দিঘীনালায় নারী ভোটারদের মাঝে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সহধর্মীনির গণসংযোগ

দিঘীনালা প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে চষে বেড়াচ্ছেন, খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি’র সহধর্মীনি মল্লিকা ত্রিপুরা।

গত তিন দিন ধরে উপজেলার কবাখালী, বোয়ালখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। এসময় তাঁর সাথে ভোটের মাাঠে গণসংযোগ করছেন, কয়েক শত নারী সমর্থক এবং তাঁর নেতৃত্বে নারী ভোটারদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে গণজোয়ার।

গত তিন দিনে দিঘীনালা উপজেলা মুসলিমপাড়া, জয়কুমার কার্বারী পাড়া, হেডম্যান পাড়া, উত্তর মিলনপুর, দক্ষিণ মিলনপুর, কাঠালতলী, মাস্টার পাড়া, আদর্শনগর হাচিনসনপুর এলাকায় গণসংযোগ  ও উঠান  বৈঠক করেছেন। গণসংযোগ এবং পথসভায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার স্ত্রী মল্লিকা ত্রিপুরার সাথে ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য শতরুপা চাকমা, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সীমা দেওয়ান এবং স্থানীয় সাধারণ নারী ভোটার।

জয়কুমার কার্বারী পাড়া গ্রামের বিন্দু চাকমা জানান, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির স্ত্রী  ভোট চাইতে এসেছেন, নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন। সে আসাতে খুব ভালো লাগছে।

মুসলিম পাড়া গ্রামের মোছা. রুছিয়া বেগম জানান, এমপি মহোদয়ের স্ত্রী ভোট চাইতে এসেছেন, তাঁর সাথে কথা বলে খুব ভালো লেগেছে। নারী ভোটারদের কথাবার্তায় মনে হলো তিনি খুবই হ্রদয়বান। পরে তার সাথে গণসংযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে দিঘীনালা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারুল আক্তার জানান, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির সহধর্মীনি মল্লিকা ত্রিপুরা ভোটের মাঠে নামায় সাধারণ নারী ভোটারদের মধ্যে একটা চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

দিঘীনালা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সীমা  দেওয়ান জানান, মিসেস এমপিকে নিয়ে আমরা উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে  গিয়ে ভোট চেয়েছি। সাধারণ নারী  ভোটারদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ এবং আগ্রহ দেখে খুব ভালো লেগেছে।

এ ব্যাপারে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সহধর্মীনি মল্লিকা ত্রিপুরা জানান, গত কয়েকদিনের টানা গণসংযোগ এবং পথসভায় অনেক পাহাড়ি-বাঙালি নারী ভোটারদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তারা আমাকে আপন করে নিয়েছে। যারা নৌকা মার্কায় কখনো ভোট দেয়নি, তারাও নৌকা মার্কায় ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন