পাহাড়ের উন্নয়নে নৌকায় ভোট চাইলেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:

শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অশান্তি বিদায় করে শান্তি স্থাপন করেছেন মন্তব্য করে ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, আজ তার নেতৃত্বেই পাহাড়ের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন এসেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট চাইলেন তিনি।

শুক্রবার(৯ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের সাপমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মত ভবনের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত অভিভাবক- শিক্ষার্থী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মাদ আলী, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মো. জাকির হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল হক, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল হাই, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কৃষ্ণলাল দেবনাথ প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মাদ আলী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রত্যন্ত জনপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক অবকাঠামোয় নির্মিত হচ্ছে। শিক্ষাকে তিনি উন্নতির শিখরে পৌঁছার সোপান মন্তব্য করে সকলকে সরকারের এ সুযোগ গ্রহণেরও আহ্বান জানান।

উল্লেখ যে, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিইডিপি-৩) এর আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৩৬ লাখ টাকায় ব্যয়ে সাপমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণ করে। এর আগে তিনি সাপমারা এলাকায় খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ সড়ক থেকে হরিকুমার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশল মো. আবু তাহের ও সড়ক নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন