পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন বিভাগকে ধংস করার লক্ষ্যে পর্যটকদের অপহরন করছে একটি বিশেষ মহল- দীপঙ্কর তালুকদার

রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলাবাসী সংবর্ধনা দিল পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যবর্গদের

Rangamati Pic 17--10-15-01

স্টাফ রিপোর্টর:

পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন বিভাগকে ধংস করার লক্ষ্যে পর্যটকদের অপহরন করছে একটি বিশেষ মহল। এর ফলে এ অঞ্চলের পর্যটনশিল্পের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাজানোই তাদের উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার।

তিনি বলেন, সম্প্রতি পার্বত্য বান্দরবান জেলায় পর্যটক অপহরনের ফলে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক আগমন অনেকাংশে কমে গেছে। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের অভয় আশ্রম হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে এই মহলটি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন জাত নেই ধর্ম নেই। বর্ন ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে আমাদের সকলের এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

শনিবার রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলাবাসীর আয়োজনে শুভলং বাজারে আয়োজিত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যবর্গদের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

গণসংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও ১নং সুবলং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুশান্তময় চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পরিষদের সদস্য সাধন মনি চাকমা, সবির কুমার চাকমা, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ চাকমা, বণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেনং রাখাইন, বরকল যুবলীগ নেতা অর্জুন চন্দ্র অধিকারী, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাঙ্গামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অমল চাকমা বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন গণসংবর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব ও সুবলং বাজার কমিটির সভাপতি সুজন কুমার শীল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতারুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ন্যয় তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পার্বত্য বাসির প্রতি আন্তরিক। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর অস্ত্রের ঝনঝনানি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি অপহরন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন তিনি পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতির কল্যাণে ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি করেছেন এবং তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নও করছেন।

তিনি এ জেলার প্রতিটি ধর্মের মানুষের কল্যানে মসজিদ. মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, গীর্জা নির্মান করে দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি যোগাযোগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করেই যাচ্ছে। এর দৃষ্টান্ত হচ্ছে এই উপজেলার ধনমিয়া ফকিরের মাজারে যাতায়াতের জন্য একটি ব্রীজ, মিতিঙ্গাছড়িতে ২৫লক্ষ টাকা ব্যয়ে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ, হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির এবং মসজিদ সংস্কার করে দিয়েছে। যা অন্য কোন সরকার করে দেইনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় দেশের মানুষের কল্যান চাই বলে আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিশ্র“তি দিয়ে থাকি এবং তা পূরণ করতে পারি।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, সকল সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে ১৫সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্নগঠন করা হয়েছে পার্বত্য বাসীর কল্যানের কথা ভেবেই। তিনি বলেন, জেলার শিক্ষার উন্নয়নে আগামীতে যে সমস্ত বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ নেই সে সমস্ত বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে সোলার প্যানেল বিতরণ করা হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন কারো প্রলোভন বা উষ্কানীতে অপরাজনীতিতে যেন তারা জড়িত না হয়। কারণ আগামীতে তোমরাই এ দেশের নের্তৃত্ব দেবে। সুস্থ শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে দেশের জন্য অগ্রনী ভুমিকা তোমরাই রাখবে। পরে বরকল উপজেলাবাসীর পক্ষে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও জেলা পরিষদের পরিবারের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন সংবর্ধনা কমিটি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন