পেকুয়ায় এক কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য মাত্র ২৫ হাজার টাকা!

পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় মুসলিম এক কিশোরীর সাথে বড়ুয়া পরিবারের এক ছেলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় জানাজানি হলে ওই কিশোরীর পিতা ছেলে মেয়ে দু’জনকে থানায় হস্তান্তর করেন। থানায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে লিখিত এজাহার নিয়ে যাওয়ার পর পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদারের নেতৃত্বে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে দু’পরিবারকে মধ্যস্থতা করে দু’জনকে ছেড়ে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় পেকুয়া থানায়।

প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে জানা যায়, বড়ুয়া ছেলের পরিবারের সাথে দফারফা করে মেয়ের ইজ্জতের মূল্য ২৫ হাজার টাকার নির্ধারণ করে ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় সচেতনমহলের কাছে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এ ঘটনায় পেকুয়ার সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে। পেকুয়ার সচেতন মহল দাবী করছেন, স্থানীয় একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে আইনের আওতায় না এনে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ওই ধর্ষককে।

মেয়ের মা রাবেয়া বসরী লিখিত এজাহারে উল্লেখ করেন, তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরী ফাতেমা বেগম পপি(১৫) চট্টগ্রামের এক গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। একই সাথে তার সাথে চাকুরী করেন চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের সাহাবদি গ্রামের দিলীপ বড়ুয়ার পুত্র রাজু বড়ুয়া(২১)। এ সুবাধে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য তারা দুজনেই পালিয়ে বিয়ে করে।

এ সম্পর্কের জের ধরে গত ১০ মে তারা মেয়ের পিতা মনছুর আলমের বাড়ি সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামায় বেড়াতে আসে। ১১ মে রাতে রাজু বড়ুয়া তার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষন চেষ্টা চালায়। সে সময় মেয়ের পিতা মাতা তাকে রক্ষা করে। এর আগেও তার মেয়েকে ধর্ষন করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন তিনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রেম চিনেনা জাত বেজাত চিনেনা ধর্ম বর্ণ। মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়ে বড়ুয়া পরিবারের ছেলের সাথে প্রেম অত:পর সহবাস করা মুসলিম ধর্মের জন্য খুবই ঘৃণিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, মেয়ের পরিবার অভিযোগ না দেওয়ায় মেয়েকে তার পিতা মাতা আর ছেলেকে ছেলের অভিভাবকের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়ের পরিবার ও তাদের আত্মীয়রা দু’জকে কেন থানা হেফাজতে দিয়েছিলেন প্রশ্ন করলে তিনি এ বিষয়ে কোন ধরণের স্বত উত্তর না দিয়ে এসআই কাঞ্চন কান্তি দাশের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এ সময় তিনি লিখিত এজাহার পাননি বলে দাবী করেন।

এ ব্যাপারে এসআই কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, মেয়ের পবিরাবের অভিযোগ না থাকায়, যারাই তাদের থানায় এনেছিল তাদের জিম্মায় ছেলে মেয়ে উভয়কে দিয়ে দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন