পিসিজেএসএস ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বান্দরবান জেলা কমিটির উদ্যোগে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, ধর-পাকড় ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা কার্যালয় প্রাঙ্গনে শুক্রবার(১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার তথ্য প্রচার সম্পাদক নিত্যলাল চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা কমিটির  সভাপতি উছোমং মারমা, ভূমি ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অংশৈমং মারমা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীমতি ওয়াইচিং প্রু মারমা, বান্দরবান সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা বামংসিং মারমা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি একটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল। ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করেই জনসংহতি সমিতি আজ অবধি গণতান্ত্রিক পন্থায় তার রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে। গত ১৩ জুন ২০১৬ সালে বান্দরবান সদর উপজেলা জামছড়ি এলাকা হতে কে বা কারা, কোন সন্ত্রাসী নাকি ডাকাতি দল মংপু মারমা নামক এব ব্যক্তিকে অপহরণের পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নেতৃস্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে তল্লাশি, ধর-পাকর ও হয়রানি চালানো হচ্ছে।

গতকালও রাজবিলা এলাকায় সংঘটিত একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় জনসংহতি সমিতি ও অঙ্গসংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। যেখানে সামান্য ঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিকারী ব্যক্তি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান, মৌজা হেডম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জড়ানো হয়েছে। যা ষড়যন্ত্রমূলক, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করে অবিলম্বে এ মামলা হতে জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান সমাবেশে।

আর না হলে আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা কমিটি অবরোধ হরতালসহ কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা হলে তার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন