পানছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

gono sikka- pic copy
শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি:

জেলার পানছড়ি উপজেলায় সাব্বির মাহামুদ নামে এক অস্থায়ী বাসিন্দাকে পানছড়িস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারার অভিযোগ ওঠার আট দিনের মাথায় আবারো উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। জানা যায়, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র সমুহে দোয়া ও মিষ্টি মুখের জন্য কিছু টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু কেন্দ্র সমূহে কোন টাকা না দিয়ে পানছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুপারভাইজার মো: ওযাইর নিজের পকেট বন্দী করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে উপজেলার ৩০টি কেন্দ্রের শিক্ষকদের মাঝে বিরাজ করছে চাঁপা ক্ষোভ।

এছাড়াও মো: ওযাইর এর বিরুদ্ধে উঠেছে আরো নানান অভিযোগ। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পানছড়িতে সেমিনারের জন্য বরাদ্ধ ছিল ২৪০০ টাকা। কিন্তু মাত্র ১৮০ টাকা দামের দুই পেকেট কেক আর মহালছড়ি উপজেলার ব্যানারে “মহাল” কেটে “পান” বসিয়ে এক আধুনিক কায়দায় লুটে নেয় বাকী টাকা। তাছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিল সর্বোচ্চ ৩০ জন।

এ ব্যাপারে উল্টাছড়ি কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক হাফেজ খায়েজ আহাম্মদ জানান, ১৭ মার্চে  পানছড়ির ৩০টি কেন্দ্রে দোয়া ও শিশুদের মিষ্টির জন্য ২০০টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ১৭মার্চ শেষ হলেও আজো কেউ টাকা পায়নি। আজকে দিব, কালকে দিব বলে সে সময় পার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মো: ওযাইর ২২মার্চ তারিখ পানছড়ি আসলেও কাউকে টাকা দেয় নাই। এখন মোবাইল করলে বলে খাগড়াছড়ি এসে টাক নিয়ে যাও। এভাবেই চলছে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র সমূহের হালচাল।

এ ব্যাপারে পানছড়ির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনরে সুপারভাইজার মো: ওযাইর এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, “টেয়া অ্যার পকেডত আছে, সময় অইলে দিয়্যুমদে আরি”।

পানছড়ির অভিজ্ঞ মহল বলছে, তথ্য গোপন রেখে দু’নম্বর কাগজ-পত্র দিয়ে সাব্বির আহাম্মদ নামে একজনের অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার এই আত্মসাতের অভিযোগ। যা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে অদক্ষ জনবলের কারণে দিনদিন সমস্যা বেড়েই চলছে। তাই দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোককে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ প্রদান করা হলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আবারো চাঙ্গা ভাব ফেরানো সম্ভব হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন