পেকুয়ায় আদালত কর্তৃক স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা দেওয়ার নিদের্শ মানছেন না স্বামী

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় আদালত কর্তৃক স্ত্রীর বকেয়া দেন মোহরানা ও খোরপোষ এর টাকা দেওয়ার নিদের্শ মানছেন না স্বামী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তার স্ত্রী শামারুক খাতুন এ অভিযোগ তুলেন।

এছাড়াও বারবাকিয়া বাজারে তার নিজস্ব দোকানঘর ও যথেষ্ট সহায় সম্পদ থাকার পরও আদালতে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়াও প্রস্ততি নিচ্ছে স্বামী জসিম উদ্দিন। পারিবারিক আদালত চকরিয়ার পারিবারিক মামলা ১২০/১০ইংরেজির অনুকূলে গত ১৭ নভেম্বর ২০১৫ইং দেন মোহরানা ও খোরপোষ বাবদ ২,৭৭,২০০ টাকা পরিশোধ করার এ রায় প্রদান করে আদালত।

মামলার বাদি শামারুক বেগম জানান, তার সাথে পারিবারিক বনিবানা না হওয়ায় গত ২০১০ সালের ২৫ নভেম্বর পারিবারিক আদালতে একটি মামলা করি। ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ইংরেজি মামলার রায় হয়। রায়ে ২,৭৭,২০০টাকার মধ্যে ১,৫৭,২০০ টাকা পরবর্তি ২ মাসের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। বাকি টাকা ১২ কিস্তিতে পরিশোধের জন্য আদালত নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ ৬ মাসেও তা পরিশোধ না করায় আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়। পরে পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল হাজত পরবর্তি ১ম কিস্তির ১লাখ ৫৭ হাজার ২শ টাকার মধ্যে ৫০হাজার টাকা আদালতে জমা দিয়ে জামিন প্রাপ্ত হয়।

এরপর আদালত ১৫ দিনের ভিতর তাকে বাকি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। ইতিমধ্যে আদালতের চোঁখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। বারবাকিয়া বাজারে তার রয়েছে কয়েকটি দোকান ও পৈত্রিক প্রাপ্ত অনেক নাল জমি। আমার মোটা অংকের টাকা আদালতে বুঝিয়ে না দেওয়ার জন্য গরীর সাঁজার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে।

অথচ তার জন্ম দেওয়া কন্যা আনার কলি ও আমাকে চলতে হচ্ছে অনেক কষ্টের বিনিময়ে। তার লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি আমি। এক বেলা খেয়ে আর না খেয়ে দিনাপাত যাচ্ছে আমার। এছাড়াও জামিন প্রাপ্ত হয়ে সে এলাকায় এসে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এমনকি গতকাল রাতেও আমার আবাসস্থল চৌমহুনীস্থ বসতবাড়িতে এসে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে চলে যায়। আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। আমি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন