইউনিয়নের মো: কালুর পুত্র আমির হোসেন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জরুরী ভিত্তিতে বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে উজানটিয়া ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকায় ১১ চেইন বেড়িবাঁধের বেইস ক্লোজারের কাজ শুরু করে। আর এটি বাস্তবায়নের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও কোনাখালী ইউনিয়নের মোকতার মেম্বার নামের এক ব্যক্তি সাব কন্টাকটার হিসাবে নিয়োগ করেন।

গত ২০ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু হলে হঠাৎ উজানটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ টি এম শহিদূল ইসলাম চৌধূরী তার দলবল নিয়ে এসে কাজে বাঁধা প্রদান করেন। এর কারণ জানতে চাইলে ১লাখ টাকা দাবী করেন। এক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তার সাথে কথা বলে আবারো কাজ শুরু করে। এরপরও তার ভাইপু আরফাত, আলমগীর, আবুল কালাম, আমির উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন বার বার কাজে বাঁধা প্রদান করলেও আমরার কাজ চালিয়ে নিয়।

কিন্তু ৩০ এপ্রিল ঘটনার দিন হঠাৎ ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ তার ভাইপু আরফাত ও দলবল নিয়ে কাজে এসে বাঁধা প্রদান করেন। তারপরও মাঠি কাটার কাজ অব্যাহত রাখলে এক পর্যায়ে তিনি নিজেই শ্রমিকদের মারধর শুরু করে। এ সময় মাঝি আবুল কাশেম বাঁধা দিতে আসলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। তখন অনুনয় বিননয় করে আহত আবুল কাশেমকে তার কবল থেকে উদ্ধার করে পেকুয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।

পেকুয়া হাসপাতালের রেজিষ্ট্রার খাতায় তার আহতের তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এ টি এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে চাঁদাদাবীর কথা মাঝি আবুল কাশেমের অপপ্রচার উল্লেখ করে বলেন, কথিত মাঝি একটি বেড়িবাধেঁর পাশ থেকে মাটি কেটে অন্য একটি বেড়িবাধেঁ মাটি দেওয়া শুরু করে। এতে আমি বাধা দিয়ে থাকি। মাঝি আবুল কাশেমের আওতাভুক্ত ১০ চেইন বেড়িবাঁধের কাজ হচ্ছে। আমার জানা মতে প্রতি চেইনে ১লাখ ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু ওই মাঝি ৩০ হাজার টাকার মাঠি কেটে বাকী টাকা লুটপাড় শুরু করায় তাকে বকাঝকা করা হয়েছে। সে কেন আহত প্রশ্ন করলে তিনি জানান, সে আগে থেকেই দূর্ঘটনায় আহত ছিল।

সাব ঠিকাদার মোকতার মেম্বার জানান, আমরা দুজন এ বেড়িবাঁধের কাজটি শুরু করি গত ২০ তারিখ থেকে। এরপর থেকে শহিদ চেয়ারম্যান নিজেই তার দলবল নিয়ে কাজে বাঁধা প্রদান শুরু করে। মাঝির কাজ থেকে জানতে পারি তিনি এ কাজের জন্য ১লাখ টাকা দাবী করেছেন। বর্তমানে তিনি কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন