নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৩টি পয়েন্টে কাঁটাতারের বেড়া মেরামত করছে বিজিপি

 

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, তমব্রু ও জলপাইতলী সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা অনুপ্রবেশকৃত রোহিঙ্গারা সে দেশে যেন পূনরায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া মেরামত করছে। গত কয়েকদিন ধরে তারা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে কাঁটাতারের বেড়া মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা জানায়, সীমান্তের যেসব পয়েন্টে কাঁটাতারের বেড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মূলত সেসব পয়েন্টগুলোয় মেরামত করা হচ্ছে। কাঁটাতারের সাথে কোন ধরনের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন এই সরকারি কর্মকর্তা।

তবে জলপাইতলীর সীমান্তে বসবাসরত নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, বাইশফাড়ি, জলপাইতলী ও বালুখালী পর্যন্ত সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত কাঁটাতারের বেড়া নতুন করে মেরামত করছেন। এছাড়া জলপাইতলী সীমান্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছেও বলে জানান তিনি।

ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে বসবাসকারী নুর মোহাম্মদ, সাদেক মিয়া ও ফজল আহমদসহ অনেকে জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী তাদের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া মেরামত করছে। এসব কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আসছে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে।

উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু খালের ওপারে নো-ম্যানস ল্যান্ডে আশ্রিত রোহিঙ্গারা জানান, সীমান্তের খুব কাছে অবস্থান নেওয়ার একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, আরাকান রাজ্যের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে তারা দেশে ফিরে যাবেন। তবে কাঁটাতারের বেড়া মজবুত করার ফলে ফিরে যাওয়া আর সম্ভব হবে না।

এ বিষয়ে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মিয়ানমার কাঁটাতারের বেড়া মেরামত করছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সেখানে আমাদের কোন হস্তক্ষেপ নেই। তবে আমরা আমাদের সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে খুব সতর্কাবস্থায় আছি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যকার সীমান্তপথ রয়েছে ২৭১ কিলোমিটার। এরমধ্যে ২০৮ কিলোমিটার স্থলপথ ও ৬৩ কিলোমিটার জলসীমান্ত। পাঁচ বছর আগ থেকেই তাদের অভ্যন্তরের অধিকাংশ সীমান্তজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে মিয়ানমার সরকার।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন