পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ

123 copy

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিন ডিককুলের উপজেলা পাড়ায় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি প্রচলিত আইনকে পাত্তা না দিয়ে দিন-দুপুরে পাহাড় কেটে নির্মাণ করছে ভবন। পাহাড় কেটে পরিবেশ ও এলাকার ক্ষতি করায় স্থানীয় লোকজন বারন করলেও তিনি কারও কথা শুনছেননা। বরং হুমকি দিচ্ছেন পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সবখানে তার হাত রয়েছে। কেউ চাইলেও তার পাহাড় কাটার কাজ বন্ধ করতে পারবেনা। এ অবস্থায় অনেকটা নিরুপায় হয়ে এলাকার পরিবেশ রক্ষার্থে স্থানীয় সমাজ কমিটি প্রশাসনের সহযোগিতা চাইছে।

সমাজ কমিটির দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় কেটে সমতল করে ভবন নির্মাণের কাজ করছে আনসারুল করিম (৪২) নামে এক ব্যক্তি। আর এ চিত্র ধারন করতে গিয়ে তিনি ক্ষেপে যান। আর বলেন, এসব করে লাভ নেই। গণমাধ্যমের সকল কর্মকর্তাদের সাথে তার ব্যক্তিগত সর্ম্পক রয়েছে। এছাড়া পরিবেশের অনুমতি নিয়েই এ পাহাড় কাটা হচ্ছে।

তিনি দাবি করেন, তিনি ব্রাক ব্যাংকের কর্মকর্তা। তার সাথে সকল উচু স্তরের লোকজনের সখ্যতা রয়েছে। সুতরাং তার কাজে বাধা দেওয়া উচিত হবেনা। এছাড়া একইভাবে তার আরও ৩টি ভবনের কাজ চলছে বলেও তিনি দম্ভের সাথে জানান।

এসময় তার স্ত্রী পাহাড় কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঘরের প্রয়োজনীয় অংশ বাড়ানোর জন্য এ পাহাড় কাটা হচ্ছে। যদিও তার ঘরের বেশিরভাগ অংশ তৈরি করা হয়েছে পাহাড় কেটে।

পরে আনসারুল করিম নানাভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন বিষয়টি যেন কোনভাবে পত্রিকায় প্রকাশ না হয়।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমাজ কমিটির এক ব্যক্তি জানান, এ পাহাড় কাটার ফলে এলাকার নালা-নর্দমাগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তিনি রাস্তার উপর মালামাল রেখেই পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ করছেন। এ নিয়ে বারন করলেও তিনি কোন ধরনের কর্ণপাত করছেননা।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড় খেকোদের একটি কমন ডায়ালগ হয়ে গেছে ‘পরিবেশকে ম্যানেজ করেই পাহাড় কাটছি’। এটি খুবই বাজে কথা এবং মিথ্যা। আর যে ব্যক্তি পাহাড় কেটে ভবন তৈরি করছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন