পাহাড়ে সুউচ্চ ভবন হুমকির সৃষ্টি করবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে জুম চাষ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: পাহাড়ে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ ভবিষ্যতে হুমকির সৃষ্টি করবে। আর ভবিষ্যতে ১৩ জুনের মত পাহাড় ধ্বসের ঘটনার পূনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে এখন থেকে প্রয়োজনয় সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের উপর আহবান জানান বক্তারা। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স সভা কক্ষে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত পাহাড় ধ্বস ও প্রতিকার বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এসময় সেমিনারে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’র ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ। এছাড়া সেমিনারে আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারের মূল প্রবন্ধকার ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবির কুমার সেনের সঞ্চালনায় প্রকৌশলী উদয় শেখ দত্ত, প্রকৌশলী মতিউর রহমান, রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স’র সভাপতি বেলাল হোসেন ভূইয়া, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীরা আলোচনায় অংশ নেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, পাহাড়ে বাড়ি করতে হলে মাটি পরীক্ষা করতে হবে। এজন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ম ছাড়া বাড়ি নির্মাণ না করার এবং জুম চাষিদের জন্য জুম চাষের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য ফল-ফলাদি কিংবা মিশ্র বাগান করার জন্য সেমিনারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ ও ঘনবসতি, অনুমোদনহীন এবং অপরিকল্পিত উঁচুতলা ভবন নির্মাণ, জুম চাষ প্রভৃতির কারণে পাহাড়ে ভূমি ধস হচ্ছে। পাহাড় ধ্বসের প্রতিকার করতে হলে , ব্রিটিশরা বলেছিল পাহাড়ে কাঠের কিংবা বাঁশের বাড়ি নির্মাণ করা যাবে। কিন্তু মানুষ না বুঝে কংক্রিটের বাড়ি নির্মাণ করছে। এজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানান বক্তারা।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি তরুণ কান্তি ঘোষের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।