নাইক্ষ্যংছড়িতে ৮০কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি 

Lged news pic-Nc copy

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২০১৫-১৬ ও চলতি অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ৮০কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি বিভাগ। এতে গ্রামীণ এলাকার পারিপার্শ্বিক অবস্থার সুবিধা হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের উন্নয়ন ঘটবে। ফলে ওইসব প্রকল্প এলাকায় মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬অর্থ বছরে ৩৮কোটি টাকা ব্যয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পর্যন্ত ১২কিমি সড়ক, ৩কোটি টাকা ব্যয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে দোছড়ি ইউনিয়নের ৪কিমি. সড়ক, ৯৮লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, প্রায় ৪কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রাইমারী স্কুল ভবন, ৯০লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাউয়ারখোপ থেকে সোনাইছড়ি ১কিমি সড়কসহ ২০১৬-১৭অর্থ বছরে ১কোটি টাকা বরাদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি-দোছড়ি সড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে। এসব অবকাঠামো নির্মাণ করার ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন ইতোমধ্যে বহুমুখী সুবিধা ভোগ করছেন। তাদের যাতায়াত ব্যয় কমেছে, বিভিন্ন পণ্যের বাজারজাত প্রক্রিয়ায় সুবিধা হয়েছে, কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজারজাতে উন্নয়ন হয়েছে।

ধারাবাহিক উন্নয়নের বিষয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোং বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে একশ্রেণীর স্বার্থনেষী মহল ইতিপূর্বে তার নামের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। এলজিইডির চলমান উন্নয়নের ফলে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নতি হচ্ছে বলে জানান তিনি। অপরদিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাহান মার্মা জানান, বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি এলজিইডির অধীনে বাস্তবায়িত প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিত করায় ব্যক্তিগত ভাবে তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা অনুময় তংচঙ্গ্যা, আবদুর রহমান, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জাফর আলম, হাবিবউল্লাহসহ এলাকাবাসী জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে তুমব্রু সড়কের বাকি অংশ বাস্তবায়ন তাদের প্রাণের দাবী ছিল। অবশেষে এলজিইডির উদ্যোগে তাদের দাবী পুরণ হয়েছে। একই ভাবে দুর্গম দোছড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, মহিলা ইউপি সদস্য রেহেনা আক্তার জানায়, এলজিইডির অধীনে দোছড়ি সড়ক নির্মীত হচ্ছে। এতে এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নতি হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল জানায়, তার কর্মকালীন সময়ে সম্পাদিত কাজগুলো খুব মানসম্পন্নভাবে করা হয়েছে। আমরা কাজের গুণগত মানের ক্ষেত্রে নো-কম্প্রোমাইজ নীতি অবলম্বন করে জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত ও সরকারী অর্থের প্রতিটি টাকার সদ্যব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে তার বদলির আদেশ হয়েছে জানিয়ে পরবর্তী সময়ে যোগদানকৃত কর্মকর্তারাও উন্নয়ন কাজের গুণগতমান রক্ষা করে চলবেন এমনটি প্রত্যাশা করেন তিনি।

এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বান্দরবান জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফ হোসেন বলেন, অন্যান্য এলাকার তুলনায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় এলজিইডি প্রকৌশল বিভাগের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের গুণগতমান নিসন্দেহে ভালো। কাজের মানের ক্ষেত্রে এলজিইডির কর্মকর্তারা সর্তক রয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন