পার্বত্যাঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্র করছে: ওবায়দুল কাদের

rangamato-mp-obaidul-pic3-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পার্বত্যাঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থারা পার্বত্যাঞ্চলকে অশান্ত করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। কারণ তারা ৭১ আমলে সে অপূর্ণ বদলা নিতে চায়। তারা বাংলাদেশে শান্তি চায় না। তারা পাহাড়ি-বাঙালীর মধ্যে সম্প্রীতিও চায় না। আবার কিছু কুচক্রকারীরা পাহাড়ের মানুষের মধ্যে সম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলে থাকে। তাদের চিহ্নিত করে সরকারকে পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে  আয়োজিত সংবর্ধণা ও কর্মীসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক  ও এমপি এনামুল হক শামীম,  তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মো. মুছা মাতব্বর প্রমূখ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমাকে উদেশ্য করে বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে যদি শান্তি ও উন্নয়ন  চান, তাহলে অবৈধ অস্ত্র পরিহার করতে হবে। কারণ পার্বত্যাঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশী-বিদেশী কুচক্রকারীরা উস্কানি দিয়ে যাবে। তাদের প্রশ্রয় দিবেন না। কারণ তাদের প্রশ্রয় দিলে এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

সন্তু লারমাকে তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে এ আওয়ামী লীগ সরকার শান্তি চুক্তি করে ছিল। আর এ সরকারই বাস্তবায়ন করবে। অন্যকোন সরকার এ চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি, আর করবেও না। কারণ বিগত সরকারগুলো শান্তির নামে পাহাড়ের  মানুষদের সঙ্গে লোক দেখানো বৈঠক করেছিল। কিন্তু তাদের মনের মধ্যে ভালোবাসা ছিল না। তারা যদি সত্যি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই তো তাহলে অনেক আগেই পাহাড়ের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যেত। শান্তি চুক্তি আমরা করেছি। আমরাই বাস্তবায়ন করবো। তাতে কোন সন্দেহ নেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন