দপ্তরী আবার চিকিৎসকও!

পেকুয়া প্রতিনিধি:
তিনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী আবার একজন পেশাদার চিকিৎসকও। গ্রামে তাকে ডাক্তার বলে সম্বোধন করে। দূর্গম এলাকায় ঔষধ বিকিকিনীর জন্য নিজ মালিকানাধীন একটি ফার্মেসীও আছে। সেখানে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে নিজেকে ডাক্তার অবহিত করে চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা কার্যক্রম। তিনি দশম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন।

সরকার আইন করেছেন এম.বি.বি.এস কিংবা এর সমমান প্যারা মেডিক্যাল সনদ ছাড়া ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। উচ্চতর প্রশিক্ষণ সনদ গ্রহণ ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা দন্ডনীয় অপরাধ। অথচ, দশম শ্রেনী পাশ ওই যুবক এখন মস্ত বড় ডাক্তার। জানা গেছে, তার নাম আলী হোসেন। বাবার নাম মৃত জকির আলম। উজানটিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদিয়ার ফকিরাঘোনা এলাকায় তার বাড়ি।

স্থানীয়রা জানান, ওই ব্যক্তি ২০১৫সালে করিয়ারদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী হিসাবে নিয়োগ পান। তিনি একদিকে চিকিৎসক অপরদিকে বিদ্যালয়ের কর্মচারী। অথচ, সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকেন চিকিৎসা বাণিজ্যে। বিদ্যালয়ে অনিয়মিত থাকলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর থাকে ঠিকই।

এ ব্যাপারে জানতে আলী হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন