ধর্ষণের শিকার ৪ সন্তানের জননী: বিচার পাওয়ার বদলে পাচ্ছেন হুমকি

ধর্ষণ

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ক্যাংগার বিল গ্রামের অসহায় গৃহবধূ চার সন্তানের জননী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। অসহায় জননী বিচারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি পর প্রতিকার না পেয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাইশারী সীমান্ত সংলগ্ন রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ী এলাকা বটতলী পথের পশ্চিমকুল নামক স্থানে।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বাইশারী ইউনিয়নের ক্যাংগার বিল গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ছমুদা খাতুন (৩০)। ওইদিন সন্ধ্যায় ঈদগড় বাজার থেকে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে বাজার সংলগ্ন ব্রীজের উপর বসে থাকা দুই জীপ চালক জসিম উদ্দিন ও মানিক তাকে অনুসরণ করে হাঁটতে শুরু করে। এক পর্যায়ে দূর্গম পাহাড়ী এলাকার বটতলি পশ্চিমকুল নামক স্থানে পৌঁছা মাত্র একা পেয়ে কিছু বুঝে উঠার আগে উক্ত দুই যুবক তাকে গহীন জঙ্গলে নিয়ে উপর্যুপরি পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা তাকে রেখে পালিয়ে যায়। ঐ সময় ছমুদা খাতুনের নিকট রক্ষিত নগদ ২৩ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায় ধর্ষকেরা।

অভিযোগে আরও জানা যায়, জ্ঞান ফেরার পর বাড়ি এসে ঘটনাটি আত্মীয়স্বজনসহ আশপাশের লোকজনকে জানালে মুহুর্তের মধ্যে ধর্ষকের আত্মীয় স্বজনেরা ঘটনাটির মিমাংসার চেষ্টা চালায়। পরদিন ধর্ষনের শিকার ছমুদা খাতুনের মোবাইল ফোনটিও ফেরত দেয়। কিন্তু স্বর্ণালংকার ও টাকা ফেরত দিতে অনিহা প্রকাশ করে এবং উল্টো ছমুদা খাতুনকে মামলা করলে জানে মেরে ফেলা হবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছে। অসহায় ছমুদা  খাতুন নিরুপায় হয়ে গত ২৫ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ছমুদা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, তিনি এখন অসহায় অভিযোগ করার পরও এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সাড়া মেলেনি। তাই তিনি ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এবং লম্পট, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন